ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ২৪ ডিসেম্বর ঘোষণা করেছেন যে , দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে সোমালীয়ার ধর্মীয় সংস্থা--ইসলামিক আদালত ইউনিয়নের সঙ্গে দেশটি যুদ্ধ শুরু করেছে । এই ঘোষণার মধ দিয়ে ইথিওপিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে সোমালীয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার কথা জানালো ।
সোমালীয়া পূর্ব আফ্রিকার একি দ্বীপে দেশ । মোট লোকসংখ্যা ১ কোটি । আয়তন ৬.৩৮ লাখ বর্গকিলোমিটার । ১৯৬০ সালে সোমালীয়া প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৯১ সালের জানুয়ারী মাস থেকে সোমালীয়া ক্রমেই স্থায়ীসরকার না থাকা ও জাতিগত হিংসাত্মক সংঘর্ষের পড়েছে । জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৯২ সালের জানুয়ারী মাসে সোমালীয়ার ওপর অস্ত্র পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে । যাতে সেখানের ধর্মীয় সংঘর্ষের অবসান করা যায় । আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ১৯৯১ সাল থেকে এ সমস্যা সমাধানের বহু বার চেষ্টা করেছে , তবে সফল হয় নি ।
২০০৪ সালের জানুয়ারী মাসে সোমালীয়ায় শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি হয় । বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা কেনিয়ায় অন্তবর্তীকালীন সংসদ ও সরকার গঠনে চুক্তি স্বাক্ষর করে । একই বছরের ডিসেম্বর মাসে সোমালীয়ার অন্তবর্তীকালীন সরকার কেনিয়ায় গঠিত হয় । তবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা খুব কম বলে সোমালীয়ার পরিস্থিতি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় নি ।
চলতি বছর সোমালীয়ার ধর্মীয় সংস্থা-ইসলামিক আদালত ইউনিয়নের শক্তি বেড়েছে । চলতি বছরের জুন মাস থেকে এ সংস্থা মধ্য ও দক্ষিণ সোমালীয়ার অধিকাংশ এলাকা দখল শুরু করে ।
২২ জুন অন্তবর্তীকালীন সরকার ও ইসলামিক আদালত ইউনিয়ন সুদানের রাজধানী কার্তুমে শান্তি আলোচনার বলে এবং পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়ার এক চুক্তি স্বাক্ষর করে । তবে দু'পক্ষের শান্তি আলোচনা নভেম্বর মাসে ভেঙে গেছে । কারণ ইসলামিক আদালত ইউনিয়ন ইথিওপিয়াকে সোমালীয়ায় সৈন্য পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করে ।
১২ ডিসেম্বর ইসলামিক আদালত ইউনিয়ন ইথিওপিয় বাহিনীকে সাত দিনের মধ্যে সোমালীয়া থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবি জানায় , নইলে যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দেয় । সম্প্রতি দু'পক্ষের সংঘর্ষের কারণে হাজার হাজার সোমালী দেশ ত্যাগ করেছে ।
|