প্রশ্ন: প্রথমেই শ্রোতা বন্ধুদের জন্যে আপনার পরিচয় দেন ?
উত্তর: আমার নাম যাদব দেবনাথ । আমি কোয়াংচৌতে এক্সপোর্ট বিজনেসের সঙ্গে জড়িত । আমি চীনে বিয়ে করেছি ৩ বছর হয়ে গেলো। এখানে স্বার্থকভাবেই বিজনেস করছি ।
প্রশ্ন: আপনি কোন সালে চীনে এসেছেন ?
উত্তর: আমি ২০০৪ সালে চীনে এসেছি । ২০০৪ সালে এখানে আমার কোম্পানী রেজিস্টার্ড হয়েছে ।একচুয়ালী ২০০৩ সালে হংকংয়ে আমার কোম্পানী রেজিষ্টার্ড হয় । তারপরে ব্যবসার খাতিরে আমি চলে আসি কুয়াংচৌতে । কুয়াংচৌতে আমার যে এক্সপোর্ট লাইসেন্স আছে তা আমরা ফরোয়ার্ড করে নিয়ে আমি এবং সেই লাইসেন্সটা আমরা আবার চায়নীজ গভর্ননেন্ট দারা রেজিষ্টার্ড করিয়ে নেই। এখন আমার হেড অফিস কুয়াংচৌতে ।
প্রশ্ন: কেন আপনি চীনকে বাচাই করে চীনে ব্যবসা করছেন ?
উত্তর: আসলে পূর্বে আমি ইমপোর্ট বিজনেসের সঙ্গে জড়িত ছিলাম । আমি ইমপোর্ট করতাম মূলত হংকং এবং চীন থেকেই । আমি একটা চাকরীও করতাম । সেই কারণে আমাকে ঘন ঘন চীনে আসতে হতো । একসময় আমি আসলে চিন্তা করিনাই যে এখানে অফিস করবো । আমি একবার আমার ফার্নিচার কিনতে যাই একটা প্যাক্টরীতে তখন তাদের শো কমে তাদের একটা মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় । আমি খুঁজে পাইনা যে কেউ আমার সঙ্গে ইংরেজীতে কথা বলতে পারে । খুবই ডিফিকাল্ট । আসলে আমি বুঝতে পারবোনা তখন আমাকে ক্যালকুলেটর দিয়ে হিসেব করতে হতো । তখন হঠাত্ করে ঐ মেয়েটা আমার কাছে আসে । আমি জানতামনা যে ঐ ফ্যাক্টরীর মালিকের মেয়ে সে । সে এসে বললো যে হ্যালো , ক্যান আই হেল্প ইউ ? আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম ।
প্রশ্ন : সে কি ইংরেজীতেই বললো।
উ: জ্বী । দিস ইস দ্যা ফাস্ট টাইম যে খুব সুন্দর করে আমাকে ইংরেজীতে কথা বললো । এখন আমি ওনার সঙ্গে বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিয়ে আলাপ করছি এবং যতই আলাপ করছি ততই যেন ইন্টারেষ্ট ফিল করছিলাম । যে ইমপসিবল যে চীনে এটা কিভাবে সম্ভব । তখন সে পরিচয় দিল যে সে কুয়াংচৌ ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশুনা করা মেয়ে । তখন থেকেই আমাদের মধ্যে পরিচয় গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন হেল্পের মধ্যে আমি তাদের কাছ থেকে অনেক ফার্নিচারও কিনি । তাকে বললাম যে ঠিক আছে আপনি সময় সময় আমাকে একটু সাহায্য করবেন । সে বললো যে ওকে সমস্যা নেই , আমি যদি না পারি তবে আমার ছোট ভাই আছে , প্রয়োজননে তাকে আমি পাঠিয়ে দেবো । সেও ইংরেজীতে কথা বরতে পারে । খুব ইন্টারেষ্টিং । যখন আমি আবার আসলাম তখন আমাকে মার্কেটিং-এ হেল্প করলো । তখন আসলে খুব একটা কানেকশন ছিলনা । তখন আমি টেলিফোনের মাধ্যমে মার্কেটে , ফ্যাক্টরিতে বা বুঝিনা বা খেতে পারিনা তাকে জানালে সে তা বলে দিত । এই ভাবেই তার সাথে আমার একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে । শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক থেকে প্রেম ভালোবাসা যাই বলেন । হয়ে যায় । মেন্টালী আমি ডিসিসন নেই যে আমার পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এখানে যদি একটা এক্সপোর্ট বিজনেস করতে পারি সেই বিষয় নিয়ে ওর সঙ্গে আমি বিস্তারিত আলাপ করলাম । সে এখন এমন কিছু বলে নাই বা মনে হয় নাই যে আমরা ভালোবাসি এবং আমরা কিছু করতে যাচ্ছি । দীর্ঘদিন পরে সে আমাকে সিগন্যার দিল ওকে তুমি এখানে ব্যবসা করতে পারো ।
প্রশ্ন: তাহলে আপনাদের পরিচয় ২০০৩ সালে ?
উত্তর: হ্যাঁ , ২০০৩ সালে । তখন তো আমি তাদের ক্লায়েন্ট ছিলাম । তাদের কাছ থেকে কিছু মালামাল বা ফার্নিচার কিনবো । এরর তার সাথে যতদিন কথা বরতে থাকি বা তার অনেষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করতে থাকি বিভিন্নভাবে চেক করে দেখলাম ভেরী অনেষ্ট ।
প্রশ্ন: দেশতো আলাদা , চিন্তাধারাও আলাদা
উত্তর: কালচারও আলাদ ।
প্রশ্ন: তাহলে আপনারা কিভাবে এ সমস্যার সমাধান করলেন ?
উত্তর: আমি ছোটবেলা থেকেই উদার মনের অধিকারী ছিলাম মনে হয় । আমি কে কি ধর্ম এসব নিয়ে চিন্তা করিনি । আমার ক্রেন্ড সার্কেলটাও ছিল ঐরকমই । আমিও মিশতাম ঐ রকমই । সবাইকেই আমার ভালো লাগতো । ওর মধ্যে এই এই জিনিসটা আছে । সে তার নিজের মতই চলে এবং বলে যে তুমি যেটা লাইক করো সেভাবেই তুমি চলো । কোন সমস্যা নেই । আমরা এভাবেই চলছি । এতে করে আমাদের কালচার বা আমাদের দেশের বাড়ীতে যখন যায় । তখন সেও সেখানে কোন সমস্যা ফিল করেনা । আমি বললাম না তার একটা ম্যানের্জিং পাওয়ার আছে । সে ম্যানেজ করতে পারে ইজিভাবে সব কিছু । সে যখন দেখে আমার মন খারাপ কিভাবে যে কথার মধ্য দিয়ে ম্যানেজ করে । আসলে কোন সমস্যা হচ্ছেনা কালচারের দিক থেকে । এবং তার ফ্যাসিলি থেকও আমরা কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি না ।
|