v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-09 14:37:00    
"হোং লো মেং" গবেষণাকারী বিশেষজ্ঞ চৌ রু ছাং

cri
    "হোং লো মেং" চীনের প্রাচীণকালের একটি খুবই বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় উপন্যাস। তার অর্থ হলো "লাল ভবনের স্বপ্ন"। এই উপন্যাসে ছিং রাজবংশের চারটি প্রভাবশালী পরিবারের গল্প বলা হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ সারা জীবন এই উপন্যাস নিয়ে গবেষণা করে গেছেন। এর ফলে "হোং শুয়েই" নামে একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা "হোং শুয়েই" বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ চৌ রু ছাং'র গল্প আপনাদের জানাবো।

    চীন ও বিশ্বের হোং শুয়েই গবেষণা ক্ষেত্রে চৌ রু ছাং একজন খুব বিখ্যাত লোক। ৮৮ বছর বয়স্ক চৌ রু ছাং "হোং লো মেং" গবেষণার কাজ সারা জীবনের একটি লক্ষ্য হিসেবে মন দিয়ে গবেষণা করেছেন, তার আগে কেউ তেমন সাফল্য পায় নি। কিন্তু "হোং লো মেং"র সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে একটি খুব ছোট কাজ থেকে । ১৯৪৭ সালে ইয়েন চিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ে চৌ রু ছাং লাইব্রেরিতে "হোং লো মেং"-এর লেখক ছাও শুয়ে ছিন সম্পর্কে একটি কবিতার বই পেলেন। এই কবিতার বইতে ছাও শুয়ে ছিন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। এ নিয়ে চৌ রু ছাং একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। তা হলো "হোং শুয়ে" সম্পর্কে তার প্রথম প্রবন্ধ। চৌ রু ছাং বলেছেন:

    "তখন আমি ছাত্র, প্রবন্ধটি পত্রিকায় প্রকাশ করার প্রস্তাব আমার মাথায় নেই। লিখে হোস্টেলে রেখে দিয়েছি। একজন শিক্ষক আমাকে প্রবন্ধটি পত্রিকায় প্রকাশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।"

    এই প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পর তখনকার চীনের বিখ্যাত লেখক হু শি'র দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। হু শি ৬ বার করে চৌ রু ছাংকে চিঠি লিখে তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাতে চৌ রু ছাং অনেক উত্সাহ পেয়েছেন।

    ১৯৫৩ সালে চৌ রু ছাংয়ের প্রথম বই "হোং লো মেং সিন জেং" প্রকাশিত হয়। এই বইটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। পরের বিশ বছরের মধ্যে চৌ রু ছাং অব্যাহতভাবে গবেষণা চালিয়েছেন। বেশি পরিশ্রমের জন্য তিনি বধির হয়েছেন এবং তার দৃষ্টিশক্তিও খুব খারাপ হয়েছে। কিন্তু তিনি মনে করেন তিনি মাত্র নিজের মনের ইচ্ছা মতো চলেছেন:

    "আমার সামান্য সাফল্য আমার সুনামের জন্য নয়। যদি শুধু নিজের স্বার্থের জন্য আমি এখন আরামদায়ক জীবন কাটাতে পারি। কিন্তু স্বার্থ অর্জনে আমার আগ্রহ খুব কম। আমার এক রকম অনুভূতি আছে, তা হলো "হোং লো মেং" ও ছাও শুয়ে ছিন আমার উপরে অনেক প্রভাব ফেলেছে।"

    চৌ রু ছাং বলেছেন, "হোং লো মেং" একটি মহা প্রাচীণকালের উপন্যাস। এতে গভীর প্রাচ্য নীতিশাস্ত্র ও চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি রয়েছে। কিন্তু অনেক পাঠক শুধু তাকে একটি সাধারণ প্রেমের উপন্যাস হিসেবে মনে করে।

    "আমি তা পড়ার সময় প্রেম ও সামন্ততন্ত্র-বিরোধী কোনো বিষয় চিন্তা করিনি। ছাও শুয়ে ছিন আমাদের জন্য একটি অমূল্যা ধন রেখে গেছেন। তাতে চীনের সংস্কৃতির সব ভাল দিকগুলোই রয়েছে, খুব ভালভাবে।"

    এমন আন্তরিক ভালবাসা নিয়ে চৌ রু ছাং সারা জীবন ধরে "হোং লো মেং"এর ওপর গবেষণা করেছেন। উল্লেখযোগ্য তিনি ৮৭ বছর বয়সে পরপর ৭টি "হোং শুয়ে" সম্পর্কিত বই প্রকাশ করেছেন। এ সব বই তিনি প্রথমে কাগজে লিখেছেন , তারপর তার মেয়ে বার বার তাকে পড়ার পর, কম্পিউটারে টাইপ করেছেন।

    সম্প্রতি তার আরেকটি বই "হোং লো মেংয়ের আকর্ষণীয়তা" প্রকাশিত হয়েছে। এই বইতে বিভিন্ন দিক থেকে "হোং লো মেং"এর চমত্কার বর্ণনা রয়েছে।