গত বিশ বছরে চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। নগরায়ন ও শিল্পায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহতভাবে উন্নত হওয়ায় গ্রামের বিরাট সংখ্যক অতিরিক্ত শ্রম শক্তি উন্নত অঞ্চলে গিয়ে চাকরি খুঁজে বের করেছে। কিন্তু কৃষক শ্রমিকদের ছেলেমেয়ে কিভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে? তাদেরকে সুস্থ পরিবেশে বড় হতে চাইলে কি করতে হয়? ২৫ ডিসেম্বর বিজ্ঞান বিচিত্রা আসরে লিলু শহরে যাওয়া কৃষকদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে কিছু বলবেন।
চীনের ইয়াংসি নদীর সবচেয়ে বড় শাখা নদী হচ্ছে হান চিয়াং নদী। হান চিয়াং নদীর তীরে বসবাসকারী দু'জন বৃদ্ধা হান চিয়াং নদীর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্যে অলিগলিতে ও পরিবারে পরিবারে গিয়ে পানি সম্পদের যত্ন নেয়ার ধারণা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। তাদের শুরু করা হেঁটে হেঁটে হান চিয়াং নদীর বরাবর পরিবেশ সংরক্ষণ তত্পরতার ফলে কার্যকরীভাবে কিছু স্থানীয় কারখানার দুষিত পানি নিষ্কাশনের কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের প্রতিষ্ঠিত হু পেই প্রদেশের প্রথম বেসরকারী পরিবেশ সংরক্ষণ সমিতিও বিভিন্ন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২৭ ডিসেম্বর সমাজ দর্পন আসরে শি চিং উ এ সম্পর্কে কিছু বলবেন।
উত্তর চীনের হোপেই প্রদেশের শিচাচুয়াং শহরের নিকটে ছ্যুইচেই নামে একটি গ্রাম আছে। গত শতাব্দির সত্তরের দশকে এই গ্রামটিকে চরম দরিদ্র গ্রাম বলে গণ্য করা হতো। গত ৩০ বছর ধরে এই গ্রামের লোকেরা যৌথ অর্থনীতির উন্নয়ন ও যৌথ স্বচ্ছলতা বাস্তবায়নের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি পথ অনুসন্ধান করেছেন। এখন এই গ্রাম চীনের একটি বিখ্যাত স্বচ্ছল গ্রাম হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর সেই গ্রাম এই জীবন আসরে থান ইয়াও খাং এই গ্রামের উন্নয়ন ও পরিবর্তন প্রসঙ্গে কিছু বলবেন।
২৩ বছর বয়সী চাং সিয়াও সিয়াও স্বামী ছাও ওয়েইর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমালাপ করেছেন। আর্থিক কারণে বিয়ের রেজিষ্ট্রি করণের এক বছর পরও তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয় নি। ৫ মাস আগে যখন তারা বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন , তখন একটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিত্সায় চাং সিয়াও সিয়াওয়ের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু সিয়াও সিয়াওয়ের জ্ঞান আর ফিরে আসে নি। তিনি এখন এক চেতনাহীন মানুষে পরিণত হয়েছেন। ছাও ওয়েই বিয়ের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে জাগিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিলেন। ২৯ ডিসেম্বর কন্যা জায়া জননী আসরে চুং শাও লি "আশ্চর্য বিয়ের অনুষ্ঠান" নামে একটি গল্প শোনাবেন।
গত কয়েক বছরে চীনে উচ্চ শিক্ষা দ্রুত প্রসারিত হয়েছে। প্রতি বছর চল্লিশ-পঞ্চাশ লাখ ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে। এই সব স্নাতকের মধ্যে অনেকে সংখ্যালঘু জাতির ছাত্রছাত্রী। পেইচিংয়ে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করার পর তাদের চিন্তাধারা ও ধারণার কি ধরনের পরিবর্তন হয়েছে? তারা কি জন্মস্থানে ফিরে গিয়ে চাকরি করছেন না পেইচিংয়ে চাকরি করছেন? এখানে কোন অসুবিধা আছে? ৩০ ডিসেম্বর ওরা অনন্য আসরে থান ইয়াও খাং সংখ্যালঘু জাতির কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকের কর্মসংস্থান সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলবেন।
তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই সকল শ্রোতাবন্ধুদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।
|