v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-08 15:31:24    
নেপাল সরকার ও সরকার-বিরোধী সশস্ত্র যোদ্ধদের মধ্যে আলোচনা

cri
    নেপাল সরকারের কর্মকর্তারা ৭ নভেম্বর বলেছেন, বর্তমানে নেপালের সাত দলীয় ক্ষমতাসীন জোট এবং সরকার-বিরোধী সশস্ত্র যোদ্ধাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত নতুন দফা শান্তিপূর্ণ বৈঠক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। দু'পক্ষের মধ্যে রাজতন্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন এবং নিরস্ত্রকরণ ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে। জনমত অনুযায়ী, নেপানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান গৃহযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

   ৬ নভেম্বরনেপালের প্রধান মন্ত্রী গিরিজা প্রাসাড কৈরালা এবং সরকার-বিরোধী সশস্ত্র যোদ্ধাদের নেতা প্রাছানডার মধ্যে বৈঠক হয়েছে। ৭ নভেম্বরদু'পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক শান্তি-আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াকিহ্বাল ব্যক্তিরা বলেছেন, বৈঠকে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। নেপালের উপ প্রধান মন্ত্রী আমিক সেপছান বলেছেন, দু'পক্ষের মধ্যে নীতিগতভাবে নিরস্ত্রকরণ আর রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন কতকগুলো বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। এ থেকে প্রতিপন্ন হচ্ছে যে , দু'পক্ষের মধ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরতি হতে পারে। নেপালের জাতীয় কংগ্রসের উচ্চ পদস্থ নেতারাও বলেছেন, বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।সংশ্লিষ্ট চুক্তি প্রণয়ন করার জন্যে দু'পক্ষ একটি বিশেষ গ্রুপ গড়ে তুলেছে।

    গত এপ্রিল নেপালের সাত দলীয় জোট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করার পর নেপালের শান্তি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন দেখা দেয়। ২৬ এপ্রিল সরকার-বিরোধী সশস্ত্রযোদ্ধারা একদরফাভাবে তিন মাস যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করে। দেশের শান্তি বাস্তবায়নের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য২৮ জুলাই আবার অক্টোবর মাসের শেষ দিক পযর্ন্ত যুদ্ধ-বিরতি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। ৩ মে নেপাল সরকার অনির্দিষ্ট কালের জন্য যুদ্ধ-বিরতি কার্যকরী করার কথা ঘোষণা করে। নেপালের সংঘর্ষে লিপ্ত দু'পক্ষ যুদ্ধ-বিরতির কথা ঘোষণা করার পর দু'দফা শান্তিপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে দু'পক্ষ একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করতে , অস্থায়ীসংবিধান প্রণয়ন করতে রাজি হয়। গত অক্টোবর দু'পক্ষের মধ্যে আরেক বার শান্তিপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। দু'পক্ষ এক মত হয়েছে যে, ২০০৭ সালের ১৪ জুনের আগে সংবিধান প্রণয়নের জন্য নিবার্চন অনুষ্ঠিতহবে।

    ১৯৯৬ সালে নেপালের গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দু'পক্ষের সংর্ঘষে প্রায় ১৩ হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে। এবারের আলোচনা শুরু হওয়ার আগে, নেপাল সরকার-বিরোধী যোদ্ধারা ঘোষণা করেছে, জাতি সংঘের তত্ত্ববধানে তারা অস্ত্র সমর্পন করবে। এক খবরে বলা হয়েছে, ৭ নভেম্বরের বৈঠকে দু'পক্ষ সমান পরিমাণের অস্ত্রজমা মানতে রাজি হয়েছে। নিরস্ত্র হওয়ার পর প্রায় ৩৫ হাজার সরকার-বিরোধী সশস্ত্র যোদ্ধা নেপালের সাতটি ভিন্ন শিবিরে করবে। পরবর্তীকালেতারা নেপাল সরকারী বাহিনীতে যোগ দেবে।

     নেপালের রাজার অবস্থান ও ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে দু'পক্ষে মধ্যে সবর্দাই তর্কবির্তক হয়। কিন্তু এবারের বৈঠকে দু'পক্ষের মত প্রায় একই ছিল। সরকার-বিরোধী সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে শান্তি-আলোচনা চলার সময় নেপালের উপ প্রধান মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওলি ৬ নভেম্বর নয়া দিল্লি পৌঁছেছেন। এবার এক সপ্তাহব্যাপী ভারত সফরে তিনি ভারতের প্রধান মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তা ছাড়া, তিনি নেপালের শান্তিপূর্ণ আলোচনা সম্বন্ধে ভারতের নেতাদের অবহিত করবেন।