v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-12 20:35:49    
চীনের টিভি শিল্প তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে রয়েছে

cri
    বতর্মান চীনে টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপভোগ করা ইতোমধ্যে জনসাধারণের জীবনের একটি অংশে পরিণত হয়েছে ।দশর্করা টি ভি অনুষ্ঠান দেখার মাধ্যমে দেশবিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার খবর পান এবং চলচ্চিত্র ও নাচগান অনুষ্ঠান উপভোগ করেন । চীনে একটি কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র ও ৩১টি প্রাদেশিক টেলিভিশন কেন্দ্র আছে । উন্মুক্ত পরিবেশে বিভিন্ন টেলিভিশন কেন্দ্র অনুষ্ঠান আরো জনপ্রিয় করার জন্য পরস্পরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতায় নেমেছে । চীনের জাতীয় বেতার ও টেলিভিশন ব্যুরোর উপপ্রধান হু চান ফান বলেছেন , সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিভিন্ন টেলিভিশন কেন্দ্র সাহসের সঙ্গে সংস্কার করে টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে । তারই সঙ্গেটেলিভিশন কেন্দ্রে আরো বেশি আধুনিক সরঞ্জাম আমদানি করছে এবং নিজের অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছে ।

    সি সি টি ভি হচ্ছে চীনের একমাত্র কেন্দ্রীয় টিভি কেন্দ্র । সি সি টি ভির অনুষ্ঠানগুলো চীনা নাগরিকরা পছন্দ করেন । এর মধ্যে সি সি টি ভি এক নম্বর চ্যানেলের অনুষ্ঠানগুলো বিশেষ উল্লেখযোগ্য । সিসিটিভি এক নম্বর চ্যানেলের অনুষ্ঠানে চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্রের সার্বিক শক্তি প্রতিফলিত হয় । যে সব অনুষ্ঠানের গুনগত মান উচু এবং জনপ্রিয়তা বেশি , শুধু সেই সব অনুষ্ঠানই সিসিটিভি –এক নম্বর অনুষ্ঠানে প্রচার করা যায় । গত বছর এই টিভি কেন্দ্রে সেনচৌ ৬ নভোযানের মহাকাশ যাত্রার অনুষ্ঠান এবং এ বছর বিশ্বকাপ ফুটবলের সব কটি খেলা সম্প্রচার করা হয়েছে । একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , প্রতি দিন চীনের ৬৫ কোটি দশর্ক চীনের সিসিটিভির অনুষ্ঠান দেখেন । জনসাধারণের চাহিদা মেটানোর জন্য সিসিটিভি নিজের অনুষ্ঠান আরো সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছে । সিসিটিভির প্রধান চাও চুয়া ইয়োং বলেছেন , বিভিন্ন বয়সের দশর্কদের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা নানা বিষয়ের চ্যানেল খুলেছি । ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সিসিটিভি এক নম্বর চ্যানেলটি ছাড়া আরো ১৫টি বিশেষ বিষয়ের চ্যানেল খুলেছে । এই ১৬টি চ্যানেলের প্রোগ্রামের সংখ্যা চার শ'র বেশি, পৃথিবীর ১২০টি দেশ ও অঞ্চল চীনের সিসিটিভির অনুষ্ঠান দেখতে পায় ।

    বিনোদন অনুষ্ঠানের মান উন্নত করা টিভি অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বাড়ানো ও বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকষর্ণের এক গুরুত্বপূর্ণ উপায় । ১৯৯৭ সালে মধ্য চীনের হুনান প্রাদেশিক টিভি কেন্দ্রের ' আনন্দের উত্স ' নামে বিনোদন অনুষ্ঠান প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই সমগ্র দেশের দশর্কদের মন কেড়েছে । এই অনুষ্ঠানে দশর্করা অনেক জনপ্রিয় শিল্পী দেখতে পান । সাধারণ নাগরিক তথা শহরের বেতার শ্রমিক পর্যন্ত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সুযোগ পান । অনেকে বলেন হুনান প্রদেশের এই অনুষ্ঠান চীনের বিনোদন অনুষ্ঠানগুলোর জন্য টাটকা বাতাস । গত বছর থেকে হু নান প্রাদেশিক টিভি কেন্দ্র আবার ' সুপার গার্ল ' নামে এক সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে । এই অনুষ্ঠানও সমগ্র দেশের দশর্ক , বিশেষ করে অল্পবয়সী যুবকযুবতীদের প্রশংসা অর্জন করেছে । চীনের অন্য জায়গার টেলিভিশন কেন্দ্রগুলোও পর পর হুনান প্রদেশ অনুসরণ করে একই জাতীয় টিভি অনুষ্ঠান প্রচার করতে শুরু করে ।

    চীনের দশর্করা অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য দেশের অনুষ্ঠানও দেখতে পান । যেমন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা , বিদেশের চলচ্চিত্র ও টিভি নাটক ইত্যাদি চীনে উপভোগ করতে পারেন । বতর্মানে বিদেশের মোট ৩০টি চ্যানেলের অনুষ্ঠান চীনে সম্প্রচারের অনুমতি রয়েছে ।

    ইএসপি এন স্টার স্পোর্টস বিশ্ব ক্রীড়া টেলিভিশন সংস্থা । এই সংস্থা চীনের সঙ্গে সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । এই সংস্থার প্রধান জেমিক ডেভিস আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন , চীনে আসার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দ বোধ করি । আমি লক্ষ্য করেছি চীনে গণ মাধ্যমগুলোর বিরাট পরিবর্তন হয়েছে । বিভিন্ন জায়গার টিভি অনুষ্ঠানের বিষয় সমৃদ্ধ । আমাদের জন্য এটা এক বিরাট সুযোগ । আমরা চীনা ভাষার অনুষ্ঠান তৈরী করে চীনের চ্যানেলে প্রচার করবো । এই সব অনুষ্ঠান চীনা দশর্কদের দৃষ্টি আরো প্রসারিত করে তুলবে ।

    চীনের টেলিভিশন কেন্দ্রগুলো এখন সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দুটির মুখে রয়েছে । দশর্কদের চাহিদা মেটানোর জন্য তাদেরকে টিভি অনুষ্ঠানের মান আরো উন্নত করতে হবে।