v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-05 15:22:02    
ভারত-মার্কিন পারমাণবিক শক্তির সহযোগিতা চুক্তি আবারো পরীক্ষার সম্মুখীণ হবে

cri
    মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ এ সপ্তায় আয়োজিত এক যৌথ অধিবেশনে ভারত-মার্কিন পারমাণবিক শক্তির সহযোগিতা চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করবে এবং চুক্তিটির ওপর ভোট নেবে । এ অধিবেশন দু দেশের পারমাণবিক সহযোগিতার ভবিষ্যতের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করবে । তাই এটি জনমতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ।

    ২০০৫ সালের জুলাই মাসে ভারত-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তির কথা সর্বপ্রথমে আলোচনা করা হয় । তখন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সংগে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা সম্পর্কে একটি যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন । বিবৃতিটির প্রধান বিষয় ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বেসামরিক পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা চালানো। এ বিবৃতি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে পারমাণবিক জ্বালানী ও প্রযুক্তি সরবরাহ করবে এবং ভারত নিজের সামরিক ও বেসামরিক পারমাণবিক ব্যবস্থাকে পৃথক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । গত মার্চ মাসে বুশ ভারত সফর করেছেন । সফরকালে দুই দেশের সরকার ভারতের সামরিক ও বেসামরিক পারমাণবিক ব্যবস্থা পৃথক করার সমস্যায় একমত হয়েছে এবং বেসামরিক পারমাণবিক শক্তির সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । অপর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে আলাদা আলাদাভাবে গত জুলাই ও নভেম্বর মাসে দু দেশের বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিল গৃহীত হয় । তবে এ দুটো বিলের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে । তাই আলোচনার মাধ্যমে একটি একক বিল প্রণয়ন করতে হবে । তারপর স্বাক্ষরের জন্যে এ একক বিল প্রেসিডেন্ট বুশের কাছে পেশ করতে হবে ।

     মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের ভোটদানের ফলাফল থেকে দেখা গেছে , কংগ্রেসের অধিকাংশ সদস্য ভারত-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছেন । সুতরাং একক বিল গ্রহণের সম্ভাবনা খুব বেশি । এর পেছনে গুরুত্বপূণ কারণ হচ্ছে এই যে , যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ভারতের রণকৌশলগত মূল্য আরো মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । ঠান্ডা যুদ্ধের পর পারমাণবিক সমস্যা বরাবরই ছিল ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মস্ত বড় বাধা । এ সমস্যা সমাধান না হলে দু দেশের মধ্যে সত্যিকার পারস্পরিক আস্থা প্রতিষ্ঠা এবং দু দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় অগ্রগতিও সম্ভব নয় । বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে নিজের পক্ষে টেনে আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় বলে বিবেচিত হচ্ছে । তাছাড়া ভারত-মার্কিন বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি সংক্রান্ত চুক্তি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কোম্পানিগুলো বাণিজ্যিক দিক থেকে অনেক লাভবান হবে ।

    এসব সত্ত্বেও আসন্ন যৌথ অধিবেশনে একক বিল গৃহীত হবে কি না এবং গৃহীত বিলের বিষয়বস্তু কি রকম । সেই সম্পর্কে ভারত সতর্ক মনোভাব পোষণ করছে । মার্কিন সিনেটে সেই চুক্তি সংক্রান্ত বিল পাশের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী সিং বলেছেন , সর্বশেষ বিলকে ২০০৫ সালের জুলাই মাসের যুক্ত বিবৃতির মর্মবস্তুর সংগে সংগতি রাখতে হবে ।

     বর্তমানে ভারত দুটো প্রশ্নে চিন্তিত আছে । প্রথমত সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের একক বিলে নতুন আনুসাংগিক শর্ত যুক্ত করা হবে । দ্বিতীয়ত আলোচনা ও ভোট নেয়ার সময় পিছিয়ে দেয়া হবে । ভারতের এ চিন্তা একেবারে অমূলক নয় । অতীতে সিনেটে ও প্রতিনিধি পরিষদে এ বিল নিয়ে আলোচনার সময় বাকবিতন্ডার তুমুল দৃশ্য দেখা দিয়েছিল । এ দৃশ্য আসন্ন যৌথ অধিবেশনে আবারো দেখা দিতে পারে ।

    শুধু তাই নয় , মার্কিন সিনেটে ও প্রতিনিধি পরিষদে ভারতের গ্রহণযোগ্য বিল গৃহীত হলেও ভারত-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তির চূড়ান্ত বাস্তবায়নে আরো কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে । প্রতিটি পর্যায় অতিক্রম করতে সময় লাগবে । যে কোনো পর্যায়ে জটিল পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে ।