v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-21 14:21:03    
বুশ সরকার ইরাকে সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে

cri
২০ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জজ ডাবলিও বুশ জোর দিয়ে বলেছেন, ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরদীর্ঘস্থায়ীভাবেস্থল ও নৌ-বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানোর পদ্ধতি সম্পর্কে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর প্রস্তাব দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০ ডিসেম্বর ইরাক সফররত মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেইস ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সৈন্যবাহিনীর অফিসারদের সঙ্গে ইরাকে সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। জনমত অনুযায়ী, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র কোনঠাসা হয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইরাকে প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিগত কাঠামো গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যমাধ্যমগুলো বলেছে, ইরাকের নিরাপত্তার সমাধানের লক্ষ্যে বুশ সরকারের এই নীতি প্রয়োগ সর্বপ্রথম উদ্দেশ্য। ইরাকের নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান বাস্তবায়িত হলে সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানো বুশ সরকারের সর্বপ্রথম বিবেচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানো বুশ সরকারের সর্বপ্রথম বিবেচিত বিষয় হওয়ার দুটো কারণ রয়েছে। প্রথমত. বতর্মানে ইরাকে সহিংস ঘটনা দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে বলে বতর্মানেইরাকে মোতায়েন মার্কিন বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলের অনেকেই ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা মনে করেন. সম্প্রতি ইরাকের নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষা করা ইরাকে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য। সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যেকার সংঘর্ষ নিরসন করা যাবে । তাঁরা বলেছেন, ইরাকের বিদ্রোহী শক্তি আঘাতের শিকার হওয়ার পর কেবল জাতীয় সমঝোতার জন্যে ইরাক সরকারের প্রণয়নকৃত রাজনৈতিক পদক্ষেপ কার্যকর হতে পারে। ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সৈন্য বাড়ানো হলে ইরাকের বতর্মান বিশৃংখল পরিস্থিতি সাময়িকভাবে প্রশমিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত সাময়িকভাবে ইরাকে সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল আপত্তি উত্থাপনের কথা এখনো শোনা যায়নি। এমনকি মার্কিন কংগ্রেসের ' ইরাক সমম্যা সংক্রান্ত গবেষণা গ্রুপ' তার এক রির্পোটেও বলেছে, যদি ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করেন যে,. ইরাকের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে আরও বেশী মার্কিন সৈন্য প্রয়োজন, তাহলে তাড়াতাড়ি ইরাকে সৈন্য পাঠানোই' যুক্তিযুক্ত'। সৈন্য বাড়ানোর ব্যাপারে মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়াও নিরপেক্ষ। একটি খবরে বলা হয়েছে, নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গেইজ ২০ ডিসেম্বর ইরাক ঝঁটিকা সফর করেছেন তিনি স্থানীয় মার্কিন সেনাবাহিনীর অফিসারদের সঙ্গে ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সব অফিসার সৈন্যের সংখ্যা বাড়তে আপত্তি করেনি। তারা কেবল এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, আরও বেশী মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা বাড়ালে মার্কিন সৈন্য ইরাকের সহিংস ব্যক্তিদের আঘাতের শিকার হতে পারে। সামরিক ও রাজনীতি মহলে যারা সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি সমর্থন করেছেন তারা মনে করেন, ইরাকে মোতায়েন সৈন্যের সংখ্যা বাড়লে কেবল আংশিক সমস্যার সমাধান করা যাবে। কিন্তু ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের রণনীতি অবশেষে ইরাকের রাজনীতি , অর্থনীতি ও পররাষ্ট্র নীতিতে রুপান্তরিত হবে। তারা বলেছেন, ইরাকের পরিস্থিতি প্রশমিত হওয়র পর, ইরাক সরকারের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত। ইরাকের সেনাবাহিনীকে আরও সক্রিয়ভাবে সামরিক অভিযানে অংশ নিতে হবে। তা ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরাকের পুনগঠন কাজ সম্প্রসারণ করতে হবে। ইরাকীদের কর্মসংস্থানের জন্যে আরও বেশী সুযোগ দিতে হবে। ২০ ডিসেম্বর বুশ বলেছেন, ইরাক সমস্যায় সরকার যুক্তরাষ্ট্রের দু'টো পাটির সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষের মতামত শুনে এবং ইরাকের বাস্তবতা অনুযায়ী ইরাকে তার নীতির বাস্তবায়ন করবে। হোয়াইট হাউসের কমর্কতার্রা বলেছেন, আগামী বছরের প্রথম দিকে বুশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাকে তার নতুন রণনীতি প্রকাশ প্রয়োগকরবেন।