v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-14 15:49:38    
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন দল নতুন প্রধান মন্ত্রীর প্রার্থী নির্ধারন করেছে

cri
 

     ১৩ নভেম্বর ফিলিস্তিনের হামাস ও ফাতাহের মধ্যে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধান মন্ত্রী পদে প্রার্থী নিয়ে মতৈক্য হয়েছে। দু'পক্ষ গাজা ইমলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামাদ সাবিরকে ফিলিস্তিনেরনতুন প্রধান মন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিতে রাজি হয়েছে। হামাসের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ১৩ নভেম্বর বলেছেন, সাবির এই মনোনয়ন গ্রহণ করেছেন। গত ছ'মাসেরও বেশী সময়ের আলোচনা এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার পর ফিলিস্তিনের বিভিন্ন দলের মধ্যে জাতীয় যুক্ত সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

    সাবির ১৯৪৬ সালে গাজা অঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করেন। পরে তিনি মিসরের একটি ম্যাডিকল কলেজে পড়তে যান। অবশেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ফচিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মাক্রো জীবাণু তত্ত্বে পি এইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর তিনি গাজা ফিরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাডিকল কলেজের প্রেসিডেন্ট নিযুক্তহন। ১৯৯৩ সাল থেকে অবসর নেওয়া পযর্ন্ত তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

    সাবিরকে একজন নমনীয় দলের ব্যক্তি বলে মনে করা হয়। তিনি কোন দলের লোক নন। হামাস ও ফাতাহের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল। যখন তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন হামাসের অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। যেমন ফিলিস্তিনের বতর্মানস্বায়ত্তশাসিত সরকারের প্রধান মন্ত্রী ইসমাইল হানিয়েহ এক সময় সাবিরের কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন। ফাটাহের সঙ্গে সাবিরের সম্পর্কও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ফিলিস্তিনের সাবেক নেতা আরাফাতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় প্রায়শ:ই তিনি তাঁর বাসায় যেতেন। আরাফাতের মৃত্যুর পর তিনি সর্বদাই আরাফাতের উত্তরসুরী মাহমোদ আব্বাসের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রেখে এসেছেন।

    সাবিরকে একজন বাস্তববাদী লোক বলে গণ্য করা হয়। তিনি কোন দিন প্রকাশ্যে ইসরাইল সম্বন্ধে তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করেনি। কিন্তু ইসরাইলের হারেজ পত্রিকাকে দেয়া একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল। যদি তিনি ফিলিস্তিনের প্রধান মন্ত্রী নিযুক্ত হন তাহলে তিনি ' বাস্তব' তত্পরতা নেবেন।

    ফিলিস্তিনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যদি সাবিরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত করা হয় তাহলে তাঁর নেতৃত্বে সম্পূর্ণ নিদর্লীয় ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ক্যাবিনেট গঠিত হবে। বতর্মানে হামাস আর ফাতাহের মধ্যে মন্ত্রীদের প্রার্থী আর ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে আলাপ-পরার্মশ চলছে। একটি খবরে বলা হয়েছে, হামাস প্রায় দশ জন মন্ত্রী মনোনীত করবে এবং ফাহাত পাঁচ জন মন্ত্রী মনোনীত করবে।

    সাবির যদি প্রধান মন্ত্রী নিযুক্ত হন তাহলে তিনি এমন ধরনের একটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেন। তা হল, নতুন সরকার যেন এক দিকে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন দলের গ্রহণযোগ্য সরকার হতে হবে , অন্য দিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাহিদা পুরন করা হবে। ফিলিস্তিনের জনগণ আশা করেন নতুন সরকার বিভিন্ন দলের মধ্যে মতভেদ দূর করতে পারবে। অবিরাম অভ্যন্তরীণ সহিংসতা বন্ধ হবে এবং জাতীয় সমঝোতা বাস্তবায়িত হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নতুন সরকারকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে।

    বতর্মান পরিস্থিতি থেকে বুঝা যায়, ইসরাইল আর পশ্চাত্য দেশগুলোফিলিস্তিনের নতুন সরকারের গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু তারা জোর দিয়ে বলেছে যে, নতুন সরকারকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের তিনটি দাবী পুরণ করতে হবে। এ তিনটি দাবি হল, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া, সহিংসতা বর্জন করা এবং ইসরাইলের সঙ্গে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি স্বীকার করা। ফিলিস্তিনের সাংবাদিকদের দেয়া একটি সাক্ষাত্কারে ইসরাইলের প্রধান মন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট বলেছেন, যদি হামাস এ তিনটি দাবি গ্রহণ করে তাহলে তিনি হামাসের সদস্যদের অংশ গ্রহণকারী নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এতক্ষণ প্রতিবেদনটি শুনলেন। শোনার জন্য ধন্যবাদ।