v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-02 21:05:10    
আমাদের বন্ধু সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে

cri

    আপনাদের হয়তো মনে আছে, ২০০৪ সালের মার্চ মাসে দেশি-বিদেশী একটি সংবাদ সম্মেলনে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও বলেছেন, "যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস রাজ্যের টোনিকা শহরের একটি মাধ্যমিক স্কুলের ৩০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী আমাকে ৫৪টি প্রশ্ন করেছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চীনের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সমাজ এবং আমার ব্যক্তিগত জীবন ও শখ। যেমন আমি কি খেতে পছন্দ করি? আমি কুংফু পারি কিনা? কত বড় জুতা পরি? সত্যি সত্যিই চীনের ওপর তাদের দৃষ্টি রয়েছে।"

 প্রধানমন্ত্রী ওয়েনের উত্থাপিত ৫৪টি প্রশ্ন হচ্ছে সিআরআই এর ইংরেজী অনুষ্ঠানের পুরোনো শ্রোতা শিক্ষক রিচার্ড ওয়াল্ডস আর তাঁর ছাত্রছাত্রীদের দেয়া প্রশ্ন। প্রথমে ওয়াল্ডস চীনকে ভালভাবে জানতেন না। রেডিও শোনার পাশাপাশি চীনের সংস্কৃতির ওপর তাঁর আগ্রহ অধিক থেকে অধিকতরভাবে বেড়েছে। তিনি বলেছেন, "আমরা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এখন চীনের সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। যেমন বসন্ত উত্সবসহ চীনের নানা ধরনের উত্সব ।"

 তিনি যে কেবল একাই সিআরআই এর অনুষ্ঠান শোনেন তাই নয়, বরং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়েই অনুষ্ঠানটি শোনেন। ২০০৪ সালে তিনি আমাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেস ও গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের বার্ষিক সম্মেলন আয়োজনের সময় চীনের প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশী সংবাদদাতাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার খবর জানার পর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি বিশেষ কর্মসূচীর আয়োজন করেছেন। এ তত্পরতার শিরোনাম ছিল "যদি তুমি চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাও, তাহলে তুমি তাঁর কাছে কি প্রশ্ন করবে"। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি ৫৪টি প্রশ্ন সংগ্রহ করেন এবং সিআরআই এর মাধ্যমে চীনের প্রধানমন্ত্রীকে তার উত্তর দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

 ওয়াল্ডস ভাবতে পারেন নি, সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই চীনের প্রধানমন্ত্রী আনন্দচিত্তে এই প্রশ্নগুলোর কথা তুলে ধরবেন। আরো খুশির ব্যাপার হলো একই বছরের শেষ দিকে, তিনি "নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছর " নামক জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ বিজয়ী হিসেবে আমন্ত্রণক্রমে চীন সফর করেছেন। তিনি নিজেই চীন ও চীনের সংস্কৃতি উপভোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, "এর আগে আমি কেবল মাত্র বই থেকে চীন সম্পর্কে কিছু জ্ঞান লাভ করেছি। কিন্তু চীনে আসার পর আমি চীনের বৈশিষ্টময় চমত্কার সংস্কৃতিকে ভালভাবে অনুভব করেছি।"

 ৬৫ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বহু শ্রোতা আমাদের অনুষ্ঠান শোনার মাধ্যমেই ধীরে ধীরে চীনের সংস্কৃতিকে ভালোবেসেছেন। ৮০ বছর বয়সী রুশ শ্রোতা রোগুলভ পিটার গেলাসিমোভিচ বলেছেন, "১৯৪৯ সাল থেকে আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সংগীতানুষ্ঠান শুনে আসছি। এ অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেই আমার চীনকে জানা শুরু হয়।"

 স্পেনের পুরোনো শ্রোতা আলেজানদ্রো ব্রোনছালেস প্রায় প্রতি দিন রাতেই রেডিওর পাশে বসে চীনের কণ্ঠ শোনেন। তিনি বলেছেন, "সব অনুষ্ঠানই আমি পছন্দ করি। এর মধ্যে সামাজিক জীবন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পর্যটন বিষয়ক অনুষ্ঠান সবচেয়ে ভালো। আমার অনুষ্ঠানগুলো পছন্দ করার প্রধান কারণ হচ্ছে এগুলোর মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক দেশের পুরোপুরি ভিন্ন ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে।"

 কেনিয়ার শ্রোতা উদান্দা শরিফ নিয়মিত সিআরআই'র সওয়াহিলি ভাষার অনুষ্ঠান শোনার মাধ্যমে ২০০৬ সালে "আমি ও চীন আন্তর্জাতিক বেতার" নামক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বিজয়ী নির্বাচিত হয়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তিনি আমাদের সঙ্গে সিআরআই প্রতিষ্ঠার ৬৫তম বার্ষিকী উদযাপন করবেন। তিনি বলেছেন,

 "আমি আট বছর আগে থেকেই সিআরআই এর অনুষ্ঠান শুনতে শুরু করি। সিআরআই-এর কেনিয়া এফ এম বেতার প্রতিষ্ঠার পর আমরা আরো স্পষ্টভাবে অনুষ্ঠানগুলো শুনতে পারি। আমি রোজ শুনি। আমি সংস্কৃতি, ইতিহাস, সংগীত, পর্যটন বিষয়ক অনুষ্ঠানগুলো শুনতে পছন্দ করি। সিআরআই এর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি চীনকে আরো ভালোভাবে জেনেছি এবং চীনকে আরো বেশি পছন্দ করেছি।"

 মরক্কোর শ্রোতা ইদ্রিস বুওয়াদিনা আমাদের পুরনো শ্রোতা ও নতুন নেট-ব্যবহারকারী। তিনি বলেছেন, "আমি সিআরআই এর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনকে জানতে শুরু করি। আমি ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৭ বছর ধরে অনুষ্ঠান শুনে আসছি। প্রথমে আমি কেবল রেডিওর অনুষ্ঠান শুনতাম, পরে বেতারের সঙ্গে চিঠির মাধ্যমেও যোগাযোগ স্থাপন করি। গত কয়েক বছরে হলো সিআরআই ওয়েবসাইট খুলেছে। এটা শ্রোতাদের জন্য আরো একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম তৈরী হয়েছে। আমি প্রায়শই আরবী ভাষার ওয়েবসাইটটি দেখি, এর মাধ্যমে সিআরআই এর সঙ্গে আমার যোগাযোগ আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে। আরবী ভাষার ওয়েবসাইটে চীন ও আরব বিশ্বের সম্পর্ক, চীনের মুসলমানদের অবস্থা, চীনের সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে বহু তথ্য আছে।"

 অনেক শ্রোতা কেবল নিজেই অনুষ্ঠান শোনেন তাই নয়, বরং সিআরআই এর শ্রোতা ক্লাবও গঠন করেছেন। ক্লাবের সদস্যারা একসাথে রেডিও শুনে মতামত বিনিময় করেন। এভাবে সিআরআই এর শ্রোতার সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ক্লাবের সংখ্যা ৩৬০০টিরও বেশি হয়েছে। ২০০৫ সালে শ্রোতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত চিঠি ও ই-মেইলের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। অনুমান অনুযায়ী, এ বছর এ সংখ্যা আরো বেশি হবে।

 জাপানী নাগাশিমা কেইছির চাঁদা দিয়ে চীনের হুপেই প্রদেশের 'ঈ ' জেলায় একটি প্রত্যাশা প্রাথমিক স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটি অনুষ্ঠানে মিঃ নাগাশিমা কেইছি বলেছেন, "প্রথমে চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ সিআরআই এর সহায়তায় আমরা 'ঈ' জেলায় এই প্রত্যাশা প্রাথমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। আপনাদের সাহায্যে এই প্রাথমিক স্কুল আজ পর্যন্ত চলে আসছে।"

 এই স্কুল প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে জাপানী বিভাগের প্রধান ফু ইং বলেছেন, "নাগাশিমা কেইছি আমাদের একজন শ্রোতা। তিনি চীনের একটি দরিদ্র জায়গা খুঁজে স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য দান করার আশা প্রকাশ করেছেন এবং এই দায়িত্ব চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে দিয়েছেন। ২০০০ সালে এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ বছরের জুলাই মাসে তিনি আর জাপানের অন্যান্য বন্ধুভাবাপন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে চীন সফর করেছেন। কিন্তু ভাবতে পারি নি যে, সেটাই আমাদের শেষ বারের মত সাক্ষাত্ । তিনি জাপানে ফিরে যাওয়ার পরপরই মারা গেছেন।"

 ভালবাসা বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে অব্যাহত রয়েছে।

 শ্রীলংকায় সিআরআই এর সিংহলী বিভাগ জলোচ্ছ্বাসে দুর্গত স্কুলের জন্য চাঁদা তোলার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এই বিভাগের পরিচালক ওয়াং সিয়াও তুং তত্কালীন অবস্থা জানিয়েছেন, "সিংহলী বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য আমরা শ্রীলংকায় গিয়েছি। সেই সময় ঠিক জলোচ্ছ্বাস ঘটার পর দুর্গত শ্রোতাদের সাহায্য করার জন্য আমরা চীনে চাঁদা সংগ্রহ করেছি এবং সিআরআই এর পক্ষ থেকে শ্রোতা সমিতিকে দিয়েছি। আমরা শ্রীলংকায় পৌঁছানোর পর সেখানে বড় আকারের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি । অনুষ্ঠানে সংগৃহীত টাকা দিয়ে কিছু বই কিনেছি। তারপর বইগুলো অপেক্ষাকৃত গুরুতর দুর্গত অঞ্চলের পাঁচটি স্কুলকে দিয়েছি।"

 ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ রাশিয়ার বেসলান শহরে ঘটা এই জিম্মী ঘটনায় ৩০০রও বেশি লোক মারা গেছে, এর মধ্যে অধিকাংশ ছিলো শিশু । রেছাল ভিকস নামে এই বৃটিশ শ্রোতা এই ঘটনার স্মরণে একটি গান লিখেছেন। সিআরআই এর কর্মী ওয়াং লিং এক বিশেষ অনুষ্ঠান তৈরি করেছেন। তিনি বলেছেন, "৩ সেপ্টেম্বর আমরা প্রথম বার এই গানটি প্রচার করেছি। রাশিয়ার একজন শ্রোতা গানটি শোনার পর খুব মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি আমাদের চিঠি লিখে পুনঃপ্রচার এবং গানের লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ করার আশা প্রকাশ করেছেন। ফলে আমরা শ্রোতাদের উদ্যান আসরে এমন একটি বিশেষ অনুষ্ঠান করেছি। সংলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাঁরা জিম্মী ঘটনার ওপর নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন এবং শিশুদের জন্য আরো একটি সুন্দরত্তম পৃথিবী স্থাপনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।"

 আনন্দের ব্যাপার হলো, সিআরআই শুধু সেতু নয়, আমরা সত্যি সত্যি শ্রোতাদের জীবনে ও তাঁদের হৃদয়ে প্রবেশ করেছি। জার্মান শ্রোতা ভোল্কার ভিলস্ছারি বলেছেন, "৩৫ বছর আগে থেকে আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঘনিস্ঠ শ্রোতা হয়েছি্। একজন মানুষ একটি বেতারের সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে এমন বন্ধুত্বপূর্ণ বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে মিলিতভাবে তার উঠানামা অনুভব করে আসছি। এ সম্পর্ক ঠিক যেন বিয়ের মতোই মানুষের জীবনে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।"

 সিআরআই এর বাগানে চেরি ফুলের গাছের বন আছে। এটাও শ্রোতা ও সিআরআই এর মধ্যকার মৈত্রীর প্রমাণ। জাপানী বিভাগের পরিচালক ফু ইং বলেছেন, "দশ বছর আগে জাপানের নাগানো শ্রোতা সমিতি এই চেরি ফুল গাছগুলো রোপণ করেছেন। তাঁদের চেরি ফুল গাছের বীজোত্পন্ন বৃক্ষ চীনে নিয়ে আসার জন্য অনেক কষ্ট হয়েছে। চেরি ফুলের একটি বিশেষ প্রতীকি তাত্পর্য আছে। চীনের মাটিতে যা বড় হতে পারাটাও মৈত্রীর প্রতীক।"

 এ ধরণের উদাহরণ হিসেবে আরো রয়েছে চীন-দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রী বন। কোরিয় বিভাগের পরিচালক চু চেন শান বলেছেন, "২০০৫ সালে কোরিয় বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৫৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রোতা প্রতিনিধি দল সিআরআই সফর করেছে। তাঁরা কোরিয় বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে চীন-দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রী বৃক্ষ রোপণ করেছেন। প্রতিনিধি দলের নেতা ছিলেন চীনে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রদূত কয়ান বিয়োং-হুয়োন। তিনি বলেছেন, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের কোরিয় ভাষার অনুষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তিনি আশা করেন, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রী চীন-দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রী বৃক্ষের মতো চির সবুজ হবে।"

 এমন গল্প আমার সহকর্মীরা আরো অনেক বলতে পারেন।

 সিআরআই এর ৪৩টি বিভাগে প্রায় সবারই শ্রোতা বিষয়ক অনুষ্ঠান আছে। এই অনুষ্ঠানগুলোতে শ্রোতাদের বহু প্রস্তাব ও মতামত শুনা যায়। শ্রোতা যোগাযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক শি লি বলেছেন, "প্রত্যেক বিভাগে শ্রোতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান রয়েছে। অন্যান্য অনুষ্ঠানের পরিবর্তন হলেও শ্রোতা বিষয়ক অনুষ্ঠান বজায় থাকবে। যেমন শ্রোতাদের বিনিময়, শ্রোতাদের শুভেচ্ছা, মিতালী ও মুখোমুখিসহ ধারাবাহিক অনুষ্ঠান রয়েছে এবং যা শ্রোতাদের পছন্দ হয়েছে।"

 শ্রোতারা সিআরআইকে একজন বন্ধু বা আত্মীয়ের মত মনে করেন। এমন একজন বন্ধুর ৬৫তম জন্ম দিনে অভিনন্দন বাণী সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে।

 গ্যাবোনের প্রেসিডেন্ট হাদজি ওমার বোনগো বলেছেন, "চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ৬৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি বেতার ও টেলিভিশন ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে আরো গভীর সহযোগিতা করার আশা করি।"

 চীনে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত চেন ওয়েন রিএ বলেছেন, "নতুন যুগে চীন আন্তর্জাতিক বেতার আরো বিরাট সাফল্য অর্জন করবে বলে কামনা করি। চিরকালের জন্য চীন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের একটি মৈত্রী সেতু হবে। চীন ও ভিয়েতনামের "কমরেড ও ভাই ভাই" এর মতো মৈত্রী গাছের সুফল পাওয়ার লক্ষ্যে অবদান রাখবে।"

 মরক্কোর শ্রোতা মাইন বুটিনান বলেছেন, "চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ৬৫তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা এই বেতারের আরো বিরাট অগ্রগতি অর্জন কামনা করি।"

 ভারতের সিআরআই তামিল শ্রোতা সমিতান চেয়ারম্যান এস সেলভাম বলেছেন, "ভবিষ্যতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী তামিল শ্রোতারা অব্যাহতভাবে সিআরআই এর উন্নয়নের জন্য অবদান রাখবেন।"