টম্যাটোর মধ্যে রয়েছে লিকোপিন । যা হচ্ছে এক ধরনের এ্যানটি অক্সিডান্ট যা টম্যাটোকে লাল করে থাকে । এবং হৃদরোগ ,ক্যানসার রোগ এবং পুরষদের অগ্রগ্রন্থি রোগের প্রতিরোধ করতে পারে । রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, পুরুষরা সবসময় টম্যাটো খেলে, তাদের অগ্রগ্রন্থি রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমে যাবে ।
চীনের ঐতিহ্যিক চিকিত্সা বইতে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে, টম্যাটো পাকস্থলীর হজমের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে । কারণ টম্যাটোর মধ্যে ম্যালিক এ্যাসিড এবং সিবরা কনিক এ্যাসিড রয়েছে । ওরা পাকস্থলীর রূপান্তরের জন্য সহায়ক এবং পাকস্থলীর পুষ্টি গ্রহণে সাহায্য করে থাকে । যাদের পাকস্থলী এবং রাসায়নিক রূপান্তর প্রক্রিয়া ভালো নয়, তারা যদি খাবারের পর টম্যাটো খান তাহলে তাদের শরীরের জন্য তা অনেক সহায়ক হবে । টম্যাটোর মধ্যে টম্যাটিদিন,ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে রয়েছে যা দাঁত ও মাড়ির রোগ এবং মুখের বিকৃতি পুনরুদ্ধারের জন্য সহায়ক ।
কাঁচা টম্যাটো ও পাকা টম্যাটো দুটোইড আপনারা খেতে পারে । বিশেষজ্ঞরা বলেন, টম্যাটোর লিকোপিন আর গাজরের ক্যারোটিন উভয়ই মানুষের শরীরের জন্য শুভ । তবে পাকা টম্যাটো খেলে মানুষের শরীর আরো বেশি পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে । টম্যাটো কিছুটা টক থাকায ভিটামিন সির অভাব পুরণ করতে সক্ষম হয় ।
টম্যাটো এক ধরনের ঠাণ্ডা খাবার, তৃষ্ণার্ত সময়ে টম্যাটো খেলে অনেক আরামদায়ক মনে হবে । কিন্তু যাদের পাকস্থলী ঠাণ্ডা খাবার সহ্য করতে পারে না , তাদের কাঁচা টম্যাটো না খাওয়াই ভালো । খেলে সহজেই উদরাময় দেখা দিতে পারে ।
টম্যাটো খাওয়ার সময় তার চামড়া ফেলে দেবেন না । কারণ টম্যাটোর চামড়ায় অনেক ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে । কিন্তু কাঁচা টম্যাটো খেলে , ভালভাবে তা ধুয়ে নেয়া উচিত ।
বর্তমানে বিশ্বে অনেক ধরনের টম্যাটো রয়েছে । টম্যাটোর গভীর লালচে রঙ ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পার । হাল্কা হলুদ রঙ্গের টম্যাটোতে অল্প ক্যারোটিন রয়েছে । কমলা রঙ্গের টম্যাটোর মধ্যে লিকোপিন কম কিন্তু ক্যারোটিন বেশি । ছোট টম্যাটোর মধ্যে চিনির পরিমাণ সাধারণ টম্যাটোর চেয়ে কিছুটা বেশি , এ জন্য তা ফলের মত খাওয়া যায় । বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গভীর লাল বা কমলা রঙ্গের টম্যাটোয় বেশি ভিটামিন ও পুষ্টি রয়েছে , মানুষের শরীরের জন্য তা বেশি সহায়ক হবে ।
|