v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-05 15:52:42    
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যাদুঘর ফোরাম পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত

cri
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তিনদিন ব্যাপী যাদুঘর ফোরাম ১৮ অক্টোবর থেকে পেইচিংয়ের রাজপ্রাসাদ যাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে । দুদেশের শতাধিক যাদুঘর প্রধান ও পন্ডিত যাদুঘর পরিচালনা ক্ষেত্রে দু' দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন এবং যাদুঘরের পরিসেবা ও শিক্ষা ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন ।

চীনের জাতীয় পুরাকীর্তি ব্যুরো ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগ এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয় । ২০০১ সাল থেকে চীনের যাদুঘর কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষন নেয়ার কাজ শুরু হয় । ২০০৪ সাল পর্যন্ত চার কিস্তিতে মোট ১১জন চীনা কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ।

যুক্তরাষ্ট্রের মেলোন তহবিল সংস্থার দায়িত্বশীল ব্যক্তি মাদাম রুদেনস্টিন ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন , চীনা যাদুঘর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্দেশ্য হলো চীনের যাদুঘর কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রেযাদুঘরের উন্নত পরিচালনা ব্যবস্থা শেখার সুযোগ দেয়া । এই প্রশিক্ষণ সফল হয়েছে । ফোরামে দুদেশের যাদুঘর কর্মীরা নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ।

থিয়েন চিং যাদুঘরের প্রধান ছেন চুও যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষন পেয়েছেন । তিনি মনে করেন , চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অবস্থা ও ইতিহাস ভিন্ন বলে যাদুঘরে পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের পদ্ধতিরও বড় তফাত্ আছে । যাদুঘর পরিচালনা ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা চীন শিখতে পারে । যুক্তরাষ্ট্রের যাদুঘর পরিচালনা ব্যবস্থা তার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে । তিনি বলেছেন , গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক থেকে আন্তর্জাতিক বিনিময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিদেশের যাদুঘর পরিচালনা ব্যবস্থা দেখার সুযোগ পেয়েছি । চীনের যাদুঘর পরিচালনায় অনেক নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে । ২০০৩ সালে প্রশিক্ষণের জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাই । যুক্তরাষ্ট্রের যাদুঘর পুরার্কীতির সংগ্রহ , প্রদর্শন , সংরক্ষণ ও গবেষণার দায়িত্ব নেয় ।এই ব্যবস্থা যাদুঘরের কর্মীদের সক্রিয়তা বাড়াতে পারে এবং পুরার্কীতির সংরক্ষন ও প্রদর্শনে সহায়ক হবে । কিন্তু চীনে পুরাকীর্তি সংগ্রহ , সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের দায়িত্ব তিনটি বিভাগ বহন করে । এই তিনটি বিভাগের নিজস্ব ব্যবস্থা আছে । এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের যাদুঘরগুলো দর্শকদের পরিসেবা ও শিক্ষার কাজকে গুরুত্ব দেয় । এ ক্ষেত্রে চীনের যাদুঘরগুলো ততো গুরুত্ব দিচ্ছে না । যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা শিখে ছেন চুও ইতোমধ্যে থিয়েনচিং যাদুঘরে যুক্তরাষ্ট্রের যাদুঘর পরিচালনা ও পরিসেবা ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করছেন ।

চীনের জাতীয় পুরাকীর্তি ব্যুরো ও যুক্তরাষ্ট্রের মেলোন তহবিল সংস্থার সহযোগিতা প্রকল্প চীনের যাদুঘর মহলে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করেছে । যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ পেয়ে চীনের যাদুঘরগুলোর কর্মীরা প্রবন্ধ লিখে যুক্তরাষ্ট্রের যাদুঘর পরিচালনার অভিজ্ঞতা শেখার প্রস্তাব করেছেন এবং যাদুঘরের সংস্কার তরান্বিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন । চীনের উপসংস্কৃতি মন্ত্রী , চীনের রাজপ্রাসাদ যাদুঘরের প্রধান চেন সিন মিয়াও বলেছেন , সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের যাদুঘরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে । এখন সমগ্র দেশে মোট দু হাজারেরও বেশি যাদুঘর আছে । এগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশ গত ২০ বছরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । তাই যাদুঘর পরিচানার দক্ষ কর্মী প্রশিক্ষণ এক জরুরী সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে । যাদুঘর পরিচালনার পুরনো ব্যবস্থা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খায় না বলে বিদেশ থেকে উন্নত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে । চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যাদুঘর ফোরাম যাদুঘর মহলে একটি বড় ঘটনা । এই ফোরাম দুদেশের যাদুঘরগুলোর মধ্যে আদান-প্রদান ও সহযোগিতা বাড়াতে সহায়ক হয়েছে । চীনের যাদুঘর কর্মীরা এই ফোরামে যুক্তরাষ্ট্রের যাদুঘর কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং বিদেশের উন্নত যাদুঘর পরিচালনা ব্যবস্থা শিখেছেন । তেন সিন মিয়াও বলেছেন , বর্তমান ফোরামে চীনের যাদুঘর কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষন কাজের সার সারসংকলন করা হয়েছে । পরিকল্পনা অনুসারে চীনের কর্মী প্রশিক্ষণের কাজ আগামী বছর আবার শুরু হবে ।