মানুষের শরীরে যদি রক্ত জমাট বেঁধে যায়, তাহলে সহজভাবেই হৃদ রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা খুব বেশি। রক্ত জমাট বাঁধার কারণ অনেক । যেমন রক্ত ও মেদের রাসায়নিক রূপান্তরের অস্বাভাবিকায়ন, উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়াবেটিস, মোটা হওয়ার মত রোগ । এ জন্য আমাদের সাধারণ জীবনে কয়েক ধরনের খাবার একটু বেশি খেলে, এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমানো সম্ভব হবে ।
আদা. আদার মধ্যে থাকা কিছু উপাদান অ্যাসপিরিনের চেয়েও আরো ভালভাবে রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করতে পারে । এ জন্য আদাকে রক্তের পরিস্কারক বলা হয় । আদা রক্ত জমাট কমানোর জন্য হৃদযন্ত্রে ও মাথায় এটাক রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে ।
পেঁয়াজ: পেঁয়াজ রক্তনালীর সম্প্রসারণকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং রক্ত চলাচলের পরিমাণ বাড়াতে পারে ,যাতে রক্তের জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করা যায় । তাছাড়া পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে এক উপাদান যা রক্ত অণুচক্রিকার জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে পারে ।
মাছ : বিশেষ করে নদীর মাছ রক্তের মেদ সমন্বয় করার পাশাপাশি রক্ত কোলস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, এর ফলে রক্তের জমাট বাঁধার হারকে কমানো যায় ।
চা. বিশেষজ্ঞরা মনে করেন চা রক্তের অণুচক্রিকার জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে পারে । বিশেষ করে গ্রীণ টি বা সবুজ চার মধ্যে অ্যাসপিরিনের মত কিছু উপাদান রয়েছে যা রক্তের অণুচক্রিকার জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে পারে । এ জন্য সবসময় গ্রীন টি বা সবুজ চা খান, আপনার রক্তের চলাচলে তা সাহায্য করবে ।
কালো ছত্রাক. কালো ছত্রাকের মধ্যে রয়েছে এমিনোফেনল, খনিজ সম্পদ ও ভিটামিনসহ বিভিন্ন উপাদান যা রক্ত জমাটের ক্ষেত্রে সহায্য করতে পারে ।
কাঁচা মরিচ: যদিও কাঁচা মরিচ রক্ত জমাট প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ক্ষণস্থায়ী ভূমিকা পালন করে তবুও সবসময় তা খেলে সূক্ষ্ম রক্ত জমাট প্রতিরোধের জন্য তা পরিস্কারের কাজে সহায়ক হবে ।
জলপাইয়ের তেল: জলপাইয়ের তেলের মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধা কমাতে পারে । সবসময় খেলে শরীরের জন্য তা শুভ ।
সবজি ও ফল : সবজি ও ফলের মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে । টেটা রক্তের প্ল্যইটে মিশে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে এবং রক্তের মধ্যে কোলস্টেরলের পরিমাণ কমাতে পারে ।
|