২১ নভেম্বর নয়া দিল্লিতে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ও ভারতের প্রধান মন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে এক বৈঠক হয়েছে। দু'পক্ষ মনে করে, চীন-ভারত সম্পর্ক শুধু দ্বিপক্ষীয় নয় বিশ্বব্যাপী তা তাত্পর্যসম্পন্নও। দুই নেতা দু'দেশের কৌশলগত অংশীদারী সম্পর্ককে অনবরত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে এক সঙ্গে প্রচেষ্টা চালাতে রাজি হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-ভারত সম্পর্ক সার্বিকভাবে উন্নয়নের যে সুষ্ঠু প্রবণতা দেখা দিয়েছে বৈঠকে হু চিন থাও তার ইতিবাচক প্রশংসা করেছেন। চীন ভারতের উন্নয়নকে স্বাগত জানায়। চীন ভারতকে এশিয়া তথা পৃথীবিতে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার অংশীদার হিসেবে মনে করে। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘকালীণ ও স্থিতিশীল কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারী সর্ম্পক উন্নয়ন চীন সরকারের একটি নির্ধারিত নীতিপন্থা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত তা সাময়িক সময়ের জন্য নয়।
দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য হু চিন থাও ছ'টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। এ ছ'টি প্রস্তাব হল, সংলাপ ও পরামর্শ জোরদার করে পারষ্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বাড়ানো, আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা গভীরতর করে পারস্পরিক উপকারিতামূলক দিকসমূহ বাস্তবায়ন করা, বাস্তব সহযোগিতার সম্প্রসারনের মধ্যে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ , মানবিক আদান-প্রদান তরান্বিত করে সৌহার্দ্যপূর্ণ ভিত্তি সুসংবদ্ধ করা, সীমান্ত আলোচনা এগিয়ে নিয়ে সীমান্তের শান্তি বজায় রাখা এবং বহুমুখী সহযোগিতাকে জোরদার করে অভিন্ন স্বার্থ বজায় রাখা। মনমোহন সিংহ উল্লেখিত ছ'টি প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ভারতে চীনের পুঁজিবিনিয়োগ বাড়াতে ভারত স্বাগত জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দু'দেশের সীমান্ত সমস্যা নিষ্পত্তি করা দু'দেশের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
|