v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-30 15:32:15    
আফগানিস্তানে নেটোর সম্মুখীসমস্যা অমিমাংসীত

cri
    নেটোর শীর্ষ সম্মেলন দু' দিন চলার পর ২৯ নভেম্বর লাটখায়ার রাজধানী রিগায় শেষ হয়েছে। এর আগে অনেক পর্যবেক্ষক যেভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ঠিক সেভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, নেটোর এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আফগান সমস্যা নিয়ে পূর্নপ্রত্যাশিত সাফল্য অর্জিত হয়নি।

    কার্যকর শান্তিরক্ষাঅভিযানের মাধ্যমে কিভাবে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও পুর্নগঠন ত্বরান্বিত করা যায় তা ছিল এবারের নেটো শীর্ষ সম্মেলনের একটি আলোচ্য বিষয়। শীর্ষ সম্মেলনে অনুমোদিত ' রিগা ঘোষণায়' অধিকাং বিষয় আফগান সমস্য নিয়ে । রিগা ঘোষণায় জোর দিয়ে বলা হয়েছে, নেটো আফগানিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাস্তবায়নকেঅগ্রাধিকার দেয়। আফগানিস্তানে মোতায়েন নেটোর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনী অব্যাহতভাবে আফগান সরকার ও জনগণের জন্যে ' দীর্ঘস্থায়ী' সমর্থন যুগিয়ে দিবে। এই দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন পালন করার জন্যে এই বাহিনীর গুণমান আরও উন্নত করা হবে। হাস্যকর ব্যাপার এই যে, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা উপেক্ষা করে

    কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আফগানিস্তানের শান্তিরক্ষাঅভিযানে তাদের মধ্যে মতৈক্য হয়নি।

    আফগান শান্তিরক্ষী অভিযান হল স্নায়ু যুদ্ধের পর ঐতিহ্যিক প্রতিরক্ষা অঞ্চলের বাইরে নেটোর প্রথম এবং সবচেয়ে বড় আকারের সামরিক অভিযান। এই সামরিক অভিযানকে নতুন পরিস্থিতিতে নেটোর দুর পাল্লার মোতায়েন, দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সহযোগিতায় লড়াই করার ক্ষমতা যাচাই করার একটি প্রক্রিয়া । যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালনায় নেটোর নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানে মেতায়েন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনী মর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণাধিকার গ্রহণ করেছে। এর পর আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পূবাঞ্চলে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের সঙ্গে সঙ্গে লড়াইয়ের তীব্রতা নেটোর প্রত্যাশার বাইরে। এই পটভূমিতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনীতে অংশ গ্রহণকারী প্রধান প্রধান দেশের তত্পরতা দিন দিন সতর্ক হয়ে উঠেছে। যার ফলে আফগানিস্তানে নেটোর শান্তিরক্ষা অভিযানের অগ্রগতি স্থগিত হয়েছে। এর কারণ হল প্রধানত দু' টি ।

    প্রথমত: প্রধান সদস্য দেশসমুহ সৈন্যের সংখ্যা বাড়াতে চায় না। নেটোর প্রদত্ত সংখ্যা অনুযায়ী, তালিবানের নেতৃত্বে আফগানিস্তানের সরকার-বিরোধী সশস্ত্র বাহিনী চলতি বছরের শুরু থেকে তাদের আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে

    দিয়েছে। নেটোর বিরুদ্ধে তালিবানের আক্রমণের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। চঞ্চাল্যময় পরিস্থিতি প্রত্যক্ষভাবে আফগানিস্তানের পূর্ণগঠনের প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলেছে। নেটোর নেতারা বারবার হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, বতর্মানে আফগানিস্তানে মোতায়েন ৩২ হাজার সৈন্য যথেষ্ট নয়। কমপক্ষে আরও ২৫০০ সৈন্য বাড়াতে হবে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ আর নেটোর মহা সচিব স্কেফের এরারের শীর্ষ সম্মেলনে অনেক চেষ্টা করেছেন, তবু ফ্রান্স, জর্মানী, ইতালি আর স্পেন সহ প্রধান প্রধান সদস্য রাষ্ট্র আফগানিস্তানে তাদের সৈন্য আর না পাঠানোর কথা ব্যক্ত করেছে।

    দ্বিতীয়ত: কোন কোন প্রধান সদস্য রাষ্ট্র আফগানিস্তানে তাদের সৈন্যদের তত্পরতা সিমিত রাখার ব্যাপারে স্পষ্টভাবে প্রতিশ্রুতি দিতে চায় না। নেটোর নেতৃবৃন্দ আর যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী আর স্পেনকে তাদের সৈন্যদের তত্পরতা সিমিত রাখতে রাজি করিয়েছে।

    আসলে এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আফগান সমস্যায় কোন বাস্তব অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। ক্যানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাককাই সম্মেলনে বলেছেন, আংশিক সদস্য দেশকে এ ধরনের মূল্য দিতে হলে তা ন্যায়সঙ্গত নয়। একটি সংবাদ সম্মেলনে নেটোর মহা সচিব স্কেফের ঠাট্টা করে দিয়ে বলেছেন, আফগানিস্তানে আমাদের সামরিক অভিযানে বিজয় অর্জিত হতে পারে, আমরা এর জন্য চেষ্টা করছি , কিন্তু এখন পযর্ন্ত আমরা বিজয় লাভ করতে পারিনি। এতক্ষণ একটি প্রতিবেদন শুনলেন।