ছয় মাসের প্রচেষ্টার পর চীনের তিব্বতের পোতালা প্রাসাদের চার দিকের পরিবেশ আরো সুন্দর হচ্ছে। পোতালা প্রাসাদের পাশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে এবং প্রাসাদের চার দিক সবার জন্য উন্মুক্তকরা হয়েছে ।
পোতালা প্রাসাদ হচ্ছে বিশ্বের বিখ্যাত স্থাপত্য সম্পদ । সপ্তম শতাব্দীতে এই প্রাসাদের নির্মান কাজ শুরু হয় । ১৯৯৪ সালে পোতালা প্রাসাদ বিশ্বের সাংস্কৃতিকউত্তরাধিকারের তালিকাভুক্ত হয় । এর আগে পোতালা প্রাসাদের চারদিকে দোকানপাট , খোলা বাজার ও বাসভবন ছিল । এটা বিশ্বের অন্যতম সংস্কৃতি উত্তরাধিকারের সঙ্গে একেবারে মিলে না । প্রাসাদের চার দিকের পরিবেশ উন্নত করার জন্য এ বছরের মে মাসে সরকার ৮ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে । এখন প্রাসাদের চার পাশে উদ্যান ও চত্বর ছাড়া ফোয়ারা, চকচকে বাতি সাজানো সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে ।
সি ছুয়াং প্রদেশের পুরাকীর্তি প্রদর্শনী পেইচিংয়ে শুরু
দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সি ছুয়ান প্রদেশে উদ্ধার করা সোন রাজবংশের পুরাকীর্তি প্রদর্শনী ২৪ নভেম্বর চীনের জাতীয় যাদুঘরে শুরু হয়েছে । চীনে এই প্রথমবার সোন রাজবংশের পুরাকীর্তি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে ।
প্রদর্শনীতে দু শ'টি সোন রাজবংশের চীনা মাটির এবং সোনা ও রুপার পাত্র স্থান পেয়েছে । এ সব পুরাকীর্তিতে দশম শতাব্দী থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে সোন রাজবংশের শিল্প শৈলী প্রতিফলিত হয়েছে ।
সোন রাজবংশের আমলে অর্থনীতি বেশ উন্নত ছিল , তবে সোন রাজবংশের শেষ দিকে বাঁধা যুদ্ধ ৫০ বছর স্থায়ী ছিল । ধনীরা নিজের ধনসম্পত্তি রক্ষার জন্য সোনা ও রুপার পাত্র এবং চীনা মাটির পাত্র মাটির নীচে পুতেঁ রাখেন । উদ্ধার করা এ সব পুরাকীর্তি সোন রাজবংশের সভ্যতা গবেষণায় সাহায্য করেছে ।
হোনান প্রদেশে মিং রাজবংশের একটি ব্যক্তিগত ব্যাংক আবিষ্কৃত
সম্প্রতি মধ্য চীনের হোনান প্রদেশের সুইছান শহরে আজ থেকে ছয় শ' বছর আগেকার মিং রাজবংশের একটি ব্যক্তিগতব্যাংক আবিষ্কৃত হয়েছে ।
এই প্রাচীন ব্যক্তিগত ব্যাংক একটি দোতলা বাড়ী । বাড়ীর ছাদে ছয়টি পশুর প্রতিকৃতি আর বাড়ীর দুই মাথায় দুটি ড্রাগণ সাজানো রয়েছে। নীচ তলায় কোনো জানালা নেই , দোতালায় ছয়টি জানালা আছে , বাড়ীটির দেওয়াল এক মিটার পুরু ।
জানা গেছে , এই ব্যক্তিগত ব্যাংক মিং রাজবংশের এক চীনামাটির দোকানদারের ব্যক্তিগত ব্যাংক ছিল । ইতিহাসে সুই ছানে চীনা মাটির পাত্র বিখ্যাত বলে এই ব্যক্তিগত ব্যাংকের নাম দেয়া হয়েছে চীনামাটির ব্যাংক । এ প্রাচীন ব্যক্তিগত ব্যাংক অক্ষতভাবে সংরক্ষিত রয়েছে ।
|