v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-17 19:59:10    
এপেকের শীর্ষ বাণিজ্য সম্মেলনে হু চিনথাওয়ের ভাষণ

cri

    চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও ১৭ নভেম্বর ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে এপেকের শীর্ষ বাণিজ্য সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন এবং " শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে অটল থেকে অভিন্ন সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করুন" শিরোনামে এক ভাষণ দিয়েছেন ।

    ১৭ নভেম্বর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিখ্যাত অন্তর্দেশীয় কোম্পানিগুলোর এক হাজারেরও বেশি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ভিয়েতনামের জাতীয় অধিবেশন কেন্দ্রে উপস্থিতহয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাওয়ের ভাষণ শুনেছেন । হু চিনথাও সর্বপ্রথমেএশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্মুখীনসুযোগ ও চ্যালেন্জের কথা উল্লেখ করেছেন । তিনি বলেছেন , আমাদের এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ- আঞ্চলিক সহযোগিতা ব্যবস্থা গড়ে ওঠেছে । অধিক থেকে অধিক দেশ সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যোগ দিয়ে যেমন নিজেদের অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে তেমনি আঞ্চলিক অর্থনীতির সমৃদ্ধি জোরদার করছে । এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চল প্রাণশক্তিতে ভরপুর , এর ভবিষ্যত উজ্জ্বল । সঙ্গেসঙ্গে আমাদেরকে উপলব্ধি করতে হবে যে , এই অঞ্চলের অর্থনীতির উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভারসামহীনতা এখনো প্রকট। অর্থনীতির ভিত্তি দুর্বল হওয়ার কারণে এবং উন্নয়নের সুযোগ আকড়ে ধরার কার্যকর পদ্ধতি ও বাইরের ঝুঁকি প্রতিরোধের ক্ষমতার অভাবে কিছু উন্নয়নশীল দেশ অর্থনীতির বিশ্বায়নে লাভবান হতে পারে না ।

    এই অঞ্চলের উন্নয়নে বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করা এবং উন্নয়নের ব্যবধান কমানো এবং অভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্যে হু চিনথাও চীনের প্রস্তাব উল্লেখ করেছেন । তিনি বলেছেন , আমাদের উচিত বিনাশর্তে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সরকারী সাহায্য বাড়িয়ে দেয়া , নানা ধরণের অর্থনৈতিক ও প্রকৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করা , উন্নয়নশীল দেশগুলোর দক্ষ মানুষের উন্নয়নে সাহায্য করা এবং তাদের উন্নয়নের জন্যে সু পরিবেশ সৃষ্টি করা ।

    আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের বড় পরিবারের এক সদস্য হিসেবে চীনের উন্নয়ন এই অঞ্চলের ও বিশ্ব উন্নয়নের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে জড়িত বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণকরেছে । হু চিন থাও চীনের উন্নয়ন সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন । তাঁর উল্লেখিত ধারাবাহিক পরিসংখ্যান থেকে প্রমাণিত হযেছে যে , ১৩০ কোটি লোকসংখ্যার বড় উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীনের অর্থনীতির উন্নয়নপ্রবণতা অত্যন্ত ভাল । জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে । চীনের বৈদেশিক উন্মুক্ততাসম্প্রসারিত হয়েছে । এটা বিশ্ব বিশেষ করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে সহায়ক হবে । পাশাপাশি হু চিনথাও চীনের সম্মুখীনসমস্যা ও সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যবস্থাও বর্ণণা করেছেন ।

    তিনি পুনরায় ঘোষণা করেছেন , বর্তমান বা ভবিষ্যতে হোক চীন চিরকালই বিশ্বশান্তি রক্ষা ও অভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

    তিনি উল্লেখ করেছেন , চীনের উন্নয়ন প্রধানত নিজের শক্তির এবং চীনা জনগণের কঠোর সংগ্রামের উপর নির্ভরশীল । চীন দৃঢ়তার সঙ্গে বৈদেশিক উন্মুক্ততার নীতি এবং পারস্পরিক উপকারিতা ও উভয় বিজয়ী নীতি পালন করবে ।

    হু চিনতাওয়ের ভাষণ শুনে শিল্প ও বাণিজ্য মহলের ব্যক্তিরা বলেছেন , চীনের উন্নয়ন শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন , চীনের উন্নয়ন এই অঞ্চলের জন্যে অনেক সুযোগ বয়ে আনবে । ভিয়েতনামের অর্থবিনিয়োগকারী কোম্পানির নির্বাহী চেয়ারম্যান কেলভিন লি বলেছেন , হু চিনথাওয়ের ভাষণ থেকে আমি তিনটি বিষয় জেনেছি , এক ,চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন চায় । এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । তাই চীনকে ভয় করা দরকার নেই । দুই ,আমরা এক বড় পরিবারের মানুষ । আমাদের একই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আছে বলে আমাদের সুন্দর জীবনের জন্যে মিলিতকভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে । তিন ,হু চিনথাও বিশ্বে চীনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন ।

    যুক্তরাষ্ট্রের রোবার্ট হাইনেস বলেছেন , চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে বিশ্বের উপকার হবে ।