v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-11 17:52:24    
পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা --- ২০০৬/১২/১১

cri

 চি লিন প্রদেশের রাজধানী ছাংছুন শহর উত্তর-পূর্ব চীনে অবস্থিত। এখানকার শীতকালের গড় তাপমাত্রা সবসময় শূন্য ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের নীচে থাকে। চীনের যে সব শহরে সবচেয়ে বেশী শীত পড়ে, ছাংছুন , সে সব শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। গত শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশক থেকে ছাংছুন শহরের নান হু হ্রদে শীতকালীন সাঁতারের বেশ কিছু অনুরাগী তত্পর রয়েছেন। গ্রীষ্মকালে সাঁতার তাদের জন্যে আরামদায়ক হলেও কনকনে শীতকালে প্রচন্ড বাতাস ও হিমায়িত পানির মধ্যে সাঁতার কাটা তাদের জন্যে একটি পরীক্ষা বলে মনে হয়। ১৩ ডিসেম্বর সমাজ দর্পন আসরে শি চিং উ ছাংছুন শহরের শীতকালীন সাঁতারের অনুরাগীদের সেই কাহিনীই আপনাদের শোনাবেন।

 গত দু'বছর চীনের সংশ্লিষ্ট সরকারী বিভাগ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে চীনের কিছু কিছু অঞ্চলের ছোট ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও অতি ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ আবেদনকারীর ঋণ পরিশোধের সামর্থ্যের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে , বন্ধক রাখার মতো কিছু আছে কিনা এর ওপর বেশি গুরুত্ব দেয় নি। এই ব্যবস্থা আর্থিক সংকটগ্রস্ত ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিকাশের সুযোগ বয়ে এনেছে। ১৩ ডিসেম্বর অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় ইউ কুয়াং য়ুএ এই বিষয়ে আপনাদের কিছু বলবেন।

 চীন আন্তর্জাতিক বেতারের আয়োজিত "সিছুয়ান --- পাণ্ডার জন্মস্থান" নামক পর্যটন বিষয়ক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতা ১৬ নভেম্বর শুরু হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে আপনারা এর চারটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন শুনেছেন। আগামী ১৪ ডিসেম্বর চলুন বেড়িয়ে আসি আসরে এই প্রতিযোগিতার শেষ পর্ব অবশ্যই শুনবেন। ইউ কুয়াং য়ুএ সিছুয়ান প্রদেশের প্রতীক অমূল্য প্রাণী -- পাণ্ডার পরিচয় দেবেন। তিনি আপনাদের সিছুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেনতু থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উওলুং প্রাকৃতিক সংরক্ষিত অঞ্চলে নিয়ে যাবেন। সেখানে হচ্ছে পাণ্ডার আসল বাড়ী। আমরা আশা করি, এই পাঁচটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন শোনার পর আপনারা সহজে উত্তর দিতে পারবেন এবং সক্রিয়ভাবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজের সাফল্যকে তুলে ধরতে পারবেন।

 বেশ কয়েক বছর আগে চাকরি করার জন্য বহু গ্রামীণ শ্রমিক গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে গিয়েছিলো। এখন পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, তাদের বাড়ি নির্মাণ ও বিয়ে করার পরিকল্পনা আপাততঃ বাস্তবায়িত হয়েছে। জন্মস্থনে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য তাদের মধ্যে বহু লোক শহর থেকে পাওয়া জ্ঞান, প্রযুক্তি ও পুঁজি নিয়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরে এসেছে। ১৫ ডিসেম্বর সেই গ্রাম এই জীবন আসরে থাং ইয়াও খান শহর থেকে ফিরে আসা গ্রামীণ শ্রমিকদের গল্প পড়ে শোনাবেন।

 উত্তর-পশ্চিম চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে বসবাসকারী উইগুর জাতি ইসলাম ধর্মাবলম্বী একটি সংখ্যালঘু জাতি। এই জাতির জনসংখ্যা সিনচিয়াংয়ের মোট জনসংখ্যার ৪৫.৭৩ শতাংশ। তারা প্রধানতঃ থিয়ানসান পাহাড়ের দক্ষিণাংশের বিভিন্ন সমতল ভূমিতে থাকেন। আমাদের সংবাদদাতা দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের কাশ শহরের একটি উইগুর বাসায় সাক্ষাত্কার নিতে গিয়েছিলেন। তিনি সচক্ষে উইগুর জাতির প্রীতিকর ও স্নেহপূর্ণ ঐতিহ্যিক ঘরোয়া জীবনযাপন অনুভব করেছেন। ১৬ ডিসেম্বর ওরা অনন্য আসরে থাং ইয়াও খান এই উইগুর পরিবারের কথা আপনাদের বলবেন। শুনবেন কিন্তু।

 তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই সকল শ্রোতাবন্ধুদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।