v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-16 16:13:35    
পাক-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে

cri

    পাক-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক দু দিন চলার পর ১৫ নভেম্বর ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে শেষ হয়েছে। জনমত অনুযায়ী, এবারের বৈঠকে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তা ছাড়া, এই বৈঠক দু'দেশের যাবতীয় সংলাপের জন্যে নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে। এখন শুনুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার নয়া দিল্লি থেকে পাঠানো একটি রির্পোট।

   বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব মেনন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ মোহামাদ খান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ভারত আর পাকিস্তান তিন জন করে লোক নিয়ে একটি সন্ত্রাস দমন যুক্ত সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে রাজি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী সচিব এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতি সংঘ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক সহকারী সচিব এই সংস্থার নেতৃত্ব দেবেন। সন্ত্রাস দমনের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা , নির্দিষ্ট সময়ে তথ্য বিনিময় করা এই যুক্ত সংস্থার দায়িত্ব। সামরিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এই যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু'পক্ষের মধ্যে পরমাণু অস্ত্রের ঘটনার ঝুঁকি কামানোর ব্যাপারে একটি খসড়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে । দু'পক্ষ সম্মত হয়েছে যে , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কাশ্মির সমস্যায় ' অভিন্নতা গড়ে তোলা এবং মতভেদ কমানো' নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে মতামত বিনিময় হয়েছে। দু'পক্ষ এক মত হয়েছে যে , কাশ্মির নিয়ন্ত্রণ রেখার দু পাশের আদান-প্রদান ও সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। সির ক্রীক বন্দর সমস্যায় দু'পক্ষ নির্ধারণ করেছে যে , চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পযর্ন্ত বিশেষজ্ঞ সম্মেলনে যৌথভাবে পযর্বেক্ষণ করা এবং সমুদ্র সীমা নির্নয় করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। দু'পক্ষ রাজি হয়েছে, দু'দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সফর বিনিময় অব্যাহতভাবে জোরদার হবে এবং পারষ্পরিক উপকারিতামূলক আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যৌথ বিবৃতিতে আরো ঘোষণা করা হয়েছে, ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে ইসলামাবাদে দু'দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে আবার বৈঠক হবে।

    বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব মেনন সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারত পাকিস্তানের কাছে ভারতে সংঘাটিত আংশিক সন্ত্রাসের প্রমাণ দাখিল করেছে। তিনি বলেছেন, 'আন্তর্দেশীয় সন্ত্রাসী হামলা ' কাজ করার জন্য যৌথ সন্ত্রাস দমন সংস্থা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি আশা করেন, এই সংস্থা যত তাড়াতিড় সম্ভব তার কাজ শুরু করবে। কাশ্মির সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, যদি এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত হয় এবং সহিংসতা প্রশমিত হয় তাহলে ভারত এই অঞ্চলে তাদের মোতায়েন করা সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনতে রাজি হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব মোহামাদ খান সাংবাদিকদে বলেছেন, পাকিস্তান নিষ্ঠার সঙ্গে ভারতের দিখিল-করা তথ্য পরীক্ষা করবে। তিনি আরও বলেছেন, দু'দেশের চরমপন্থীদের মধ্যে কোন রকমের যোগাযোগ থাকতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানও সন্ত্রাসবাদের শিকার । পাকিস্তান সবর্দাই নানা ধরনের সন্ত্রাসী তত্পরতার সঙ্গে লড়াই করে আসছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, কশ্মির সমস্যায় দু'দেশের নমনীয় অবস্থান নেওয়া উচিত।

    জনমত অনুযায়ী, এবারের পাক-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে কিছুটা অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে বটে। কিন্তু দু'দেশের ষ্পষ্টভাবে উপলদ্ধি করা উচিত যে, সন্ত্রাস দমন একটি জটিল ব্যাপার। এটা অল্প সময়ের মধ্যে নিমূর্ল করা অসম্ভব। অন্য দিকে দু'দেশের মধ্যে যৌথ সন্ত্রাস দমন সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়া থেকে বুঝা যায় দু'দেশের মধ্যে সার্বিক শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ়সংকল্প বাড়ছে। দু'দেশের মধ্যে পারষ্পরিক আস্থার মাত্রাও বেড়েছে।