v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-13 18:05:38    
ছয় পক্ষীয় বৈঠকের প্রধান আলোচ্যবিষয় "অভিন্ন বিবৃতি"

cri

    কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত ছয় পক্ষীয় বৈঠক এক বছর বন্ধ থাকার পর ১৮ ডিসেম্বর পেইচিংয়ে আবার শুরু হবে। চীন সরকার জানিয়েছে, এবারের বৈঠকের প্রধান আলোচ্যবিষয় হবে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত চতুর্থ দফা বৈঠকে স্বাক্ষরিত "অভিন্ন বিবৃতি" বাস্তবায়ন করা। চীনের আন্তর্জাতিক সমস্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, ছয় পক্ষীয় বৈঠক পুনরায় শুরু করা কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সংকট নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্যসম্পন্ন রয়েছে।

 চীন, উত্তর কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া ও জাপান এই ছয়টি দেশের অংশগ্রহণে কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত বৈঠক ২০০৩ সালে শুরু হয়। গত বছরের নভেম্বর মাসে পঞ্চম দফা বৈঠকের প্রথম পর্যায়ের সম্মেলন আয়োজনের পর আজ পর্যন্ত তা স্থগিতাবস্থায় ছিল। এ বছরের অক্টোবরে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা করার কথা ঘোষণা করার পর দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র বিরোধিতার শিকার হয়েছে। আলোচনার পর বিভিন্ন পক্ষ এ মাসের ১৮ তারিখে ছয় পক্ষীয় বৈঠক পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন কাং ১২ ডিসেম্বর দেশি-বিদেশী সংবাদদাতাদের বলেছেন,

 "ছয় পক্ষীয় বৈঠকের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো তাদের প্রতিনিধি দল নিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলন বহু পক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন পক্ষ গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত "অভিন্ন বিবৃতি" সার্বিকভাবে কার্যকর করা, কোরিয় উপদ্বীপে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্তকরণ বাস্তবায়নসহ নানা বিষয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করবে ও মত বিনিময় করবে। "

 কোরিয় উপদ্বীপের পরিস্থিতির নতুন পরিবর্তনের দরুণ এই "অভিন্ন বিবৃতি" কার্যকর করার জন্য নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক চিয়া ছিং কুও আমাদের সংবাদদাতা সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করা ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতিপুরণ দেয়া এই দুটি কাজের মধ্যে কোনটা প্রথম করা হবে? তা এখনো অমীমাংসিত সমস্যা। এর পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান এই তিনটি দেশের নতুন অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও অবস্থান নতুন মতভেদের সৃষ্টি করবে। তিনি বলেছেন, "উত্তর কোরিয়া কোন পর্যায়ে পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করতে রাজি আছে। এটা একটি প্রশ্ন। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে উত্তর কোরিয়া ছয় পক্ষীয় বৈঠকে জাপানের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনা করার বিষয়ে কতোটুকু রাজি আছে। কারণ এ প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় জাপান অতি শক্ত অবস্থান পোষণ করেছে। উত্তর কোরিয়া এর জন্য অসন্তুষ্ট। আরেকটি বিষয় হচ্ছে এখন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি খুবই স্পর্শকাতর অবস্থায় আছে। যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু আপোষ করবে, সেটাও একটি প্রশ্ন।"

 আসন্ন ছয় পক্ষীয় বৈঠকে চীনের অবস্থানের ওপর এখন সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে চিয়াং ছিং কুও বলেছেন, "আমি মনে করি, ভবিষ্যতে চীন অব্যাহতভাবে কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক অস্ত্রমুক্তকরণ ও শান্তিপুর্ণ উপায়ে কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা সমাধান এই দুটি মূলনীতি অনুসরণ করবে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। ফলে চীন উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা পরিত্যাগ করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করবে।"

 চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের মুখপাত্র ছিন কাং বলেছেন, "আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ নমনীয় ও বাস্তব মনোভাবের ভিত্তিতে বৈঠকে ইতিবাচক ফলাফল অর্জনের জন্য চেষ্টা চালাবে। চীন অব্যাহতভাবে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও আলোচনা করবে। চীন কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক অস্ত্রমুক্তকরণ তথা উত্তর-পূর্ব এশিয় অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাস্তবায়নের জন্য ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক।