v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-04 14:39:50    
যুক্তরাষ্ট্র ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে

cri
    গত রোববার মার্কিন প্রসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা স্টিফেন হাদলি সি এন এনের এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন , মার্কিন প্রেসিডেন্ট সক্রিয়ভাবে রামসফিল্ডের প্রস্তাব বিবেচনা করবে এবং উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, ইরাক নিয়ে মার্কিন নীতির বিন্যাস করতে হবে ।

    জানা গেছে , গত মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার আগে রামসফিল্ড তাঁর পেশকৃত একটি স্মারকলিপিতে এ প্রস্তাব দিয়েছেন । স্মারকলিপিতে স্বীকার করা হয়েছে , ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অগ্রগতি ইতিবাচক নয় । এখন ইরাকের ওপর প্রচলিত নীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সময় এসেছে । স্মারকলিপিতে প্রস্তাব করা হয়েছে যে , মার্কিন বাহিনীকে সহজে আক্রান্ত স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে দ্রুত প্রতিঘাত বাহিনীতে পরিণত করা হবে । এক কথায় ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহারের জন্যে প্রস্তুতি নেয়া হবে । হাদলি বলেছেন , এখন জর্জ বুশ এসব প্রস্তাব বিবেচনা করছেন । তিনি আশা করেন যে, এখন থেকে ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনী সরিয়ে নিয়ার কাজ শুরু হবে । অবশ্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বুশকে কংগ্রেসের ইরাক সমস্যা সংক্রান্ত গবেষণা গ্রুপের প্রস্তাব সহ ইরাক সংক্রান্ত নীতির প্রতি বিভিন্ন পক্ষের মতামত শুনতে হবে ।

    বর্তমানে ইরাকের পরিস্থিতি ও যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক সংক্রান্ত নীতির ওপর ইরাক সমস্যা সংক্রান্ত গবেষণা গ্রুপের লেখা প্রতিবেদন মোটামুটি সম্পন্ন হয়েছে । আগামী বুধবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে । অথচ কয়েক দিন আগে এ প্রতিবেদনে পেশকৃত প্রস্তাব মার্কিন গণ মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেছে ।

সি এন এনের খবরে প্রকাশ , ইরাক সংক্রান্ত গবেষণা গ্রুপ মনে করে যে, ইরাকের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্যে প্রতি এক হাজার ইরাকীর মধ্যে ১৫জন মার্কিন সৈন্যকে রাখতে হবে । এ অনুপাত অনুসারে ইরাকে ৪ লাখ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রাখতে হবে । তবে বর্তমানে মাত্র ১ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন সৈন্য ইরাকে মোতায়েন রয়েছে । অথচ ৪ লাখ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন করা বর্তমান আর্থিক অবস্থায় সম্ভব নয় । তাই প্রতিবেদনে ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে ।

    প্রতিবেদনে আরো প্রস্তাব করা হয়েছে যে , ইরাক সরকারকে তার নিজস্ব শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি কয়েক কিস্তিতে মার্কিন বাহিনীকে সরিয়ে নেয়া হবে । যদি ইরাক সরকার অল্প দিনের মধ্যে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ও সহিংস তত্পরতা রোধ করতে সক্ষম হয় , তাহলে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার আপেক্ষিকভাবে ধীরস্থির গতিতে ও সুশৃংখলভাবে চলতে পারবে । যদি ইরাক সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যথ হয় , তাহলে মার্কিন বাহিনীর গুরুতর হতাহত অবস্থা এড়ানোর জন্যে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের গতি আরো দ্রুত হবে । গবেষণা গ্রুপ মনে করে যে , ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে না পারলে মার্কিন বাহিনীর যে কোনো তত্পরতা অকেজো হয়ে থাকবে ।

    নানা লক্ষণ থেকে দেখা যাচ্ছে , একগুঁয়ে বুশ এখন ইরাক নিয়ে তাঁর নতুন নীতির কথা বিবেচনা করছেন ।

সম্প্রতি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির সংগে বৈঠক করার পর বুশ বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্র ইরাকী বাহিনীর কাছে নিরাপত্তার দায়িত্ব হস্তান্তর করার প্রক্রিয়াকে আরো দ্রুততর করবে । গত শনিবার এক নিয়মিত বেতার ভাষণে বুশ সরাসরি বলেছেন , তিনি ইরাকে শুধু আগেকার জোর দেয়া রণকৌশল নয় , রণনীতিরও পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক ।

    বুশ সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন , বুশের পরিকল্পনা হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর সংখ্যা কমিয়ে আনা । প্রথমে ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে এক যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে উন্নীত করা হবে । তারপরই ধাপে ধাপে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে ।