v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-18 14:11:40    
১১--১৮ ডিসেম্বর, ২০০৬

cri
চীন-মার্কিন প্রথমকৌশলগত অর্থনীতি সংলাপ শেষ

চীন-মার্কিন প্রথমকৌশলগত অর্থনীতি সংলাপ দু'দিন চলার পর ১৫ ডিসেম্বর পেইচিংএ শেষ হয়েছে। দু'পক্ষের মধ্যে পরষ্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মনোভাবে মতভেদ মোকাবেলার ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে। দু'পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দ্বিতীয় চীন-মার্কিন কৌশলগত অর্থনীতি সংলাপ আগামী বছরের মে মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সংলাপে দু'পক্ষ বাণিজ্য, পুঁজিবিনিয়োগ, জ্বালানিসম্পদ, পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়ন সহ দু'দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত দীর্ঘস্থায়ী আর কৌশলগত বিষয় নিয়েবিষয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছে।

চীনের উপ প্রধান মন্ত্রী উ ই এবং মার্কিন অর্থ মন্ত্রী পোলসন যথাক্রমে দু'দেশের প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে এবারের সংলাপের সভাপতিত্ব করেছেন।

একই দিন পোলসনের সঙ্গে প্রধান মন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও বলেছেন, চীন-মার্কিন প্রথম কৌশলগত আথ-বাণিজ্যিক সংলা শুধু যে প্রয়োজনীয় তাই নয় কল্যাণকরও বটে। এবারের সংলাপের আয়োজন সুদুরপ্রসারি তাত্পর্যসম্পন্ন।উ ই বলেছেন, এবার সংলাপের মাধ্যমে দু'পক্ষের পারষ্পরিক সমঝোতা ও আস্থা বেড়েছে। পোলসন বলেছেন, এবারের সংলাপে খোলাখোলিভাবে আলোচনা হয়েছে। সংলাপে কিছুটা সাফল্যও অর্জিত হয়েছে।

জানা গেছে, আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় কৌশলগত সংলাপে দু'পক্ষের মধ্যে উদভাবন, শিক্ষা সহ বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে।

পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের সমুদ্রমন্ত্রীরা চীনের হাইখৌ শহরে এসেছেন

পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের সমুদ্রমন্ত্রীপর্যায়ের সম্মেলন-২০০৬ ১৪ ডিসেম্বর চীনের দক্ষিণাঞ্চলের হাইখৌ শহরে শুরু হয়েছে। কম্পুচিয়া , চীন, উত্তর কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান , লাওস, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া , সিঙ্গাপুর, পূর্ব টিমোর এবং ভিয়েতনামসহ ১১টি দেশের সমুদ্রমন্ত্রীরা এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

সম্মেলনে সমুদ্রমন্ত্রীরা " পূর্ব এশিয় সামুদ্রিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক হাইখৌ প্রস্তাব" স্বাক্ষর করেছেন। এ প্রস্তাবের কাঠামোয় পূর্ব এশিয় সমুদ্রের বিভিন্ন দেশের অংশীদারি সম্পর্ক আরো জোরদার করবে। যাতে এ অঞ্চলের সামুদ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায় ।

চীনের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি অন্যান্য দেশের জন্য সুযোগ যুগিয়েছে : বিশ্ব ব্যাংক

১৩ ডিসেম্বর বিশ্ব ব্যাংক প্রকাশিত ' ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির প্রত্যাশা' শিরোনামে রির্পোটে বলা হয়েছে, চীন আর ভারত সহ উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি অন্যান্য দেশের জন্য সুযোগ যুগিয়ে দিয়েছে। রির্পোটে বলা হয়, চীন, ভারত আর অন্যান্য নতুন বাজারের বিকাশ উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোর রফতানির বৃদ্ধি পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সুযোগ এনে দিয়েছে। চীন, ভারত সহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর রফতানির পরিমাণ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দেশের জ্বালানীসম্পদ, প্রযুক্তির রফতানিও বাড়ানো হবে। তা ছাড়া, অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চীন, ভারত সহ দেশগুলোর বেতন ও জীবনের মানও আপনাআপনি বাড়বে। রির্পোটে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় চীনে বেতন বৃদ্ধি হার বেশী। বিশ্ব ব্যাংকের এই রির্পোটে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, চলতি বছর বিশ্বের অর্থনীতির বৃদ্ধি হার ৩.৯ শতাংশতে পৌছবে বলে আশা করা হচ্ছে। রির্পোটে আরও বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশসমূহের কার্যকলাপ বিশ্বব্যাপী দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব সৃষ্টি করবে।

আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে চীন, জাপান আর ভারতের মধ্যে অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিগান ১২ ডিসেম্বর পেইচিংএ বলেছেন, চীন, জাপান আর ভারত এই অঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা, অভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং অভিন্ন সমৃদ্ধি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেএ তিনটি দেশের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। ভারতের প্রধান মন্ত্রী শীঘ্রই জাপান সফর করবেন --এ প্রসঙ্গে তাঁর মতামত কি , সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, চীন মনে করে, চীন , জাপান আর ভারত সহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের উচিত সংলাপ , মতামত ও সহযোগিতা জোরদার করা। তা ছাড়া মিলিতভাবে এই অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধিতে আত্মনিয়োজিত হওয়া উচিত।

চীন ও পাকিস্তান তিনটি শক্তির উপর আঘাত হানার সহযোগিতা চুক্তির অনুমোদন পত্র বিনিময় করেছে

১২ ডিসেম্বর পেইচিংএ চীন ও পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাসবাদী, বিছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী শক্তির উপর আঘাত হানার সহযোগিতা চুক্তির অনুমোদন পত্র বিনিময় করেছে।

গত বছরের এপ্রিল মাসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে মোট ১৮টি বিধান রয়েছে। চুক্তিতে এ তিনটি শক্তির অর্থ নিধার্রিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, দু'পক্ষ পরষ্পরকে সহায়তা প্রদান করবে। তা ছাড়া প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ জোরদারের ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতা জোরদার করা হবে। অনুমোদন পত্র বিনিময়ের সেই দিন থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে।

চীন ও পাকিস্তানের যৌথ সামরিক মহড়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে

" মৈত্রী ২০০৬"নামে চীন ও পাকিস্তানেরসন্ত্রাস দমন সংক্রান্তযৌথ সামরিক মহড়া ১১ ডিসেম্বর উত্তর পাকিস্তানে শুরু হয়েছে এবং তা ১৮ ডিসেম্বর শেষ হবে । সামরিক সাজসরঞ্জাম প্রদর্শন, প্রকৌশল ও রণকৌশল প্রশিক্ষণবিনিময় এবং গোলাগুলি বিনিময় সহ চীন ও পাকিস্তানের এই "মৈত্রী২০০৬" নামে যৌথসামরিক মহড়া দুভাগে বিভক্ত । চীনের ছেনতু সামরিক অঞ্চলের একটি ইউনিট এবং পাকিস্তানের স্থলবাহিনীর ৮০তম পাহাড়ি ব্রিগেডের এক ব্যাটালিয়ান ও এক কোম্পানির সামরিক সদস্যরামহড়ায় অংশ নিচ্ছে ।এবারের যৌথ সামরিক মহড়ার উদ্দেশ্য হল , চীন ও পাকিস্তান দুই দেশ ও দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কেরসম্প্রসারণকরা , পারস্পরিক সামরিক আস্থাজোরদার করা , পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাস দমনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করা , সন্ত্রাস দমনে দু দেশের সেনাবাহিনীর যৌথভাবে যুদ্ধ করার সামর্থ্য বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে সন্ত্রাস দমনের পরিবেশ সৃষ্টি করা ।

নেপালের ক্ষমতাসীন জোট ও সরকার-বিরোধী সশস্ত্র দল অস্থায়ী সংবিধান সম্পর্কে একমত

নেপালের ক্ষমতাসীন জোট ও সরকার-বিরোধী সশস্ত্র দল ১৬ ডিসেম্বর কাঠমন্ডুতে খসড়া অস্থায়ী সংবিধান সম্পর্কে একমত হয়েছে । এভাবে নেপালে অস্থায়ী সরকার গঠনের পথ সুগম হয়েছে ।

পুরো এক রাতের আলোচনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গিরিজা প্রাসাদ কৈরালাসহ নেপালের ক্ষমতাসীন জোটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং সরকার-বিরোধী সশস্ত্র দলের নেতা প্রাচান্দা খসড়া অস্থায়ী সংবিধান সম্পর্কে একমত হয়েছেন ।

এ অস্থায়ী সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী দেশের সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন ।

নেপালের মন্ত্রিসভা ও সংসদের অনুমোদন পাওয়ার পর এ অস্থায়ী সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে ।

পূর্ব শ্রীলংকার প্রায় ১৪ হাজার শরণার্থী টাইগার সংস্থার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল পালিয়ে

গিয়েছে

শ্রীলংকা সরকারের একজন কর্মকর্তা ১৭ ডিসেম্বর বলেছেন, নভেম্বর মাসের পর, সরকারী বাহিনী ও তামিল টাইগার সংস্থার মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে সংঘর্ষের কারণে প্রায় ১৪ হাজার বেসামরিক লোক এল টি টি ই নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে সরকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে চলে এসেছে।

শ্রীলংকার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, শুধু মাত্র ১৬ ডিসেম্বরেই ৩ হাজার ৪৪৬'জন শরণার্থীসরকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পালিয়ে এসেছে।

৭ ডিসেম্বরের পর, শ্রীলংকার সরকারী বাহিনী ও এল টি টি ই'র মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের ভাহারাই'র কাছে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এল টি টি ই অভিযোগ করেছে যে সরকারী বাহিনী প্রথমে তাদের ওপর হামলা করেছে এবং সরকারী বাহিনী বলেছে যে এল টি টি ই প্রথম তাদের ওপর হামলা চালায়।

১৫তম এশিয়ান গেমস দোহায় শেষ হয়েছে

১৫ ডিসেম্বর রাতে ১৫তম এশিয়ান গেমস কাতারের রাজধানী দোহায় শেষ হয়েছে ।

৪৫টি দেশ ও অঞ্চলের ১০ হাজারেরও বেশি ক্রীড়াবিদ গেমসটিতে ৪২৪টি স্বর্ণ পদক নিয়ে প্রতিযোগিতা করেছেন ।১৫দিনব্যাপী এবারের গেমসে ২৬টি দেশ ও অঞ্চল স্বর্ণপদক অর্জন করেছে । মোট ৩৮টি দেশ ও অঞ্চল পদক পেয়েছে । এর মধ্যে চীন দল ১৬৫টি স্বর্ণপদক, ৫৮টি রৌপ্যপদক আর ৬৩টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে স্বর্ণপদকের ও পদকের সংখ্যারদিক থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে । দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান যথাক্রমে স্বর্ণপদকেরতালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের অধিকারী হয়েছে ।এশিয়ার ক্রীড়াজগতেএখনো চীন , দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এই তিনটি দেশের মধ্যেকার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধান্য রয়েছে । কিন্তু কিছু খেলার ইভেন্টে মধ্যএশিয়া ও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর কিছু অগ্রগতি হয়েছে । এবারের গেমসে মেয়েদের ভার উত্তোলনে ৫টি বিশ্ব রেকর্ডসৃষ্টি হয়েছে । এর মধ্যে ৪টি রেকর্ডচীনা খেলোয়াড়রা সৃষ্টি করেছেন ।

দোহা এশিয় গেমসের সাংগঠনিকদের আন্তরিক দায়িত্ব পালনের জন্য অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দল ও সংবাদমাধ্যমগুলোর ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছে ।

১৬তম এশিয়ান গেমস ২০১০ সালে দক্ষিণ চীনের কুয়াংচৌ শহরে অনুষ্ঠিত হবে ।

বান কি-মুনের জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে শপথ গ্রহণ

জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব বান কি-মুন ১৪ ডিসেম্বর ৬১ তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ সম্মেলনে শপথ গ্রহণ করেছেন। তিনি আগামী বছরের পয়লা জানুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

শপথ অনুষ্ঠানের শেষে বান কি-মুন তাঁর ভাষণে বলেছেন, তিনি জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী নিষ্ঠা ও কঠোরভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ ধরে দায়িত্ব পালন করবেন।

বান কি-মুনের শপথ গ্রহণ করার আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সকল সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে প্রস্তাব পাস করেছেন। তাঁরা বর্তমান আনানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং জাতিসংঘের সংস্কার ও উন্নয়নে তাঁর গুরুত্বপূর্ণের অবদানের প্রশংসা করেছেন। আনানের দ্বিতীয় কার্যমেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।