v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-29 16:43:29    
"চীনের প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্র -২০০৬" প্রকাশ

cri

    ২৯ ডিসেম্বর চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয় "চীনের প্রতিরক্ষা শ্বেত পত্র-২০০৬" প্রকাশ করেছে। শ্বেত পত্রে সার্বিকভাবে সাম্প্রতিক দু'বছরে চীনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়ন বিনির্মাণের অবস্থা উল্লেখ্য করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ শ্বেত পত্রে চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় আস্থা ও প্রতিজ্ঞা প্রতিফলিত হয়েছে। চীনের সারা বিশ্বের নিরাপত্তা , স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি রক্ষা করার আন্তরিক সদিচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে।

 ১৯৯৮ সালের পর চীন এই পঞ্চম বার চীনের প্রতিরক্ষা অবস্থা সম্পর্কিত শ্বেত পত্র প্রকাশ করেছে। এই শ্বেত পত্রের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে চীনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, প্রতিরক্ষা নীতি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ব্যয়, সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রের সহযোগিতা ইত্যাদি।

 চীনের সামরিক বিজ্ঞান একাডেমির গবেষক ওয়েন বিং শ্বেত পত্রের সংকলন কাজে অংশ নিয়েছেন। তিনি আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, ইতোপূর্বে প্রকাশিত শ্বেত পত্রগুলোর তুলনায় এবারের শ্বেত পত্রে ফলাও করে চীনের নিরাপত্তা পরিবেশের সার্বিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, চীন প্রধান প্রধান বড় দেশগুলোর সঙ্গে বাস্তব সহযোগিতা নিরন্তরভাবে উন্নত করেছে। নিকটবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ মৈত্রী ধারাবাহিকভাবে সামনে এগিয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ বেড়েছে। তাইওয়ান প্রণালীর দু'পারের সম্পর্ক শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। চীনের জাতীয় নিরাপত্তার পরিবেশ সার্বিক দিক থেকে অনুকুল। গবেষক ওয়েন বিং বলেছেন, "আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মুখীন নিরাপত্তার হুমকি দিনে দিনে আরো জটিলতা ও রকমারিতার পটভূমিতে , চীনের সার্বিক রাষ্ট্রীয় শক্তি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধির নতুন পরিস্থিতিতে চীন নিজের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন রক্ষার জন্য এই নিরাপত্তা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছে।"

 তাইওয়ান সমস্যা প্রসঙ্গে এই শ্বেত পত্রে আগেকার শ্বেতপত্রের মতো আলাদা পরিচ্ছেদে ব্যাখ্যা করা হয় নি। নিরাপত্তা পরিস্থিতি, প্রতিরক্ষা নীতিসহ নানা পরিচ্ছেদে তাইওয়ান সমস্যার যথাযথ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ওয়েন বিং জোর দিয়ে বলেছেন, এ থেকে প্রতীয়মান হয় না যে, তাইওয়ান সমস্যার গুরুত্ব চীনের কাছে হ্রাস পেয়েছে। আসলে শ্বেতপত্রে তাইওয়ান সমস্যা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে তিনটি তথ্য দেয়া হয়েছে। ওয়েন বিং বলেছেন, "প্রথমতঃ আমরা যথাযথভাবে স্বাধীন তাইওয়ানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আইনের ভিত্তিতে তাইওয়ানের স্বাধীনতা বাস্তবায়নের অপচেষ্টার বিপদ ও গুরুতর উপলব্ধি করাতে চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয়তঃ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের জন্য জটিল উপাদান সৃষ্টি করেছে। তৃতীয়তঃ শ্বেতপত্রে চীনের একীকরণ ও ভুভাগীয় অখন্ডতা সুরক্ষার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রতিফলিত হয়েছে।"

 তাছাড়া, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সামরিক বিনিময় ও সহযোগিতা দিনে দিনে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। কেবল ২০০২ সালের পর চীন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, পাকিস্তানসহ মোট ১১টি দেশের সঙ্গে ১৬ বার যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করে। শ্বেতপত্রে সামরিক বিনিময় ও সহযোগিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। ওয়েন বিং এর মূল্যায়ন করে বলেছেন, "শ্বেতপত্রের বিষয়বস্তুগুলোর মাধ্যমে বহির বিশ্বের কাছে একটি অতি স্পষ্ট তথ্য জানানো হয়েছে যে, চীনের সামরিক বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাহিনীর সঙ্গে পারস্পরিক সামরিক আস্থা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতে এবং মিলিতভাবে আঞ্চলিক ও বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়িত্ব বহন করতে ইচ্ছুক।"

 শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের সামরিক ব্যয় প্রকাশ্য ও নির্মল। বিংশ শতাব্দীর ৯০'র দশক থেকে চীন অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষা করা এবং বিশ্বের নতুন সামরিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু চীনের প্রতিরক্ষা ব্যয়ের পরিমাণ অন্যান্য কিছু দেশ, বিশেষ করে বড় দেশের তুলনায় এখনো অপেক্ষাকৃত কম।