v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-29 19:29:57    
চীনের বাঙালী ব্যবসায়ী মোস্তফা আল মাহমুদ

cri
প্রশ্ন: প্রথমে আমাদের শ্রোতা বন্ধুদের জন্য আপনার পরিচয় দিন ?

উত্তর: শ্রোতা বন্ধুদেরকে আমার পরিচয় জানাচ্ছি । আমি মোস্তফা আল মাহমুদ । আমার বাড়ী জামালপুর জেলায় । এখানে আমি গত দু'বছর ধরে আমদানী-রপ্তানী ব্যবসার সাথে জড়িত । আমি কুয়াংচৌতেই থাকি । আমার পরিবারও এখানে আছে ।

প্রশ্ন: প্রথমবার চীনে আসায় কেমন লেগেছে ?

উত্তর: আসলে আমি চীনে আসার আগে অনেক দেশই ভ্রমণ করেছি । যেমন আমি গেছি জাপানে , কোরিয়অতে , অষ্ট্রেলিয়াতে , ইতালীতে এবং আমি মধ্য প্রাচ্যেও গিয়েছি । আমার কাছে চীনে আসার পর আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে সবাই বন্ধুসুলভ ও কোঅপারেটিভ । আমার কাছে এটি খুবই ভালো লেগেছে । এবং এখানে মানসিক বিভিন্ন পার্থক্যও খুবই কম । সবাই সবাইকে আপন করে নেয় । যার কারনে আমি মনে করেছি যে এটা আমার জন্য ভালো জায়গা । সামাজিকভাবে এবং ব্যবসায়ীকভাবেও মনে হয়েছে আমার জন্য ভালো জায়গা ।

প্রশ্ন: আসার আগে কি চীন সম্পর্কে আপনি বেশী জানেন ?

উত্তর: আসার আগে দু'তিন বছর আমি ইম্পোর্ট করেছি । চীনের থেকে ইলেক্ট্রনিক ও অন্যান্য ব্যবহারীক দ্রব্যাদি ইম্পোর্ট করেছি । কয়েকবার এসেছি ।

প্রশ্ন: চীন থেকে বাংলাদেশে ?

উত্তর: হ্যাঁ , চীন থেকে বাংলাদেশে । তাই সে সম্পর্কে আমি চীনকে জানি । কিন্তু আমি কখনই সিদ্ধান্ত নেইনি যে চীনে থাকবো বা ব্যবসা করবো । হঠাত্ করেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।

প্রশ্ন: তাহলে কেন আপনি এত বড় সিদ্ধান্ত নিলেন ?

উত্তর: আসলে ববলতে পারেন কিছুটা সাডেন্লি । আমি এথাই বলতে চাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের তৃতীয় বিশ্বের জন্যে মানুষের বৈষমোর শিকার । এটা চীনে আমি কোনভাবেই অনুভব করিনাই । আপনি যদি ইউরোপে যান দেখবেন এশিয়ার বিভিন্ন দেশ লাইক চায়না , বাংলাদেশ বা অন্য কোন যারা ছোট রাষ্ট্র বা অনুন্নত দেশ বা উন্নয়নশীল দেশ তাদেরকে তারা ভিন্ন চোখে দেখে । যার কারণে আমি মনে করেছি যে চীনে এ ধরনের কোন সমস্যা আমি দেখি নি । এজন্যেই ভালো লেগেছে ।

প্রশ্ন: তাহলে আপনিও জাপানসহ কিছু এশীয় দেশের সঙ্গে ব্যবসা করেছেন । আপনার মনে করেন চীন এবং অন্য দেশের সঙ্গে পার্থক্য আছে ?

উত্তর: সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি যে আমি চিন্তা করেছি আমাকে কেন্দ্র করে । আমি ব্যবসা করি আমার ব্যবসার জন্য পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিক কি হবে । সেক্ষেত্রে আমি দেখেছি যে অন্য দেশের চেয়ে আমার জন্য চায়নাই খুব নিরাপদ এবং খুব উন্মুক্ত জায়গা হবে যেখানে ব্যবসা করা যায় ।এবং সেই সাথে প্রত্যেকটা মানুষই তাদের ব্যক্তিগত অপিনিয়ন থাকে সেটা হচ্ছে যে কেউ চায় যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ কেউ আবার হয়তো অন্য ধরনের আচরণ হয়তো পছন্দ করতে পারে । কিন্তু আমি মনে করেছি যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের জন্য চায়নাই বিখ্যাত । এ জন্য আমার কাছে ভালো লেগেছে ।

প্রশ্ন : আপনি চীনে এসে চীন সরকার আপনার ব্যবসার জন্য কোন সুবিধা দিয়েছে কি ?

উত্তর: অবশ্যই । আমি যেটা মনে করেছি যে আমার দেশের মত চীনেও যথেষ্ট নিয়ম কানুন পরিকলক্ষিত হতে দেখা যায় যেখানে আমার খুব সহজেই আমাদের লাইসেন্স পেয়েছি । তবে এখানে আমাদের কোন কষ্ট করতে হয় নাই । কোন প্রকার অন্যায়মূলক আচরণ আমরা পাই নি । খুবই সুন্দরভাবে পেয়েছি । আমরা তাই লিগালী সরকারকে ট্যক্সি দিচ্ছি । সেভাবে আমরা এখানে থাকছি । সেক্ষেত্রে ভালোই লাগছে ।

প্রশ্ন: আপনি চীনে ব্যবসা করেন তাহলে চীনের পণদ্রব্য অন্য দেশের পণদ্রব্যের চেয়ে কোন সুবিধা আছে ?

উত্তর: অবশ্যই । সারা পৃথিবীতে এখন চীনা পণ্যদ্রব্যের মাকেট প্রতিদিয়তই বাড়ছে । একারণেই প্রথমত এখানে পণ্যদ্রব্যের মূল্য অনেক কম । এটা অবশ্যই আমাদের জন্য পজেটিভ । দ্বিতীয় বিষয় হলো কোয়ালিটির । যে বিষয়টি ছিল তা উন্নত হচ্ছে যার কারণে মানুষের বিশ্বাস আস্থা এখন আরো বেশী বেড়েছে ।

প্রশ্ন: আপনি কোন কোন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করেন ?

উত্তর: আমি এই মূহর্তে চীনের পণ্যদ্রব্য বেশির ভাগই পাঠাচ্ছি বাংলাদেশে । আমি ক্যানাডাতে পাঠাচ্ছি । আমেরিকাতেও কিছু পাঠাচ্ছি । এবং অষ্ট্রেলিয়াতেও কিছু যাচ্ছে । শ্রীলংকা , ইন্ডিয়া এবং জিম্বাবুয়ে এই সবদেশে আমি চায়না পণ্য পাঠাচ্ছি ।

প্রশ্ন: ভবিষ্যতে আপনার কি কি পরিকল্পনা আছে ?

উত্তর: ভবিষ্যতে আমি চাচ্ছি , চায়না এবং বাংলাদেশের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে এবং যে সহযোগিতা আছে সেক্ষেত্রে আমার কোন সাধ্যে এবং ক্ষমতা এবং আমার কোন এচিলিটি থাকে আমি এদেরকে আরো ভালো করার চেষ্টা করবো । আমার যতটুকু ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আছে , পাশাপাশি এই সম্পর্কের মাধ্যমে চায়না সারা পৃথিবীর একটা মডেল উন্নয়নের মডেল । আমরা চেষ্টা করবো যে চায়নার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে উন্নয়নের সহযোগিতাকে আরো বাড়ানো ।