v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-19 16:02:04    
চীনের বিখ্যাত পরিচালক চান ই মোওয়ের নতুন ছবি ' সোনালী ফুলের অভিশাপ 'এর মুক্তি

cri
    চীনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরচালক চান ই মোয়ের তৈরী নতুন চলচ্চিত্র ' সোনালী ফুলের অভিশাপ ' ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন সিনেমা হলে দেখানো হয়েছে । এ উপলক্ষে পেইচিংয়ে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন মুরু হয়। এ চলচ্চিত্রের জন্য মোট ৩৬ কোটি ইউয়ান বিনিয়োগ করা হয়েছে । এ বছরের প্রথম দিক থেকেই প্রচার মাধ্যমগুলো এ নতুন ছবি প্রচার করতে শুরু করে । এ ছবি চীনের বিনোদন মহলের এক হিট পয়েন্টে পরিণত হয়েছে । ব্যাপক দর্শক চান ই মোয়ের এ নতুন চলচ্চিত্রের উপর বড় আশা পোষন করেন ।

    নেট নাগরিকরা ইন্টারনেটে ' সোনালী ফুলের অভিশাপ ' সম্পর্কিত কয়েক লাখ তথ্য পড়তে পারেন । এই ছায়াছবি তৈরীর শৈলী নতুন , ছবিতে অনেক নামকরা অভিনেতা -অভিনেত্রী বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন । কাজেই ব্যাপক চলচ্চিত্র অনুরাগীরা এ বছরের শুরু থেকেই এই ছায়াছবির মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন ।

    ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ছায়াছবি ' সোনালী ফুলের অভিশাপ 'এর মুক্তি অনুষ্ঠান পেইচিং চলচ্চিত্র স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত হয় । পরিচালক চান ই মোও অন্য একটি নাটক পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় , এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন নি।

    চলচ্চিত্র ' সোনালী ফুলের অভিশাপ'-এর কাহিনী চীনের বিখ্যাত নাটক ' বজ্রপাত '-এর ভিত্তিতে পরিবর্তন করা হয় । নাটক ' বজ্রপাতে ' গত শতাব্দীর বিশের দশকে চীনের এক সামন্ততান্ত্রিক পরিবারের বিয়োগান্ত কাহিনী বণর্না করা হয়েছে । পরিবারের বড় ছেলে চৌ ফিন এ পরিবারের কর্তা , শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রধান চৌ ফু ইউয়ান ও পরিবারের কাজের মেয়ে লু সি ফিংয়ের ছেলে । চৌ ফু ইউয়ান পরে বড় ছেলের মা লু সি ফিংকে তাড়িয়ে ফান ইকে বিয়ে করেন । চৌ ফিংয়ের সত্ মার বয়স কম , চৌ ফিন নিজের সত্ মা ফাই ইর প্রেমে পড়েন। কিন্তু ধীরে ধীরে চৌ ফিন আর ফান ইকে পছন্দ করেন না , বরং পরিবারের কাজের মেয়ে সি ফোংকে ভালোবাসতে শুরু করেন । তিনি ভাবতেও পারেন নি যে সি ফোং আসলে তার আপন বোন । তিনি যখন এই খবর পান , চৌ ফিন আত্মহত্যা করেন । সি ফোংও সঙ্গে সঙ্গে আত্মহত্যা করেন । চৌ ফু ইউয়ানের ছোট ছেলে চৌ ছুংও কাজের মেয়ে সি ফোংকে ভালোবাসেন । সি ফোংয়ের আত্মহত্যার খবর পেয়ে চৌ ছুং এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান । এ ধরনের একটি আধুনিককালের জটিল পারিবারিক কাহিনীর ভিত্তিতে পরিচালক চান ই মোও ' সোনালী ফুলের অভিশাপ ' নামে এই চলচ্চিত্র তৈরী করেছেন ।

    চান ই মোও কাহিনীটির পটভূমি প্রাচীন চীনের রাজপ্রাসাদ বেছে নিলেন। নাটকের কাহিনীটি তিনি রাজা , রাণী , রাজকুমারী ও রাজপ্রাসাদের পরিচারিকার মধ্যের সম্পর্কে পরিণত করেন । চান ই মোও বলেছেন , তিনি নাটক ' বজ্রপাতের ' কাহিনী পছন্দ করেন এবং এই কাহিনীর চরিত্রগুলোর মনের দ্বন্দ্ব পছন্দ করেন , কিন্তু তার পরিচালিত চলচ্চিত্রে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে । তিনি বলেছেন , আমি মনে করি , নাটককে চলচ্চিত্রে পরিণত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো চরিত্রগুলোর কথাগুলো বাদ দিয়ে তা'কে অভিণয়ে পরিণত করা । তাই চরিত্রগুলোর নতুন সম্পর্ক খুঁজে বের করতে হবে এবং দশর্কদের পছন্দ প্রণালীতে তা' প্রকাশ করতে হবে।

    জানা গেছে , গত দু বছরে চান ই মোও এই চলচ্চিত্রের বাহিনী দশ-বারোবার সংশোধন করেছেন । তিনি বিশ্ববিখ্যাত অভিনেতা চৌ রেন ফাকে রাজা , কোন লিকে রাণী এবং বিখ্যাত অভিনেতা লিউ ইয়ে ও চৌ চে লুনকে দুই রাজপুত্রের চরিত্রে বেছে নিলেন । এ চলচ্চিত্রে মারামারির দৃশ্য তোলা এবং বিমান থেকে দৃশ্য তোলার জন্য চলচ্চিত্রটির বিনিয়োগ সাধারণ চলচ্চিত্রের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। এ চলচ্চিত্রের বিনিয়োগ চীনের চলচ্চিত্র তৈরী ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি । তাই দশর্করা এ চলচ্চিত্রের ওপর বড় আশা রাখেন । একজন দশর্ক বলেছেন , এ ছায়াছবি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি । আমি মনে করি এ চলচ্চিত্র সম্পর্কিত প্রচার নিয়ে বাড়াবাড়ি হয় নি । অভিনেতা অভিনেত্রীদে অভিনয় চমত্কার । বিশেষ করে রাজপুত্রের অভিনেতা চৌ চে লুনের অভিণয় আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে । চলচ্চিত্রটির নাম সোনালী ফুলের অভিশাপ , সত্যিই আমরা এ ছবিতে প্রচুর সোনালী রংয়ের চন্দ্রমল্লিকা দেখেছি । এ ধরনের দৃশ্য অন্য চলচ্চিত্রে আমরা দেখতে পাই না । তাই আমি এ চলচ্চিত্রকে পছন্দ করি । অন্য একজন দর্শক বলেছেন , আমি এ চলচ্চিত্র দেখে সন্তোষ বোধ করছি। ছায়াছবি ' বীর 'এর পর এটা আরেকটি চমত্কার ছবি । অভিনেতা –অভিনেত্রীদের অভিনয় প্রশংসার যোগ্য । একটা কথা আমি বলতে চাই , চলচ্চিত্রের সময়সীমা বড় জোর দু ঘন্টার কিছু বেশি , সময়সীমা আরো একটু বাড়াতে পারলে কাহিনীটি আরো পরিপূর্ণ হতে পারত ।