v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-08 18:43:31    
চীনের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক  সম্মেলন শেষ হয়েছে

cri

    চীনের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সম্মেলন ৭ ডিসেম্বর পেইচিংয়ে শেষ হয়েছে ।প্রতিবছর একবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, আগামী বছর চীন সার্বিক ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ জোরদার ও উন্নত করতে থাকবে । যাতে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অর্থবিনিয়োগের হার দ্রুত বেড়ে যাওয়া ও বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায় । সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছর চীন গ্রামাঞ্চলের নির্মাণে অর্থবিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়ে সার্বিকভাবে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে ।

    চীনের তিনদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সম্মেলন চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে । সম্মেলনে প্রধানত ২০০৭ সালে চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন সম্পর্কিত নীতি প্রণয়ন ও আলোচনা করা হয়েছে । পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হু চিনথাও ও প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন । তারা ভাষণে আগামী বছর চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেশ করেছেন ।

    সম্মেলনে প্রণীত অর্থনৈতিক নীতি অনুযায়ী আগামী বছর সার্বিক ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ জোরদার ও উন্নত করা হবে । স্থিতিশীল আর্থিক নীতি ও মুদ্রানীতি কার্যকরী করা ছাড়াও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে দেখানো কাঠামোগত সমস্যাগুলোর সমাধানের উপর গুরুত্ব দেয়া হবে ।

    সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে , আগামী বছর যৌক্তিকভাবেঅর্থবিনিয়োগের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে । অর্থবিনিয়োগের কাঠামকে শ্রেষ্ঠতর করার প্রচেষ্টা চালানো হবে । বহুমুখী মুদ্রা নীতি কাজে লাগিয়ে যৌক্তিকভাবে ঋণ দেয়ার কাজ নিয়ন্ত্রণে আনা হবে এবং ঋণের কাঠামকে গ্রহণযোগ্য করা হবে । বর্তমান চীনের অনেক অঞ্চলের বাড়ির দাম যে দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে সম্মেলনে তার উপর ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় সরকারের কাছে স্থাপত্য বাজার নিয়ন্ত্রণের উপর গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে ।

    সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে , আন্তর্জাতিক আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্যতা জোরদার করাটাকে অর্থনীতির স্থিতিশীল উন্নয়ন বজায় রাখার এক গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে । গত কয়েক বছরে বাণিজ্যের অতিরিক্ত উদ্বৃত্তে বেশ কিছু বাণিজ্য সংঘাত হওয়ায় চীনের বাণিজ্য ও বৈদেশিক মুদ্রানীতি বাহিরাগত চাপের সম্মুখীন হয়েছে । একই সময় বাণিজ্যের উচ্চ উদ্বৃত্তের ফলে চীনের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় দ্রুতবেগে বেড়ে ১০০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং যা বিশ্বেরসর্বোচ্চ।

    সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী বছর চীন পারস্পরিক উপকারিতা এবং উভয় ক্ষেত্রেবিজয়ের উন্মুক্ততার নীতিতে অটল থেকে বৈদেশিক উন্মুক্ততার মান উন্নত করবে । রপ্তানি বজায় রাখা ও উপযুক্ত বেড়ে যাওয়া বৈদেশিক পুঁজি ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আমদানি সম্প্রসারিত করবে এবং বিদেশে অর্থবিনিয়োগের সহযোগিতা সুষ্ঠভাবে বাড়াবে ।

    পণ্যভোগের অভাব চীনের অর্থনৈতিক কাঠামোর আরেকটি লক্ষ্যণীয় সমস্যা । গত কয়েক বছর অর্থবিনিয়োগ বরাবরই চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি ছিল । কিন্তু অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে পণ্যভোগের ভূমিকা অত্যন্ত নগন্য । এ বছরের প্রথম ৯'মাসে চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অর্থবিনিয়োগের হার প্রায় ৫০ শতাংশ । কিন্তু পণ্যভোগের হার মাত্র ৩৫.৭ শতাংশ । অভ্যন্তরীণ ভোগের চাহিদা সম্প্রসারিত করার জন্য সম্মেলনেসিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে , নাগরিকদের ভোগের চাহিদা বিশেষ করে কৃষকদের চাহিদা বাড়ানোর জন্যে আগামী বছর চীন আরও ব্যবস্থা নেবে । জনগনের আয় বন্টন পুনর্গঠন ত্বরান্বিত করবে এবং কৃষক ও শহরের নিম্ন আয়কারীদের আয়ের মান ও ভোগের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাবে ।

    এবারের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে আরও জোর করে উল্লেখ করা হয়েছে যে , গ্রামীণ অর্থনীতি চীনের অর্থনৈতিক কাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে চীন পরপর ধারাবাহিক নীতি প্রণয়ন করেছে । শুধু ২০০৬ সালে চীনের বিভিন্ন স্থানীয় সরকার কৃষি উত্পাদনেও গ্রামাঞ্চলেরবুনিযাদী ব্যবস্থা নির্মাণে প্রায় ৩৬০ বিলিয়ন রেনমিনপি বরাদ্দ করেছে । এই সব কার্যকর নীতির কল্যাণে এ বছরের প্রথম ৯ মাসে চীনের খাদ্যশস্যের মোট উত্পাদনের পরিমাণ অনুরূপ সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে । গ্রামাঞ্চলের মাথা পিছু নগদ টাকার আয় ১১.৪ শতাংশ বেড়েছে ।

কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে সম্পদ ও পরিবেশ , কর্মসংস্থান , শিক্ষা ও চিকিত্সা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজের জন্যেও ইতিবাচক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।