ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে এপেকের দেশসমুহের নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ১৮ নভেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিংজো আবের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন । সাক্ষাত্কারে দু' পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রসারের চলমান প্রবনতা বজায় রেখে মিলিতভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন পর্যায় উন্নীত করার কথা ব্যক্ত করেছেন ।
হু চিন থাও বলেছেন , চীন ও জাপানের নেতৃবৃন্দের মধ্যেযে এক মাস পর আবার দেখা হওয়ায় প্রমাণিত হয়েছে যে, উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয়সম্পর্ক প্রসারের অভিন্ন আকাংখা পোষণ করছে । ফলে চীন ও জাপানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন দিক নির্দেশনা দেখা দেবে। বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে । দু'দেশের নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের সঠিক পন্থা নির্ধারণ করা । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও দু দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর পাঁচটি প্রস্তাবপেশ করেছেন । এই পাঁচটি প্রস্তাব হলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রসারের দিকনির্দেশনা স্থির করা , দু'দেশের জনগণের মৈত্রী আরো প্রসার করা , পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে সহযোগিতা বাড়ানো , মিলিতভাবে এশিয়ার শান্তি , স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে বজায় রাখা আর ইতিহাসে বর্তানো বিষয়গুলো এবং তাইওয়ান ও পূর্ব সাগর সম্পর্কিত স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর সুষ্ঠু মীমাংসা করা ।
সিংজো আবে দু দেশের শীর্ষনেতাদের সফর বিনিময় বজায় রাখা ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এক উন্নত পর্যায়ে উন্নীত করার আশা প্রকাশ করেছেন । তিনি দু দেশের মধ্যে যথাশীঘ্র সম্ভবঅর্থ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু করা , জ্বালানী নীতি সম্পর্কিতসংলাপ শুরু করা এবং জ্বালানী শক্তির মিতব্যয় ও পরিবেশ সংরক্ষণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো,পূর্বসাগর সম্পর্কিত আলোচনা জোরদার করা , জাপান , চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিনিয়োগ ,পরিবেশ ও পর্যটন ক্ষেত্রের সহযোগিতা বাড়ানোসহ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন । তিনি আরো বলেছেন , তাইওয়ান সমস্যা সম্বন্ধে জাপান জাপান-চীন যুক্ত বিবৃতি অনুসারণ করবে , জাপানের এই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয় নি ।
|