v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-21 21:11:26    
চীন-ভারত যৌথ ঘোষণা প্রকাশিত

cri
   ভারত সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ২১ নভেম্বর নয়া দিল্লিতে ভারতের প্রধান মন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । বৈঠকের সময় দু্ই নেতার মধ্যে চীন-ভারত সম্পর্ক , দু'দেশের অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্টআন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়াদি নিয়ে মত বিনিময় হয়েছে। বৈঠকের আগে, ভারতের প্রেসিডেন্ট এ , পি, জে আবদুল কালাম হু চিন থাওয়ের সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। অনুষ্ঠানের পর হু চিন থাও মহাম্মগান্ধির সমাধিতে গিয়ে পুষ্পস্তব অপর্ণকরেছেন। ভারতের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে হু চিন থাও ২০ নভেম্বর নয়া দিল্লিতে পৌঁছেছেন। বিমান বন্দরে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও একটি লিখিত ভাষণে বলেছেন, চীন আর ভারতের মধ্যে প্রতিবেশীমূলক সৌহার্দ্যপূণ সহযোগিতা উন্নয়ন করা কেবল দু'দেশের জনগণ নয় এশিয়া তথা বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নের জন্যও তা হিতকর। মৈত্রী গভীরতর করা, পারষ্পরিক আস্থা বাড়ানো, সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য প্রণয়ন করা তাঁর এবারকার ভারত সফরের উদ্দেশ্য। এর আগে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ভিয়েতনাম ও লাওসে রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন। ভারত সফরের পর তিনি পাকিস্তান সফর করবেন।

    ২১ নভেম্বর নয়া দিল্লিতে চীন আর ভারতের যৌথ ঘোষণা প্রকাশিত হয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, দু'পক্ষ মনে করে, বিশ্বের দুটো বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন ও ভারতের সম্পর্কের বিশ্বব্যাপী রয়েছে কৌশলগত দিক যা তাত্পর্যসম্পন্ন। পারষ্পরিক উপকারিতার অংশীদারী হিসেবে দু'দেশের মধ্যে আরও বিরাট মাত্রার অভিন্ন উন্নয়ন বান্তবায়নেরও অবকাশ রয়েছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যাপারে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করা যায়। ঘোষণায় বলা হয়েছে, দু'দেশের কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারী সম্পর্ক আরও সম্পূর্ণ ও জোরদার করার জন্য দু'দেশের নেতারা রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের দুশটি কৌশনের আশ্রয় বেবেন। ভারত পুনরায় ঘোষণা করেছে, ভারত তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে চীন গণ প্রজাতন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ভারতে তিব্বতীদের চীন-বিরোধী তত্পরতা চালানোর অনুমোদন দেয়া হবে না। চীন ভারতের এই অবস্থানের প্রশংসা করেছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, চীন আর ভারত কলকাতা আর গুওয়াংযৌতে নিজ নিজ কাউন্সিলার কার্যালয় স্থাপন করবে। ২০০৭ সালে চীন-ভারত পযর্টন মৈত্রী বর্ষউদযাপনের ব্যবস্থাকরা হবে।