v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-08 14:14:16    
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

cri
    শিনজো আবে ১৯৫৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জাপানের ইয়ামাগুছি জেলায় একটি খ্যাতিমান রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর দাদা হচ্ছেন কংগ্রেসের সদস্য। তাঁর নানা হচ্ছেন বিশ শতাব্দীর জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশি নোবাসুগে । তাঁর বাবা নাগাসনে ইয়াসুহিরোর মন্ত্রী সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে শিনজো আবে জাপানের সেইকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের রাজনীতি বিষয়ে স্নাতক হন। তারপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ কালিফোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে শিক্ষার মান আরো উন্নত করেছেন। ১৯৭৯ সালে তিনি জাপানের কোবে কোম্পানির নিউইয়োর্কের কোম্পানিতে চাকরি করেন।

    ১৯৮২ সালে শিনজো আবে কোম্পানির পদ ত্যাগ করেন এবং তাঁর বাবার রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি প্রথমপ্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। শিনজো আবে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী কোইজুমি জুনিছিরো উভয়েই লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য।

    ২০০৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর শিনজো আবে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ২১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি জাপানের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি জাপানের ৯০তম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

    জাপানের সংবাদ মাধ্যম বলেছে, শিনজো আবে হচ্ছেন কোইজুমি জুনিছিরোর আনুষ্ঠানিক উত্তর সূরী। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে শিনজো আবে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিরপ্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য "সুন্দর দেশ---জাপান"নামক রাজনৈতিক কনভেনশন প্রকাশ করেছেন। কনভেনশনে তাঁর রাজনৈতিক প্রস্তাব সার্বিকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। কনভেনশনে তিনি বলেছেন, জাপানের নতুন পরিস্থিতি অনুযায়ী,নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হবে এবং উন্মুক্ত রক্ষণশীল নীতি অনুসরণ করা হবে। জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি সংস্কার করা হবে। বিশ্বে জাপানের বিশেষ সামর্থ্যকে সক্রীয়ভাবে তুলে ধরা হবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবদান রাখতে চাওয়া জাপানী প্রশিক্ষণ দেবে।

    তিনি আরো বলেছেন, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তাকে জোরদার করা,বেসরকারী শক্তিকে পুরোপুরি ব্যবহার করার ভিত্তিতে ফলপ্রসু ছোট সরকার গড়ে তোলা। এশিয়ায় স্থিতিশীল সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলা। চীন ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন সুপ্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আস্থাবান সম্পর্ক জোরদার করছে এবং জাপানের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালানো।

    শিনজো আবে ১৯৯৭ এবং ২০০১ সালে চীন সফর করেছেন। ২০০৬ সালের ৮ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে চীন সফর করেছেন।