v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-08 21:07:45    
জাপানীদের দীর্ঘায়ুর অভিজ্ঞতা

cri
 ২০০৪ সালে জাপান সরকার প্রবীণ সমাজ সংক্রান্ত একটি স্বেতপত্র প্রকাশ করেছে । স্বেতপত্রটিতে বলা হয়েছে , গত ৫ বছরে জাপানের শতায়ু প্রবীণদের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২০৫৬১ তে দাঁড়িয়েছে । এদের মধ্যে নারী ১৭৪০২ । এ পর্যন্ত গত ৩৩ বছর ধরে বিশ্বের শতায়ুদের দিক থেকে জাপানের স্থান প্রথম । তা ছাড়া ২০০৩ সালে জাপানের নারীদের গড়পড়তা আয়ু ৮৫.৩৩ আর পুরুষ ৭৮.৩৩ ছিল । গত চার বছরে এই দিক থেকেও জাপানের স্থান প্রথম ।

 তাহলে জাপানে কেন এত বেশী দীর্ঘায়ু প্রবীণ আছেন ? বিশেষজ্ঞরা গবেষনার মাধ্যমে আবিস্কার করেছেন যে , বৈজ্ঞানিক পানাহারঃ দুধ ও মাছ বেশী খাওয়া । জাপানীদের খাওয়া দাওয়ায় এই চার ধরনের খাবার বেশী খাওয়া হয়। প্রথমতঃ বেশী দুধ খাওয়া । দুধের মধ্যে প্রচুর প্রোটিন , ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন আছে । তাকে প্রকৃতির সবচেয়ে উন্নত মানের খাবার বলে গন্য করা হয় । দ্বিতীয়তঃ জাপানীরা মাছ খেতে পছন্দ করেন । পুষ্টির দিক থেকে মাংসের তুলনায় মাছ বেশী উপযুক্ত। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে প্রাচুর্যময় এমাইনো এসিড আর বিজোর এসিড আছে । এই দুই পদার্থের সাহায্যে রক্তের কলেস্টেরোল আর চর্বি কমে যায় ।

 তৃতীয়তঃ সয়াবিনজাত দ্রব্য ও সমুদ্রজাত দ্রব্য বেশী খেতে হয় । সয়াবিনজাত দ্রব্যের মধ্যে প্রচুর প্রোটিন আছে , তবে চর্বি আর ক্যাল্যরি কম এবং তার মধ্যে লেইসিন্ বেশী । জাপানের চার দিক সমুদ্র-বেষ্টিত। ওখানে বিপুল পরিমান সমুদ্রজাত দ্রব্য পাওয়া যায় । জাপানীরা বিশেষ করে সামুদ্রিক শ্যাওলা খেতে পছন্দ করেন । এর মধ্যে যে পদার্থ রয়েছে , তা শরীরের জন্য পুষ্টিকর এবং তাতে উচ্চ রক্ত চাপ আর ডায়াবেটিকস্ রোধ করার জন্যও কার্যকর ভূমিকা পালন করা যায় ।

 জাপানীরা পরিস্কার-পরিছন্নতার উপর খুব গুরুত্ব দেয় । তারা যেখানে-সেখানে থু থু ফেলেন না । তারা সাধারণতঃ প্রত্যেক দিন গোসল করেন আর কাপড়-চোপড় কাচেন । স্বাস্থ্যের উপর তারা খুব মনোযোগ দেন । অসুখ হলে তারা ডাক্তারের কাছে যান । এটি যেমন নিজের তেমনি অপরের জন্যও হিতকর । বহু রোগের সংক্রমন রোধ করা যায় ।

 এখন হাঁটা শরীরের জন্য যে কেমন উপকারী , সে সম্বন্ধে আপনাদের কিছু বলা হবে ।

 যাদের শরীর দুর্বল , তারা প্রতিদিন ৫ কিলোমিটার দূরত্বের বেশী পথ হেঁটে চললে ভাল । ধীরগতিতে হাঁটলে শরীর চর্চার কার্যকরীতা হাসিল করা যায় না , দ্রুতগতিতে হাঁটলেই করলেই কেবল শরীর চর্চার কাজ হবে । এতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকরীতা পুরোপুরি সম্প্রসারিত করা যায় । প্রতি দিন ভোর আর খাওয়ার পর হাঁটলে করলে ভাল। দিনে ২ থেকে ৩ বার । প্রতি বারের সময় আধ ঘন্টার উপরে ।

 যাদের রাতে নিদ্রার অবস্থা ভাল নয় , নিদ্রার আগে আধ ঘন্টা হাঁটা ভাল । এটা তাদের নিদ্রার জন্য সহায়ক হবে ।

 যারা মোটা তাদের বহুদূর হাঁটতে হয় । দিনে দুবার , প্রতি বার এক ঘন্টা । দ্রুতগতিতে হেঁটে চলা উচিত , যাতে শরীরের চর্বি পুরোপুরি আর তাড়াতাড়ি চলে যায় আর ওজন কমে যায় ।

 যারা হৃত্পিন্ড রোগে আক্রান্ত হয় , তাদের দ্রতগতিতে হেঁটে চলতে হয় না । নইলে এন্জাইনা পেক্ট্যারিস রোগ সহজে হতে পারে । হৃত্পিন্ড রোগীদের খাওয়ার এক ঘন্টার পর ধীরগতিতে হেঁটে চলা উচিত । দিনে ২ থেকে ৩ বার , প্রত্যেক বার অর্ধেক ঘন্টা । এতে রক্তে জমাট বাঁধার গতি কমে যাবে ।

 ডায়াবেটিকদের দ্রুতগতিতে হেঁটে চলা উচিত । হাঁটন খাওয়ার পর হাঁটলে ভাল । এতে রক্তের চিনি কমে যায় । হাঁটার সংগে সংগে হাত পা অবিরাম নড়াতে হয় । প্রতিবার আধ বা এক ঘন্টা । কিন্তু যাদের পক্ষে চিকিত্সার জন্য ইনসুলিন প্রয়োজন, তাদের খাওয়ার আধ ঘন্টার পর হাঁটা উচিত এবং প্রত্যেকবার এক ঘন্টার কম ।

 উচ্চ রক্ত চাপ রোগীদের মাঝারি গতিতে হাঁটা উচিত । হেঁটে চলার সময় বুক আর পিঠ সোজা হওয়া উচিত । নইলে হৃত্পিন্ডের কার্যকরীতা প্রভাবিত হবে ।