v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-11 11:17:34    
চীনের বিজ্ঞান একাডেমী প্রথম ইউরোপীয় ডক্টর গড়ে তুলেছে

cri
    সম্প্রতি ২৯ বছর বয়সী ফ্রান্সী নাগরিক পাই তি মু চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর স্থায়ী উপপরিচালক ও স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউটের পরিচালক পাই ছুন লির হাত থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেছেন। এভাবে তিনি চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউটের প্রথম ইউরোপীয় ডক্টরে পরিণত হলেন।

    ২০০৬ সালে পাই তি মুরসহ এ ইনস্টিটিউটের ৩৫০২ ছাত্র ডক্টরেট ডিগ্রী পেয়েছেন। তাছাড়া, চীনের এ ইনস্টিটিউট থেকে ২৬৫৫জন ছাত্র মাস্টারস ডিগ্রী লাভ করেছেন।

    ২০০২ সালে পাই তি মু চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া শুরু করেন। তিনি চীনের সংস্কৃতির প্রতি খুবই আগ্রহী। তিনি চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর অটম্যাশন গবেষণা গারে কাজ করেন। এর আগে তিনি ফ্রান্সের লিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক হন। এরপর তিনি মার্কিন এমের্সন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাস্পাতাল এবং ফ্রান্সের জাতীয় তথ্য ও অটম্যাশন একাডেমি ইত্যাদি সংস্থায় স্বল্প-মেয়াদী চাকরি করেন।

    চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর জীবন ও লেখাপড়া সম্পর্কে পাই তি মু বলেছেন, একজন বিদেশী ছাত্র হিসেবে জীবন ও লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনেক অসুবিধা ছিল। তবে এগুলো তাঁর গবেষণায় কোন প্রতিকূল প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেনি। কারণ প্রয়োজনের সময় তাঁর চীনা বন্ধু ও শিক্ষকরা তাঁকে অনেক সাহায্য করেছেন। চীনাদের বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ ও চীনের দ্রুত উন্নয়ন তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

    পাই তিমু চীনে বিয়ে করেছেন। তিনি পেইচিংয়ের একটি কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর দু'বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। পাই তি মু আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, চীন ও ফ্রান্সের সংস্কৃতির মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকলেও তিনি তাঁর চীনা স্ত্রী নিয়ে খুবই ভালো আছেন। তাঁর ছেলে দুটি ভাষায় কথা বলতে পারে। সুতরাং তাঁর ছেলে পাই তি মুর শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষা শিক্ষকে পরিণত হয়েছে। তিনি চীনা ভাষা ভালোভাবে শিখতে চান যাতে তাঁর জ্ঞান ভবিষ্যত কর্মে আরো ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়।

    জানা গেছে, ১৯৮১ সাল থেকে এ পর্যন্ত চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউট থেকে ১৯ হাজার ১৪৭জন ছাত্র ডক্টরেট ডিগ্রী পেয়েছেন এবং ৩০ হাজার ৬৬জন ছাত্র মাস্টারস ডিগ্রী পেয়েছেন। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪১৩জন। তাঁদের মধ্যে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ১০৭জন।

    চীনের বিজ্ঞান একাডেমী বিদেশী ডক্টরেট গড়ে তোলা ছাড়া, অনেক বিদেশী একাডেমিশনকেও নির্বাচন করে। চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ,বিজ্ঞান একাডেমীর মহাপরিচালক লু ইয়ুং সিয়াং ব্যাখ্যা করে বলেছেন, বর্তমানে চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর বিদেশী একাডেমিশনের সংখ্যা ৫১জন।

    চলতি বছর চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর ত্রয়োদশ একডেমিশন সম্মেলনে সাতজন নতুন বিদেশী একাডেমিশন নির্বাচিত হন। এই সাতজন বিদেশী একাডেমিশন রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী ও সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন।

    ২০০০ সালে চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া প্রথম বিদেশী ছাত্র ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরোর উপমহাপরিচালক রাথাল। তিনি ২০০৫ সালে ডক্টরেট ডিগ্রী পেয়েছেন।

    তারপর ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তর ছাত্রদের ভর্তির সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ানো হয়েছে। বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাও ধাপে ধাপে বেড়েছে। চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান, পাকিস্তান, ভারত, ক্রয়েশিয়া,সুইডেন,দক্ষিণ কোরিয়াসহ ২১টি দেশ থেকে আসা ১০৭জন বিদেশী ছাত্রছাত্রী এ ইনস্টিটিউটে শিক্ষা গ্রহণ করতে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৯জন ডক্টরেট ডিগ্রীর জন্যে লেখাপড়া করবেন। সাতজন মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্যে লেখাপড়া করবেন। তাঁদের গবেষণা প্রধানত প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ক্ষেত্রে চালানো হবে। যেমন জীব,রসায়ন,গণিতবিদ্যা,ভূবিদ্যা,আইটি। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউটের বিদেশী স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

    স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মা শি চুয়াং মনে করেন, উচ্চ শিক্ষা আন্তর্জাতিকীকরণের সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী কয়েক বছরে আরো বেশি বিদেশী ছাত্রছাত্রী বিজ্ঞান একাডেমীর স্নাতকোত্তর একাডেমীর স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করবেন।