২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চালানো সম্পর্কিত প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে ।
প্রস্তাবে ইরানের প্রতি অবিলম্বে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও হ্যাভি ওয়াটার রিএক্টার সংক্রান্ত সকল তত্পরতার বন্ধ,বিভিন্ন দেশের প্রতি ইরানের সঙ্গে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ, হ্যাভি ওয়াটার রিএক্টার ও ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত সামগ্রি, প্রযুক্তি আর যন্ত্রপাতির পরিবহন নিষিদ্ধ করা , ইরানের পারমাণবিক পরিকল্পনা আর ক্ষেপণাস্ত্রের গবেষণা সংক্রান্ত ব্যক্তি ও কোম্পানির পুঁজি বাজেয়াপ্ত করা, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের দেশে যাওয়া আসার সময় নির্দিষ্ট তত্ত্বাবধান এবং নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্বাধীন শাস্তিমূলক কমিটির কাছে রিপোর্ট দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে ।
প্রস্তাবে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ইরান তার পারমাণবিক পরিকল্পনার বন্ধ প্রত্যাখ্যান করলে, নিরাপত্তা পরিষদ "জাতিসংঘের সনদের নীতি" অনুযায়ী তার ওপর বেসামরিক ব্যবস্থা নেবে ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একইদিন এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদ গৃহীত ইরানের বিরুদ্ধে চালানো শাস্তিমূলক প্রস্তাব অবৈধ । ইরান অব্যাহতভাবে পারমাণবিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে ।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিউ চিয়াছাও ২৪ ডিসেম্বর পেইচিংয়ে বলেছেন, চীন আশা করে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব কার্যকরী হবে এবং মনে করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ইরানের সমস্যা সমাধান করতে পারবে না । চীন বিভিন্ন পক্ষের প্রতি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পদ্ধতিতে আলোচনার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে ।
|