v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-15 15:17:42    
হু চিন থাওয়ের চাঁরটি এশীয়ান দেশ সফর তাত্পর্যসম্পন্ন

cri
চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও আমন্ত্রিত হয়ে ১৫ নভেম্বর পেইচিং থেকে রওয়ানা হয়ে আমন্ত্রণক্রমে ভিয়েতনাম, লাওস, ভারত এবং পাকিস্তানে তাঁর সফর শুরু করছেন। তা ছাড়া তিনি হ্যানয়ে অনুষ্ঠিতব্য এপেকের নেতাদের ১৪তম অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেবেন। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পযর্ন্ত এটা হল এশিয়া অঞ্চলে চীনের শীর্ষ নেতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তত্পরতা। চীনের কূটনীতিবিদরা মনে করেন, এবারের সফর উল্লেখিত চাঁরটি দেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সার্বিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে তাতপর্যসম্পন্ন। এখন শুনুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার লেখা একটি রিপোর্ট। ভিয়েতনাম হচ্ছে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক সার্বিকভাবে বিকশিত হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সহকারী ছে তিয়েন খাই ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ভিয়েতনামের কমিউনিষ্ট পাটির দ্বাদশ কংগ্রেসে নতুন নেতৃমন্ডলী নির্বাচিত হওয়ার পর হু চিন থাওয়ের এবারকার সফর হচ্ছে চীনের কমিউনিষ্ট পাটি ও রাষ্ট্রের কোন শীর্ষ নেতার প্রথম ভিয়েতনাম সফর। তিনি বলেছেন, তখন চীন ও ভিয়েতনামের নেতাদের মধ্যে সমরকৌশল ও সার্বিক পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে দু’ পাটি ও দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে মত বিনিময় হবে। আমরা আশা করি, এবার সফরের মাধ্যমে চীন আর ভিয়েতনামের মধ্যে ঐতিহ্যিক সম্পর্ক গভীররত হবে , রাজনৈতিক পারষ্পরিক আস্থা জোরদার হবে এবং পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতা সম্প্রসারিত হবে। ভিয়েতনামের মতো লাওসও চীনের প্রতিবেশী দেশ। চলতি বছর হল দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫তম বাষির্কী। এ উপলক্ষে দু’দেশের মধ্যে ধারাবাহিক উদযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ছে তিয়েন খাই বলেছেন, লাওসের নতুন মেয়াদের নেতৃবৃন্দ নির্বাচিত হওয়ার পর এবার হল হু চিন থাওয়ের প্রথম বার লাওস সফর। আমরা আশা করি , তাঁর এবারের সফরের মাধ্যমে চীন আর লাওসের মধ্যে ঐতিহ্যিক বন্ধুত্ব জোরদার হবে। চীন আর ভারত দুটো বড় উন্নয়নশীল দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু’দেশের নেতাদের মধ্যে ঘনঘন যোগাযোগ হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দু’পক্ষের পারষ্পরিক আস্থা অনবরত জোরদার হয়েছে। জ্বালানি সম্পদ, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে আদান-প্রদান ও সহযোগিতা সার্বিকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। চলতি বছর হল ‘ চীন-ভারত মৈত্রী বর্ষ’। দু’দেশের মধ্যে ধারাবাহিক উদযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজনা করা হবে। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের এবারকার ভারত সফর হল গত দশ বছরে চীনের কোন প্রেসিডেন্টের প্রথম ভারত সফর। আমাদের বিশ্বাস, এবারের সফর সারা বিশ্বকে অবহিত করবে যে, চীন আর ভারতের অভিন্ন উন্নয়ন কেবল যে দু’দেশের সহযোগিতার জন্য নতুন সুযোগ এনে দেবে তা নয় বিশ্বের শান্তি , স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্যে ইতিবাচক অবদানও রাখবে। চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫৫ বছরে রাজনীতি, অর্থনীতি, সামরিক , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সার্বিক সহযোগিতা চালানো হয়েছে। চলতি বছরেও দু’দেশের মধ্যে ধারাবাহিক উদযাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। ছে তিয়েন খাই বলেছেন, দশ বছর পর এটা হবে চীনের কোন প্রেসিডেন্টের প্রথম পাকিস্তান সফর। এর আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ তিন বার চীন সফর করেছেন। আমরা আশা করি, এবার সফরের মাধ্যমে চীন আর পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সর্ম্পকের মান একটি উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হবে। প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও এপেকের ১৪তম নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেবেন। এ প্রসঙ্গে ছে তিয়েন খাই বলেছেন, এবারের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট হু আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আরও গভীর করার ব্যাপারে চীনের রাজনৈতিক নীতিপন্থা ব্যাখ্যা করবেন। তিনি এপেকের সহযোগিতার ভবিষ্যত সম্বন্ধে তাঁর ধারণা প্রকাশ করবেন। তা ছাড়া, তিনি এপেকের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সম্বন্ধে বিশদ প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।