v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-08 16:15:23    
বুশ ও ব্লেয়ার আবারো ইরাক সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন

cri
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ গত বৃহষ্পতিবার হোয়াইট হাউসে সফররত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সংগে বৈঠক করেছেন । বৈঠকে তারা ইরাক সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন ।

    বৈঠকশেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বুশ খোলা মনে স্বীকার করেছেন , নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুসারে মার্কিন বাহিনী দ্রুত বিজয় অর্জন করতে পারে নি । তিনি যেভাবে আশা করেছিলেন , সেভাবে ইরাকের পরিস্থিতির উন্নতি হয় নি । সুতরাং ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের রণকৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যে ইরাকের পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে হবে এবং ধারাবাহিক রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন করতে হবে । একই সংগে বুশ স্বীকার করেছেন , ইরাকের পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে , সেখানকার সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করছে , সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এক দুরূহ অবস্থায় রয়েছে এবং কঠোর কর্তব্যের সম্মুখীন হচ্ছে ।

    এ বৈঠকের আগের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজনকে নিয়ে গঠিত ইরাক সমস্যা সংক্রান্ত একটি গবেষণা গ্রুপ তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । প্রতিবেদনে ইরাক সংক্রান্ত নীতির ওপর ৭৯টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে । প্রতিবেদনে সাদাসিধে ভাষায় বলা হয়েছে , ইরাকের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর এবং পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটছে । প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে , বুশ সরকারের ইরাক সংক্রান্ত নীতি ব্যর্থ হয়েছে এবং এখন নতুন ইরাক সংক্রান্ত নীতি গ্রহণ করতে হবে । প্রতিবেদনে প্রস্তাব করা হয়েছে , মার্কিন বাহিনী ২০০৮ সালের প্রথম দিকে ইরাক থেকে সরে যাবে এবং ইরাক সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের প্রতিবেশী দেশ ইরান ও সিরিয়ার সংগে যোগাযোগ রাখবে ।

    যদিও বুশ স্বীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক সংক্রান্ত নীতির পরিবর্তন করতে হবে , তবুও প্রতিবেদনে ইরাকে যৌথ বাহিনীর সামরিক বিজয় অর্জনের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে যে অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে , তাতে বুশ অত্যন্ত রেগে গেছেন । তিনি ঘোষণা করেছেন , যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদীদের পরাজিত করবে এবং বিজয় অর্জন করবে । এ বিজয় নিশ্চিত করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রকে নীতির পরিবর্তন করতে হবে । তিনি আবেগের সংগে বলেছেন , ব্যর্থতা নিশ্চিত করার নীতির অর্থ হলো পরিত্যাগ করা । তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে ব্যর্থ হলে সেই ব্যর্থতা আগামী কয়েক বংশপর্যায়ের মার্কিনীদের বিপন্ন করে তুলেবে ।

    ইরান ও সিরিয়ার সংগে আলোচনা চালানোর প্রস্তাব সম্পর্কে মনে হচ্ছে বুশের অভিমতের বেশি পরিবর্তন হয় নি । তিনি বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্রের নীতি খুবই স্পষ্ট । তত্ত্ববধানযোগ্য উপায়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা বন্ধ করলেই কেবল ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সংগে আলোচনা চালাতে পারবে । বুশ বলেছেন, আলোচনায় অংশ নেয়া দেশকে সন্ত্রাসবাদ পরিত্যাগ করতে হবে , ইরাকের গণতন্ত্রকে সমর্থন করতে হবে এবং ইরাকের অর্থনৈতিক বিকাশকে সমর্থন করতে হবে । সিরিয়া ও ইরান এসব শর্ত মেনে না নিলে আলোচনার টেবিলে বসার দরকার পড়বে না । অথচ ব্লেয়ার ইরাক সমস্যা সংক্রান্ত গবেষণা গ্রুপের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিবেদনের প্রস্তাব সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিক-নির্দেশনা দিখিয়ে দিয়েছে ।

    বুশ ও ব্লেয়ার উভয়ই এই মর্মে সম্মত হয়েছেন যে, ইরাক সংক্রান্ত নীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হচ্ছে মালিকি সরকারকে সমর্থন দেয়া এবং ইরাককে নিজেদের শক্তি দিয়ে নিজেদের রক্ষা করার সামর্থ্য নিশ্চিত করা । তারা আরো বলেছেন , ইরাক সমস্যা সমাধানের জন্যে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের উগ্রপন্থীদের সমস্যার সুরাহা করতে হবে এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘর্ষ কমিয়ে আনতে হবে ।

    যদিও বুশ মনে করেন যে, ইরাক সমস্যা সংক্রান্ত গবেষণা গ্রুপের প্রতিবেদন গঠনমূলক এবং পর্যালোচনার যোগ্য, তবুও তিনি বলেছেন , কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউস সম্পূর্ণরূপে প্রতিবেদনের প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করবে না ।