v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-07 19:04:02    
চীন কেন এই সময় জোর করে সুষম সমাজ গঠনের কথা উল্লেখ করে

cri

  কিছু দিন আগে চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির ষষ্ঠদশ কেন্দ্রীয় কমিটির ষষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে "সমাজতন্ত্র ও সুষম সমাজ গঠনের কতকগুলোগুরুত্বপূর্ণসমস্যা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত"গৃহিত হয়েছে । সিদ্ধান্তটিতেচীনের সুষম সমাজ গঠন করার কথা বিশেষভাবে দেশবিদেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । ২৮ বছরের সংস্কার ও উন্মুক্ততার নীতি চালু এবং আকর্ষণীয় সাফল্য অর্জনের পর চীন কেন এই সময় সুষম সমাজ গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেছে ? চীন কিভাবে সকলের সুষম সমাজ গড়ে তুলবে ?

  ক্ষমতাসীন পার্টি হিসেবে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি অবিচলিতভাবে সংস্কার ও উন্মুক্ততার নীতি চালু করায় বিগত ৩০ বছরে চীনের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধিহার উল্লেখযোগ্যভাবে বজায় রয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও জনগণের জীবনযাত্রার মান অনেক বেড়েছে । দু'বছর আগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি সুষম সমাজ গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেছে । এ বছরের অক্টোবর মাসে পার্টির ১৬তম কেন্দ্রীয় কমিটির ষষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সুষম সমাজ গড়ে তোলা সম্পর্কে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ২০২০ সালে গণতান্ত্রিক আইনগত ব্যবস্থা নির্মাণ , শহর ও গ্রামাঞ্চল উন্নয়নের ব্যবধান কমানো সহ ৯টি লক্ষ্য ও কর্তব্য পেশ করা হয়েছে ।

  চীনা কমিউনিস্ট পার্টিরকেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবীন বিশেষজ্ঞপ্রফেসর ইয়ে তুছু মনে করেন যে , সুষম সমাজ গড়ে তোলার যে কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা যেমন চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ তেমনি তা চীনের উন্নয়নের প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ সম্পর্কেতিনি বলেছেন , ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টিসুষম সমাজ গড়ে তোলার কথা বলেছে এবং এটাকে নিজের দায়িত্বহিসেবে গ্রহণ করেছে ও সিদ্ধান্তটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তা ব্যাখ্যা করেছে ।

  প্রফেসর ইয়ে বলেছেন , চীন ইতোমধ্যে সংস্কার ও উন্মুক্ততার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রবেশ করেছে ।আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা, স্বার্থের ভাগাভাগি ও চিন্তাধারপরিবর্তন হয়েছে । এই অভূতপূর্ব সামাজিক পরিবর্তন যেমন চীনের উন্নয়নে বিরাট প্রাণশক্তি যোগায় তেমনি নানা দ্বন্দ্ব ও সমস্যা ডেকে আনবে । তিনি বলেছেন , বিভিন্নঅঞ্চলের মধ্যে, শহর ও গ্রামাঞ্চলেরএবং অন্যান্য ক্ষেত্রের পার্থক্য সহ নানা উপাদান আমাদের গোটা সমাজের সুষমহীনতার প্রধান কারণ ।

  গত বছর কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের বেশ কয়েকটি প্রতিনিধি দল পরপর ইউরোপ , উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা ও পূর্ব এশিয়ার ভিন্নমানের দেশ ও অঞ্চল সফর করেছে । প্রতিনিধি দলগুলো সমাজ বন্টন ব্যবস্থা ,কল্যাণ ব্যবস্থা, আকস্মিক ঘটনা মোকাবেলার জরুরী ব্যবস্থা সহ এই সব দেশ ও অঞ্চলের সমাজ চালানোর অভিজ্ঞতা ও শিক্ষানিয়ে গবেষণা করেছে । সবাই মনে করে যে , এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি সমাজ উন্নয়নের নতুন পর্যায়ের সামাজিক কাঠামো ও সামাজিক দ্বন্দ্বপরিবর্তনের বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা সম্পর্কে সচেতন রয়েছে ।

  সুষম সমাজ মানবজাতির অভিন্ন আশাআকাঙ্ক্ষা। প্রফেসর ইয়ে বলেছেন , সুষম সমাজ গড়ে তোলা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , চীন সরকার সামাজিক ক্ষেত্রেরউন্নয়নের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবে । তিনি বলেছেন, সুষম সমাজ গড়ে তোলাকে একটি প্রক্রিয়া হিসেবে ধাপেধাপে করতে হবে । সুষম সমাজ গড়ে তোলার ৯টি লক্ষ্য আছে । এই ৯টি লক্ষ্যের মধ্যে গণ অধিকার রক্ষা হল প্রথম লক্ষ্য।এর অর্থ হল জনগণের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিসম্মান এবং সংরক্ষিত ও নিশ্চিত করতে হবে । গণ অধিকারের অর্থ জনগণের জানার অধিকার, অংশগ্রহণের অধিকার , মতামত প্রকাশের অধিকার ও তত্ত্বাবধানের অধিকার বোঝায় ।৯টি লক্ষ্যের মধ্যে গণ অধিকার প্রথম স্থানে উন্নীত করার গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে ।

  এক দিকে বিশ্বের সুষম উন্নয়ন ছাড়া চীনের সুষম উন্নয়নহবে না । অন্য দিকে চীনের সুষম উন্নয়ন বিশ্বের সুষম উন্নয়নে সক্রিয় অবদান রেখেছে এবং রাখবে ।