v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-29 18:38:26    
চীনের ১০ হাজার মুসলমান হজ্ব করতে  যাচ্ছেন

cri
    ২৯ নভেম্বর থেকে হজ পালনের জন্য চীনের প্রায় দশ হাজার মুসলমান বিমান যোগে সৌদি আরবের মক্কায় যাচ্ছেন । আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছর চীনের হজ্বযাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ।

     ৬০ বছর বয়সী মা চুন ই উত্তর- পশ্চিম চীনের কানসু প্রদেশের একজন মুসলমান । হজ্ব পালনের জন্য ২৯ নভেম্বর তিনি চীনের ইসলাম সমিতির ভাড়া করা বিমান যোগে পশ্চিম চীনের লান চৌ শহর থেকে রওয়ানা হয়েছেন । তিনি বলেছেন , হজ্ব করতে মক্কায় যাচ্ছি বলে আমি আনন্দ বোধ করি । হজ্ব পালন প্রত্যেক মুসলমানের আবশ্যিকভাবে করণীয় । হজ্ব করতে মক্কায় যাওয়া সব মুসলমানের স্বপ্ন । এ বছর আমি এ সুযোগ পেয়েছি , তাই আমি খুব খুশী ।

    চীনে মা চু ইর মতো মুসলমানের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি । মুসলমানদের চোখে মক্কায় হজ্ব করতে যাওয়া জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার । কেননা মুসলমানদের জীবনে পাঁচটি করনীয় কর্তব্য আছে , মক্কায় হজ পালন তার মধ্যে অন্যতম । ২৯ নভেম্বর মা চুন ইর সঙ্গে আরো তিন শতাধিক মুসলমান লানচৌ থেকে রওয়ানা করেছেন । এর পরের দশ -বারো দিনে চীনের আরো নয় হাজার চার শ' মুসলমান চীনের ইসলাম সমিতির ভাড়া করা বিমানে করে চীনের রাজধানী পেইচিং , দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের কুনমিং আর উত্তর- পশ্চিম চীনের উরুমুচি শহর থেকে মক্কায় যাবেন ।

    মিঃ তিন কো ইয়াং কয়েক দিন পর পেইচিং থেকে মক্কায় যাবেন । তিনি পেইচিংয়ের একটি মসজিদের ইমাম । হজ করতে মক্কায় যাওয়া তার সারা জীবনের স্বপ্ন। তিনি বলেছেন , আমরা মুসলমানরা সবাই হজ করতে মক্কায় যেতে চাই এবং মুসলমানদের করণীয় কর্তব্য পালন করতে চাই । চীনে সংস্কার নীতি কার্যকরী করার পর বিশের অধিক বছরে মক্কায় যাওয়া চীনা মুসলমানদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে । আগে প্রতি বছর মাত্র চার থেকে পাঁচ শ' মুসলমান মক্কায় যেতেন , এখন প্রতি বছর প্রায় দশ হাজার মুসলমান হজ করতে যান ।

    চীনের ইসলাম সমিতির উপপ্রধান হোং ছাং ইউ বলেছেন , ১৯৭৮ সালে চীনে সংস্কার নীতি চালুর পর থেকে মোট এক লাখ ২০ হাজার মুসলমান মক্কায় গিয়েছেন । এ বছর সবচেয়ে বেশি মুসলমান হজ্ব করতে মক্কায় যাচ্ছেন । তিনি আরো বলেছেন , হজ্বযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে । তিনি বলেছেন , এর আগে হজযাত্রীবহনকারী বিমানগুলোকে জেদ্দায় অবতরণ করতে হত । হজযাত্রীদের জেদ্দা থেকে গাড়ী করে মদিনায় যেতে হতো । এ বছর থেকে আমাদের ভাড়া করা বিমান সোজা মদিনায় পৌছঁতে পারবে । এতে হজ্বযাত্রীদের ক্লান্তি অনেক কম হবে এবং দশ-বারো ঘন্টা সময় বেঁচে যাবে । হজ্বযাত্রীদের সাহায্য করার জন্য ইসলাম সমিতি প্রত্যেক হজ্বযাত্রী দলে ইমাম ও কর্মী পাঠিয়েছে । তাই পথে হজযাত্রীদের কোনো অসুবিধা হবে না ।

    মিঃ হোং আরো বলেছেন , হজযাত্রীদের খাওয়া ,থাকা ও যাতায়াতের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চীনের একটি কর্মীগ্রুপ ইতোমধ্যে সৌদি আরবে গিয়েছে । এই কর্মীগ্রুপ সৌদি আরবের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং চীনের হজ্বযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে । চীনের একটি চিকিত্সা দলও মক্কায় পাঠানো হবে । এ চিকিত্সা দলের বিশের অধিক চিকিত্সা কর্মী হজ্বযাত্রীদের সময়োচিত চিকিত্সা পরিসেবা করবেন এবং হজ্বযাত্রীদের সঙ্গে মক্কায় থাকবেন । সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট বিভাগ চীনের হজ্বযাত্রী দলের সাংগঠনিক কাজের গভীর মূল্যায়ন করে বলেছেন , বিভিন্ন দেশের মধ্যে চীনের হজ্বযাত্রী দলের সাংগঠনিক কাজ সবচেয়ে ভালো ।

    জানা গেছে , চীনের প্রায় দশ হাজার মুসলমান মক্কায় হজ্ব পালন করে আগামী বছরের জানুয়ারী মাসে দেশে ফিরে আসবেন ।