v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-28 16:18:29    
চীনের বিখ্যাত পন্ডিত ইয়ু ছিউ ইয়ু

cri

    ইয়ু ছিউ ইয়ু চীনের সংস্কৃতি ক্ষেত্রের একজন সুবিখ্যাত পন্ডিত। তিনি চীনের সবচেয়ে কমবয়সী অধ্যাপক এবং, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ছিলেন। এখন একজন স্বাধীন লেখক। তিনি চীন তথা বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে গিয়ে প্রবন্ধ লেখার তথ্য সংগ্রহ করেছেন। চীনের সংস্কৃতির উপর তিনি বেশ দায়িত্ব বোধ করেন বলেই কিছু সমস্যা নিয়ে তিনি সরলভাবে অভিযোগ করে থাকেন।

    ১৯৪৬ সালে ইয়ু ছিউ ইয়ু চীনের চে চিং প্রদেশের একটি গ্রামে জন্ম নিয়েছেন। তার মা তাকে গ্রামের নিরক্ষর প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে উপদেশ দিতেন। সাত বছর বয়সে ইয়ু ছিউ ইয়ু সব সময়ে তাদের চিঠি লিখতে সাহায্য করতেন। শাংহাইয়ে পড়াশোনা করার সময়ে শাংহাই শহরের রচনা প্রতিযোগিতায় তার লেখা প্রবন্ধ শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইয়ু ছিউ ইয়ু বলেছেন:

    "সাত বয়সে আমি প্রতিবেশীদের চিঠি লেখায় সাহায্য করতাম। তখন আমার খেলাধুলার সময় কম ছিলো। কিন্তু এই লেখার মাধ্যমে আমি আমার জন্মস্থান সম্পর্কে আরো বেশি জেনেছি। আর তার ফলে আমার ভেতর দায়িত্ববোধ গড়ে উঠেছে। যার কারণে মায়ের প্রতি আমার এত কৃতজ্ঞতা বোধ। তিনি আমাকে শিখিয়েছেন সংস্কৃতি আসলে এক রকম দায়িত্ব।"

    পড়াশোনা শেষে তিনি স্বাস্থ্যের কারণে চে চিংয়ে ফিরে গেছেন। তিনি সেখানকার একটি ছোট লাইব্রারির সকল প্রাচীণ পুস্তক পড়েছেন। পরে শাংহাইয়ে ফিরে যাওয়ার পর তিনি বিদেশের চিন্তাবিদ ও জ্ঞানান্বেষীদের বইপত্র খুঁজে বের করতে শুরু করেছেন। সব তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তিনি অনেক নাটক ও শিল্পকলা সংক্রান্ত বই লিখতে পেরেছেন। ১৯৮৫ সালে ৩৯ বছর বয়স্ক ইয়ু ছিউ ইয়ু চীনের সবচেয়ে কমবয়সী শিল্পকলার অধ্যাপক হয়েছেন।

    ১৯৮৬ সালে তিনি শাংহাই নাটক একাডেমির মহাপরিচালক হয়েছেন। এতে তার অনেক অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। কিন্তু তার দৃষ্টি অবিচলভাবে চীনের সংস্কৃতির উপরে নিবদ্ধ ছিল। তিনি মনে করেন চীনা সংস্কৃতি খুব সমৃদ্ধ, কিন্তু কিছু কিছু অংশ হয়তো হারিয়ে গেছে। তাই তিনি তার চাকরি থেকে পদত্যাগ করে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে হারানো সংস্কৃতিকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেন। তিনি বলেছেন:

    "এখন আমার সিদ্ধান্তের জন্য আমার ভালো লাগে। প্রাচীণকালের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি অন্বেষণ করে আমার অনুভূতিকে প্রকাশ করতে আমার খুব ভাল লাগে। আশা করি আমার কাজ যুবক-যুবতীদের আরো বেশি তথ্য অন্বেষণ করার ক্ষেত্রে উত্সাহ দেবে।"

    উত্তর-পশ্চিম চীনের তুন হুয়াং থেকে দক্ষিণাঞ্চলের কুয়াং চৌ পর্যন্ত তিনি চীনের সকল বিখ্যাত, সাংস্কৃতিক স্থানে ভ্রমন করেছেন। পরে "সংস্কৃতির মধ্যে কঠিন ভ্রমণ" এবং "পাহাড়ে থাকা বই পড়ার টোকা" দুটি বই প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি নতুন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে চীনের সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব নিয়ে তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।

    পরে তিনি বিশ্বের তিনটি সংস্কৃতির উত্স স্থান দেখার প্রস্তাব তৈরী করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি হংকংয়ের ফিনিক্স টেলিভিশনের বিশেষ উপস্থাপক হিসেবে গ্রীস থেকে গাড়ি চালিয়ে মিশর, ইসরাইল, ভারতসহ দশটিরও বেশী দেশ ভ্রমণ করেছেন। পরে তিনি পথের অভিজ্ঞতা ও চিন্তাভাবনা নিয়ে "শতাব্দীর দীর্ঘশ্বাস" বইটি লিখেছেন। পরের ৬ মাসে তিনি পৃথিবীর ২৬টি দেশের ৯৭টি শহর ভ্রমন করেছেন। পরে "পর্যটকের ভ্রমণ অসীম" নামক একটি বই লিখেছেন। তিনি বলেছেন:

    "তখন একটি পাহাড়ের মধ্যে থাকার জন্য পুরো পাহাড়টি স্পষ্টভাবে দেখতে পারা যায়নি। আমি পৃথিবীর অন্যান্য সভ্যতার দিক থেকে চীনা সভ্যতাকে দেখার চেষ্টা করেছি। এই তুলনার মাধ্যমে আমি চীনা সভ্যতার ভাল দিকগুলো দেখতে পেরেছি এবং মন্দ দিকগুলোও দেখতে পেরেছি। এভাবে আমি চীনা সভ্যতার গঠনের চিন্তাধারাকে গড়ে তুলেছি।"