v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-20 16:14:16    
যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী---- প্রধান মন্ত্রী ব্লেয়ার ঝামেলায় পড়েছেন

cri
    ১৯ ডিসেম্বর ব্রিটেনের রাজকীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক গবেষণালয়ের প্রকাশিত এক রিপোটে বলা হয়েছে , ইরাক দুর্যোগ ঘটার পর সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের পদাংক অনুসরণ করায় গত দশ বছরে ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রী ব্লেয়ারের কার্য মেয়াদে গভীর ছায়া পড়েছে।

    এ রির্পোট হচ্ছে ১৯৯৭ সালের পর ব্রিটেনের পররাষ্ট্র নীতি সম্বন্ধে একটি পযার্লোচনা। এ রির্পোটে প্রথমে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ব্লেয়ার সরকারের প্রথম কার্য মেয়াদের পররাষ্ট্র নীতিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। রির্পোটে বলা হয়েছে , এ সময়পর্বে ব্লেয়ার শুধু যে ইইউর বিভিন্ন দেশের আস্থা অর্জন করেছেন তাই নয় তত্কালীণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিটেন সঙ্গে নিবিড় কর্ম সম্পর্কও বজায় রেখেছেন। সুতরাং সেই পর্যায়ের ব্রিটেন পররাষ্ট্র নীতিতে ' যোগ্য সাফল্য' অর্জিত হয়েছে। কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় কার্য মেয়াদে ইরাকের প্রতিব্রিটেনের নীতি ভূল প্রনাণিত হয়েছে।

    এ রির্পোটে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রপরিচালিত এবং ব্রিটেনের অংশ গ্রহণেইরাকের উপর হামলা হল একটি ভয়ংকর ভূল। এক দিকে ইরাকে যুদ্ধোত্তর সার্বিক যোলমালের সৃষ্টি হয়েছে, অন্য দিকে এই ভূল সিদ্ধান্ত আগামী কয়েক বছরে ব্রিটেনের নীতির উপর প্রভাব ফেলবে। ইরাক সমস্যায় ব্লেয়ার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের পিছনে লেগে থাকার ফলে শুধু যে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ছায়া পড়েছে তই নয় আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে ব্রিটেনের প্রভাব শক্তিও গুরুতরভাবে কামানো হয়েছে।এ প্রসঙ্গে বি বি সির একটি প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের জনসাধারণ ও ক্ষমতাসীন লেবার পাটিরের অভ্যন্তরে ইরাক যুদ্ধ নিয়ে ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে। এই চাপে কিছু দিন আগে ব্রেয়ার আগামী বছরের যথাচিত সময়ে প্রধান মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মানে হল, একটানা যুক্তরাষ্ট্রের পিছনে লেগে থাকার ফলে তিনি মূল্য দিয়েছেন।

    আরও দুর্ভাগ্য ব্যাপার এই যে, যদিও ব্রিটেনরাজনীতি, অর্থনীতি আর সামরিক ক্ষেত্রে বিরাট ত্যাগ দিয়েছে , তবু কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদিতে ব্রেয়ার সরকারের বুশ সরকারের উপর প্রভাব আরোপের সার্মথ্য নেই। রাজকীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক গবেষণালয়ের এ রির্পোটে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘর্ষ একটি উদাহরণ হিসেবে মনে করা হয়েছে, যদিও প্রেসিডেন্ট বুশ অবশেষে ফিলিস্তিনের দেশ গঠনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে, তবু কোন লক্ষণ দেখা যায়

    না যে প্রেসিডেন্ট বুশ ব্রেয়ারের প্রস্তাব গ্রহণ করার পর ফিস্তিনের দেশ গঠনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। ইংগ-মার্কিন সম্র্পকে ব্রেয়ার ভূমিকা খুব একটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই গবেষণালয়ের মহা পরিচালক টোমাস বলেছেন, ব্রেয়ার নিজেও উপলদ্ধি করেছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শর্তহীনভাবে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিকে সমর্থন করা অর্থহীন। সুতরাং তাঁর উত্তর সুরীর এই ভূল এড়ানো উচিত।

    এ রির্পোটে আরও প্রস্তাব করা হয়েছে , ব্রিটেনের উচিত ইইউর সঙ্গে সম্পর্ক পুনরদ্ধার করা। সবাই জানে যে , ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধ বাঁধানোর আগে ও পরে ফ্রান্স, জার্মানী এবং রাশিয়া জাতি সংঘের অনুমোদন ছাড়া ইরাকের উপর যুক্তরাষ্ট্রের বলপ্রয়োগের তীব্র বিরোধীতা করেছিল। কিন্তু ব্রিটেন নগ্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য যদিও ব্রিটেন নানা ধরনের চেষ্টা চালিয়েছে, তবু এই ফাটল পুরণ করা যায় নি।

    এ রিপোটে বলা হয়েছে, যদি ইউরোপীয় অংশীদাররা এখনও ব্রিটেনের উপর গুরুত্ব দেয় তাহলে ব্লেয়ারেরউত্তর সুরী ব্রিটেনকে ইউরোপের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারবে।

    এ রিপোট প্রকাশিত হওয়ার এই দিন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফররত ব্লেয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ে

    রির্পোটেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সম্বন্ধে যে মন্তব্য করা হয়েছে তিনি তা খন্ড করেছেন। তিনি বলেছেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূরে থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্রিটেনের মযার্দার উপর বিধ্বংসি প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেছেন, তিনি কোন দিন তথ্য মাধ্যমগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক পরিত্যাগ করবেন না।