v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-19 15:30:10    
বুশ মার্কিন-ভারত পরমাণু শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করেছেন

cri
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জজ ডাবলিও বুশ ১৮ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বে-সামরিক পরমাণু শক্তি সহযোগিতা বিষয়ক একটি বিলে সই করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে বে-সামরিক পারমাণবিক জ্বালানী ও প্রযুক্তি রফতানি করার অনুমোদন দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বুশ এই বিলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে একবিংশ শতাব্দীতে জ্বালানীসম্পদ ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জা মোকাবেলার ব্যাপারে এই বিলের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, এই বিলে স্বাক্ষর একটি ঐতিহাসিক ভূল। এই বিল পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে বিশ্ব সম্প্রদায়েরউদ্যোগে বাধা সৃষ্টি করবে।

    প্রেসিডেন্ট বুশ সই করার আগে এই বিল মার্কিন কংগ্রেসে অনুমোদিত হয়। দু'দেশের মধ্যে বে-সামরিক পরমাণু শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ভিত্তিতে এই বিলের প্রধান বিষয়বস্তু নির্ধারিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী , যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে বে-সামরিক পারমাণবিক প্রযুক্তি, জ্বালানী আর চুল্লি বিক্রি করবে। বিনিময়ের শর্ত হিসেবে ভারতের বে-সামরিক পরমাণু ব্যবস্থ থেকে সামরিক পরমাণু ব্যবস্থা বিভক্ত করতে হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ১৪টি বে-সামরিক পরমাণু ব্যবস্থাকেআন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে পরীক্ষা ও পযর্বেক্ষণ করতে দিতে হবে। এই বিলে নিধার্রন করা হয়েছে, যদি ভারত আরেক বার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে পারমাণবিক সামগ্রীর রফতানি বন্ধ করবে।

    স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেবুশ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ' প্রাকৃতিক অংশিদার' । তিনি বলেছেন, ভারতের দিন দিন বাড়া জ্বালানী চাহিদা আন্তর্জাতিক তেল বাজারে যে চাপ সৃষ্টি করেছে এই বিলে স্বাক্ষর তার পরিমাণ কমিয়ে দিবে। পারমাণবিক শক্তি সহযোগিতা দু'পক্ষের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করবে এবং মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্যে কয়েক শো কোটি মার্কিন ডর্লারের ব্যবসা আনবে। তিনি মনে করেন, এই বিল বিশ্ব সম্প্রদায়ের পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ উদ্যোগেভারতের অংশ গ্রহণের পথ সুগম করবে। কেননা, ভারত স্বদেশের ১৪টি বে-সামরিক পরমাণু ব্যবস্থা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে মেলে ধরতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেছেন, মার্কিন-ভারত সম্পর্ক এর আগে কোন দিনই এত গুরুত্বপূর্ণ হয়নি।

    এখানে উল্লেখ্য, বুশ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে মার্কিন-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নত হয়েছে। ২০০৫ সালের জুলাই মাসে যখন ভারতের প্রধান মন্ত্রী মনোমহন সিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসফর করেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বে-সামরিক পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট বুশ ভারত সফর করার সময় দু'দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বে-সামরিক পরমাণু শক্তি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    এক দিকে প্রেসিডেন্ট বুশ এই বিলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, অন্য দিকে সমালোচকরা এই বিল অস্বীকার করেছেন। সমালোচকরা বলেছেন, এই বিলের স্বাক্ষর পুরোপুরি পরমাণু রফতানি নিষেদ্ধ সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের আগেকার প্রাসঙ্গিক আইনগত বিধান পরিবর্তন করেছে।

    কয়েক জন পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বতর্মানে ভারত ৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র অধিকার করেছে। আগামী দশ বছরের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ ৪০০টি বাড়বে বলে অনুমাণ করা হচ্ছে। তাদের উদ্বেগ হল এই বিল স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে নতুন দফা পরমাণু প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। যাল ফলে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    কিন্তু প্রেসিডেন্ট বুশ এ সব সমালোচনা উপেক্ষা করে অবশেষে এই বিল স্বাক্ষর করেছেন। এখন এই বিল দু'দেশের মধ্যে পরমাণু সহযোগিতা চালানোর পথ সুগম করেছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা সহ কয়েকটি আন্তর্জিতক সংস্থার অনুমোদনের পর এই বিল কার্যকর হবে।