v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-10 19:05:24    
ডক্টর আনাসের চীনা জীবন

cri
    "আমি পুরোপুরিই চীনাদের জীবনে অংশ নিয়েছি" । আফ্রিকার রুয়ান্ডা থেকে আসা ডক্টর আনাস তাঁর অফিসে সংবাদদাতাকে বলেছেন ।

    ৪১ বছর বয়সী ডক্টর আনাস রুয়ান্ডার অধিবাসী । ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের উ সি শহরের লাইট ইন্ডাস্ট্রিস বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ইন্সটিটিউটে তিনি খাদ্য বিজ্ঞাণ বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রীতে লেখাপড়া করতে শুরু করেন । ২০০৫ সালের জুলাই মাসে ডক্টরেট ডিগ্রী পাওয়ার পর উত্তর চীনের সান তুং প্রদেশের চৌ পিং রাজ্যের সি ওয়াং গ্রামে এসেছেন এবং সেখানকার সি ওয়াং গ্রুপের প্রযুক্তি উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক নিযুক্ত হন । তাঁর পরিবারও তাঁর সঙ্গে এ গ্রামে এসে গ্রামবাসী হয়েছে ।

    আনাসের প্রধান বিষয় হল বাওডারের উত্পাদন গবেষণা করা । সি ওয়াং গ্রুপ ঠিক একটি শস্য উত্পাদন শিল্প প্রতিষ্ঠান । আনাস এ কোম্পানীতে নিজের সামর্থকে কাজে লাগতে পারেন । সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানীটি তাঁকে খুব ভালো বেতন ও সুন্দর আবাস দিয়েছে । আনাস বলেছেন : এখানে আমি সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারি , আমার শিশুরা এখানে থাকতেও খুব পছন্দ করে । আমার খুব সন্তুষ্ট।

    আনাস চীনে আট বছর ধরে আছেন । তাঁর স্ত্রী আকনেস ও দু'মেয়ে লিন্ডা ও বেলিস চীনেও ৬ বছর ধরে আছে । তাঁরা সবসময় চীনা ভাষায় কথা বলে এবং সবসময় চীনা খাবার রান্না করে ।

    স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে সংবাদদাতা দেখেছেন যে আনাসের দু'মেয়ে লিন্ডা ও বেলিস ক্লাসমেটের সঙ্গে ব্যায়াম করছে । শিক্ষক বলেন যে , এ দু'মেয়ের লেখাপড়ায় খুব ভালো। লিন্ডা বলেছে , যখন প্রথম সে এ স্কুলে আসে , তখন তারা আমাদেরকে দেখে অবাক হতো । কারণ আমাদের স্কিনের রংঙ ও আমাদের চুল তাদের চেয়ে আলাদা । তবে এখন আমরা মনে করি আমাদের সঙ্গে চীনা বন্ধুদের কোনো পার্থক্য নেই । লিন্ডা চীনের ঐতিহ্যিক যন্ত্রসংগীত আর হু বাজাতে পছন্দ করে । লিন্ডা স্কুলের গণসংগীত দলে যোগ দিয়েছে । শুধু এক বছর শেখার পর লিন্ডা বেশ কয়েকটি চীনের বিখ্যাত গণসংগীত বাজাতে পারে । লিন্ডা বলে , তার স্বপ্ন হল একজন আর হু শিল্পী হওয়া । এ দু'মেয়ে গান গাইতেও খুব পছন্দ করে । চীনের অনেক পপ গান তারা এখন গাইতে পারে । চীনে "একই গান" নামক গানটি খুব জনপ্রিয় , দু'মেয়ে এই গানটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে । লিন্ডা চীনের অনেক রূপকথাও জানে । প্রাচীকালে চীনের বিখ্যাত উপন্যাস "পশ্চিম যাত্রা" লিন্ডা পড়তে খুব পছন্দ করে । লিন্ডার ছোট বোন বেলিসও চীনা উপন্যাস খুব পছন্দ করে ।

    বেলিসের ক্লাসমেট লি সুয়েই সংবাদদাতাকে বলেছে , বেলিস খুব উষ্ণহৃদয়সম্পন্ন । সে সবসময় আমাদেরকে সাহায্য করে । আমি তার সঙ্গে ক্লাসরুম পরিস্কার করি । প্রত্যেক বার সে সবার আগেই ক্লাসরুমে আসে । যখন আমি স্কুলে এসেছি , তখন সে নিজেই ক্লাসরুম পরিস্কারের কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছে । তার লেখাপড়াও অনেক ভালো এবং সবসময় অন্য ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করে । আমরা সবাই তার ভালো বন্ধু ।

    ক্লাস শেষে বেলিস তার ক্লাসমেটের সঙ্গে খেলাধুলা করে । লিন্ডা বলে , সবাই আমরা দু'বোনকে পছন্দ করি । আমরাও তাদেরকে পছন্দ করি এবং শিক্ষকদেরও খুব পছন্দ করি ।

    আনাস সংবাদাতাকে বলেন , চীনারা খুব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং অন্যকে সাহায্য করতে খুবই ইচ্ছুক । তিনি আরো বলেন . গত বছরে চীন-আফ্রিকা শীর্ষ ফোরাম চীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে । তা দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ত্বরান্বিত করেছে । এখন চীন-আফ্রিকা সম্পর্ক দিন দিন ঘনিষ্ঠ হচ্ছে । শিক্ষা , অর্থনীতি ও চিকিত্সা ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতা সুষ্ঠুভাবে চলছে । আশা করি চীন-আফ্রিকা জনগণের মৈত্রী সুদীর্ঘ হবে ।