v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-05 19:10:48    
চীনে বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ ও কাজে লাগানোর ব্যবস্থাকে জোরদার করা হবে(ছবি)

cri

    বর্তমানে চীনে বৈদ্যুতিক দ্রব্যাদি ভোগের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থের ব্যবস্থাপনা ও তা সংগ্রহের কাজ বড় একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । কারণ বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ পরিবেশের জন্য দূষণ ডেকে আনবে । এই সব সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ ও কাজে লাগানোর ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বিবেচনা করছে এবং এ সম্পর্কিত একটি নিয়মবিধি প্রণয়ন করবে ।

    লু মিন পেইচিংয়ের একটি বিদেশী পুঁজি বিনিয়োজিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী । তিনি বেশ আয় করেন । তার মোবাইল ফোনও সময় সময় পরিবর্তন করা হয় । কিন্তু বর্জ্য মোবাইল ফোনের সমস্যা কি ভাবে সমাধান করা হবে । এটা একটি চিন্তার বিষয়ে পরিণত হয়েছে ।

    তিনি সাধারণতঃ দু'বছরে একবার মোবাইল ফোন পরিবর্তন করে থাকেন । খেলার জন্য বর্জ্য মোবাইল ফোন বাচ্চাকে দেয়া হয় । এ পর্যন্ত বাসায় দু' তিনটি বর্জ্য মোবাইল ফোন বজায় থেকে যায় ।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী , ২০০৩ সাল থেকে চীনে প্রতি বছর চীনের বর্জ্য কম্পিউটার , টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনের সংখ্যা প্রায় এক কোটিতে দাঁড়িয়েছে । এই সব বৈদ্যুতিক বর্জ্য দ্রব্যে মানুষ এ পরিবেশের জন্য বিবিধ বিপুল পরিমাণের বিষাক্ত ও ক্ষতিকর পদার্থ বিদ্যমান । এ সব পদার্থের ফিরিয়ে আনার সমস্যা সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা না গেলে মাটি ও জল গুরুতর ভাবে দূষিত হবে এবং তা মানবের স্বাস্থ্য ও প্রাণের ওপর হুমকী দেবে ।

    বর্তমানে চীনে বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ ও শিল্পে ব্যবহারের বিষয়টি শিল্প একটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে । এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণের বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে ফিরিয়ে আনা হয় নি । সু চৌ শহরের থুং হো কোম্পানি পূর্ব চীনের চিয়াং সু প্রদেশের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে কাজে লাগানো ফিরিয়ে আনা শিল্প প্রতিষ্ঠান । এই কোম্পানির ম্যানেজার লিউ কে চ্যুন সং সংবাদদাতাকে বলেছেন , রাষ্ট্রীয় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে বৈদ্যুতিক বর্জ্য দ্রব্য সংগ্রহ ও তা কাজে লাগানোর জন্য প্রচুর ব্যয়ের প্রয়োজন । সুতরাং বিপুল পরিমাণের বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ দূষণমুক্ত ব্যবস্থা ছাড়া গ্রামবাসীদের কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয় ।

    এই ক্ষেত্রে গ্রামীণ কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানের চেয়ে শহরের বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার শক্তি অনেক কম । কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থের কোন দূষণমুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয় নি । সুতরাং তাদের উত্পাদনের খরচও কম ।

    বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থে মানুষ ও পরিবেশের জন্য বিপুল ক্ষয়ক্ষতি বিদ্যমান । এই সব পদার্থ ব্যবস্থাপনার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা না গেলে পরিবেশ সুরক্ষার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হবে । জানা গেছে , চীনের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনসহ বিভিন্ন বিভাগ বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ ও কাজে লাগানোর একটি নিয়মবিধি প্রণয়ন করছে । তখন বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ ও কাজে লাগানোর ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশী অগ্রাধিকার দেয়া হবে ।

    চীনের পুনঃব্যবহার্য দ্রব্য ফিরিয়ে আনা সমিতির মহাসচিব হো ফাং মিন সংবাদদাতাকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন , বৈদ্যুতিক বর্জ্য দ্রব্য সংগ্রহ ও কাজে লাগানোর ব্যাপারে ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ানোও বর্জ্য পদার্থ ফিরিয়ে আনার হার উন্নত করার একটি কার্যকর পদ্ধতি ।

    বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ ভালভাবে সংগ্রহ ও কাজে লাগানোর ব্যাপারে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে । বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থের দরুণ সংঘটিত দূষণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিবারণ করার জন্য চীন বৈদ্যুতিক দ্রব্য ব্যবহারের দূষণ কমানোর প্রচেষ্টা চালাবে । ২০০৭ সাল মার্চ মাস থেকে বৈদ্যুতিক দ্রব্যের দূষণ কমানো সংক্রান্ত একটি নিয়মবিধি চালু হবে । এই নিয়মবিধি অনুযায়ী , বৈদ্যুতিক দ্রব্যের ডিজাইন ও তৈরীর ক্ষেত্রেও বিষাক্ত ও ক্ষতিকর পদার্থের ব্যবহার রোধ ও কমানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে ।