পার্ভেজ্ মুশারাফ ১৯৪৩ সালের ১১ই আগস্ট ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন। ছোটো বেলায় তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচীতে স্থানান্তরিত হন এবং সেখানে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত পড়েন। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের সামরিক ইন্সটিটিউটে অধ্যয়ন করেন। তারপর তিনি গোলনদাজ বাহিনীতে চাকরি করেন। এবং কতকগুলো পদক অর্জন করেন। ১৯৯১ সালের জানুয়ারী মাসে তিনি মেজর জেনারেল হন এবং পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার হন। ১৯৯৫ সালে স্থল বাহিনীর লেফটেনান্ট জেনারেল হওয়ার পর, তিনি ভারতের সঙ্গে সংলগ্ন পানজাব প্রদেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত হন এবং গুরুত্বপূর্ণ রণনৈতিক জায়গা মাগরা সামরিক এলাকার সেনাপতি হন। ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের স্থল বাহিনীর স্টাফ প্রধান হন এবং একই সময় জেনারেলে উন্নীত হন। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে তিনি স্টাফপ্রধানদের যুক্ত কমিটির চেয়ারম্যান হন।
১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে, মুশারাফের নেতৃত্বাধীন সামরিক কর্তৃপক্ষ তদানিন্তন শরীফ সরকার ভেঙ্গে দেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি গঠন করেন। মুশারাফ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হন। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত ২০০০ সালের মে মাসে মুশারাফ সরকারের বৈধতা স্বীকার করে। ২০০১ সালের ২০শে জুন মুশারাফ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। একই সালের ১৬ই নভেম্বর তিনি প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচিত হন। কার্যমেয়াদ ৫ বছর।
২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে, প্রেসিডেন্ট মুশারাফ ভারতে দু'দিনব্যাপী অনানুষ্ঠানিক সফর করেন। দু'পক্ষ মিলিতভাবে বাণিজ্য সমিতি প্রতিষ্ঠা করে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে এবং কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংস্থাকে শান্তি বৈঠকের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দিতে রাজী হয়। দু'দেশের প্রকাশিত যুক্ত বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, দু'দেশের শান্তি প্রক্রিয়া "অপরিবর্তনীয়"। সফরকালে মুশারাফ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লীর জিমন্যাজিয়ামে দু'দেশের মধ্যকার একটি ক্রিকেট খেলাও দেখেছেন।
১৯৯৯ সালের মে মাসে স্টাফপ্রধানদের যুক্ত কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থল বাহিনীর স্টাফপ্রধান হিসেবে মুশারাফ চীন সফর করেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার পর, তিনি ২০০০ সাল ও ২০০১ সালে দু'বার চীন সফর করেন। ২০০৩ সালের নভেম্বর মাসে, ২য় বোআও এশিয়া ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেয়ার পর, মুশারাফ চীনে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
|