v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-27 14:28:02    
প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের সফর সফল হয়েছে

cri
    চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ১৫ থেকে ২৬ নভেম্বার পযর্ন্ত ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আয়োজিত এপেকের নেতৃবৃন্দের ১৪তম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে নিয়েছেন। তিনি পর পর ভিয়েতনাম, লাওস, ভারত, পাকিস্তান সফর করেছেন। প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের সফর সঙ্গী, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লি চাও শিয়েন চীনের সাংবাদিকদের দেয়া একটি যৌথ সাক্ষাত্কারে বলেছেন, এবার সফর মৈত্রী গভীরতর করা, পারস্পরিক আস্থা জোরদার করা, সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা এবং ভবিষ্যতের নকশা প্রণয়ন করার লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন শুনুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার লেখা একটি রির্পোট।

    ১২ দিনের এই সফরে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও মোট ৮৮টি কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাস্তব বৈঠক করেছেন এবং দ্বিপাক্ষীক ও অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আর আঞ্চলিক বিষয়ে মত বিনিময় করেছেন। তা ছাড়া তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা সম্পর্কে চীনের নীতিপন্থা ব্যাখ্যা করেছেন। সফরকালে চীন উল্লেখিত দেশসমূহের

    সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রেরসহযোগিতা সংক্রান্ত ৫৪টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন এবং এ উপলক্ষে৫টি যুক্ত বিবৃতি ও ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রী লি চাও শিয়েন মনে করেন, এবারকার সফরে চারটি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রথমত: সহযোগিতা গভীরতর করা , অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বাস্তবায়ন করা। এপেকের নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন সহ অন্যান্য কর্মকান্ডে অংশ নেয়ার সময় প্রেসিডেন্ট কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি বুষম এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চল গঠন করা এবং অভিন্ন সমৃদ্ধ সহযোগিতার নকশা প্রণয়নের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। সম্মেলনের অংশ গ্রহণকারীরা চীনের এই নীতিপন্থার ভূয়সী প্রশংসা প্রকাশ করেছেন। চীনের নীতিপন্থা ' হ্যানয় ঘোষণায়' লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

    সম্মেলন চলাকালে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া , অষ্ট্রেলিয়া,চিলি সহ বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নয়নের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়কে আকর্ষণকারী কোরীয় উপ-দ্বীপের পরমাণু সমস্যা, ইরানের পরমাণু সমস্যা সম্বন্ধে হু চিন থাও চীনের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। বিভিন্ন দেশের নেতারা চীনের সঙ্গে যোগাযোগ আর সমন্বয় জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন , কূটনৈতিক পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে হবে।

    দ্বিতীয়ত: সুদুরপ্রসারী ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রণয়ন করা। ভিয়েতনাম, লাওস, ভারত আর পাকিস্তান চীনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। সফরকালে হু চিন থাও কৌশলগত ও সুদুরপ্রসারিদৃষ্টিভঙ্গিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রস্তাব ব্যক্ত করেছেন। তাঁর প্রস্তাব বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের ইতিবাচক সমর্থন পেয়েছে। যার ফলে দ্বিপাক্ষিকপারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা জোরদার হয়েছে। হু চিন থাও বলেছেন, চীন ও ভারতের সম্পর্ক শুধু দ্বিপক্ষীয় নয় তাতে বিশ্বব্যাপী তাত্পর্যসম্পন্ন। ভারতও বলেছে, ভারত চীনকে সহযোগিতার অংশিদার বলে মনে করে। পাকিস্তান সফরকালে হু চিন থাও বলেছেন, পাক-চীন ঐতিহ্যিক মৈত্রী সুসংবদ্ধ করা , পারস্পরিক উপকারিতার সহযোগিতা গভীরতর করা যেমন দু'দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ তেমনি এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যেও তা কল্যাণকর।

    তৃতীয়ত: পারস্পরিক কল্যাণ ও উভয়ের জয়, আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার মান উন্নত হয়েছে। সফরকালে চীন উল্লেখিত চাঁরটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের চুক্তি

স্বাক্ষরিত হয়েছে।

     চতুর্থত; সম্পর্কেরভিত্তি আরও মজবুত হয়ে জনসাধারণের মধ্যে সফর বিনিময় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভিয়েতনাম সফরকালে হু চিন থাও বলেছেন, দু'দেশের যুবক-যুবতীদের মাঝে মাঝে সফর বিনিময় করতে হবে। ভারত ও পাকিস্তান সফরের সময় হু চিন থাও ঘোষণা করেছেন, আগামী ৫ বছর চীন যথাক্রমে ৫০০জন ভারতীয় যুবক-যুবতী ও ৫০০জন পাকিস্তানী যুবক-যুবতীকে চীনে সফরে আমন্ত্রণ জানাবে। ২০০৭ সালে চীন ও ভারত ' চীন-ভারত ভ্রমণের মৈত্রী বর্ষ' তত্পরতার আয়োজন করবে। উপসংহারে লি চাও শিয়েন বলেছেন, চীনা জনগণ ও উল্লেখিত চারটি দেশের জনগন ভাল প্রতিবেশী, ভাল বন্ধু এবং ভাল অংশীদার। তারা মৈত্রী গভীরতর করার অভিন্ন আশা-আকাংক্ষা পোষণ করেন। এতক্ষণ প্রতিবেদনটি শুনলেন। শোনার জন্য ধন্যবাদ।