v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-07 16:24:31    
চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরাম উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচী অনুষ্ঠিত

cri
    সম্প্রতি চীন- আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের শীর্ষ সম্মেলন পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে । এর পাশাপাশি আফ্রিকা সম্পর্কিত অনেক সাংস্কৃতিক কর্মসূচীও নেয়া হয়েছে । এ সব কর্মসূচী চীনাদের জন্য আফ্রিকাকে জানার একটি জানালা খুলে দিয়েছে।

    পেইচিংয়ের বিখ্যাত বিপনী অঞ্চল---ওয়াং ফু চিংয়ের রাস্তায় ৩১ অক্টোবর থেকে ' সুন্দর আফ্রিকা' নামে একটি প্রচার অভিযান শুরু হয় । রাস্তার দু' পাশে আফ্রিকার মনোরমদৃশ্যের আলোকচিত্র টানানো হয়েছে । অনেক শিশু কিশোর সিংহ , জিরাফ ও জেব্রা ছবির সামনে দাড়িয়ে ছবি তুলেছে । বিভাগীয় বিপনীর বড় পর্দায় আফ্রিকা সম্পর্কিত প্রামান্য চলচ্চিত্র বিরামহীনভাবে দেখানো হয় । চীন -আফ্রিকা ফোরাম চলাকালে ওয়াং ফু চিং বিপনী এলাকায় প্রতিদিন বিকেলে চীনের শিল্পী ও চীনে অধ্যয়নরত আফ্রিকার ছাত্রছাত্রীরা আফ্রিকার নাচগান পরিবেশন করেন । নাচ দেখে দর্শকরা সংগীতের তালে তালে তাদের সঙ্গে নাচতে শুরু করে । চান তোন পো নামে একজন দর্শক অনুষ্ঠান শেষে আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন , এ অনুষ্ঠান সত্যিই চমত্কার । এই ধরনের অনুষ্ঠান আরো বেশি হওয়া উচিত । এটা চীন ও আফ্রিকার দেশগুলোর জনগণের বন্ধুত্ব ও সমঝোতা বাড়াতে সাহায্য করবে । আমি এর আগে আফ্রিকার নাচ দেখি নি । চীনাদের সঙ্গে আফ্রিকার ছাত্রছাত্রীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখে আমি খুব খুশি ।

    পেইচিংয়ের ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নাইজেরিয়ার ছাত্র কেলেছি ইকোনে বলেছেন , তিনি অধ্যবসায়ের সঙ্গে চীনা ভাষা আয়ত্ত করার চেষ্টা করছেন । তিনি ইতোমধ্যে চীনের অনেক শহর ঘুরে ঘুরে দেখেছেন । চীনা ও আফ্রিকানরা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজে নিজ দেশের সংস্কৃতি প্রচার করেন । তিনি বলেছেন , বর্তমানে নাইজেরিয়ায় প্রায় ২০ হাজার চীনা আছেন । তারা ওখানে ব্যবসা করেন । তারা আমাদের ভাষায় কথা বলে এবং আমাদের দেশ পছন্দ করেন । এর পাশাপাশি নাইজেরিয়ার অনেক ছাত্রছাত্রী চীনে পড়াশুনা করছে । আমরা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজ দেশের সংস্কৃতি প্রচার করি । আমি চীনকে পছন্দ করি ।

    ২ নভেম্বর বিকেলে ' আফ্রিকার শিল্পকর্ম প্রদর্শনী' ও ' আফ্রিকার মুদ্রা ও ডাকটিকিট প্রদর্শনী ' চীনের জাতীয় যাদুঘরে শুরু হয়েছে । চীনের সরকারী কর্মকর্তারা এবং চীন -আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামে অংশগ্রহণকারী আফ্রিকার দু' শজন নেতা ও কর্মকর্তা এই দুটি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । চীনের সংস্কৃতি উপমন্ত্রী মেন সিয়াও সি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় বলেছেন , এই দু' টি প্রদর্শনী চীনা জনগণের আফ্রিকা সম্পর্কে জানার একটি জানালা খুলে দিয়েছে ।

    আফ্রিকার শিল্পকলা প্রদর্শনীতে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মোট তিন শ'টি কাঠ খোদাই , তৈলচিত্র ও অন্যান্য শিল্পকর্ম দেখানো হয়েছে। মুদ্রা ও ডাক টিকিট প্রদর্শনীতে চীনের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক আছে আফ্রিকারএমন ৪৮টি দেশের চার শতাধিক ধরনের মুদ্রা ও তিন শ' সেট ডাক টিকিট প্রদর্শীত হয়েছে ।

    চীন ও আফ্রিকার মধ্যে বাণিজ্যিক বিনিময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চীন ও আফ্রিকার সাংস্কৃতিক আদান প্রদানও অনেক বেড়েছে । শিল্পী দলের মধ্যে সফর বিনিময় আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে । চীন আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের প্রাক্কালে চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পেইচিংয়ে ' আফ্রিকা সন্ধ্যা' নামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে । অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকা , মিসর ও গ্যাবনসহ আফ্রিকার পাঁচটি দেশের শিল্পীরা বর্ণাঢ্য নাচগান পরিবেশন করেছেন ।

    বোটসোয়ানার জাতীয় যাদুঘরের শিল্পকলা বিভাগের প্রধান সেগোলা বলেছেন , আমাদের মাধ্যমে বোটসোয়ানা চীন থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে । আমরা চীনের চিত্রশিল্পের ধারা শিখতে পারি । এর পাশাপাশি চীনা বন্ধুরা আমাদের কাছ থেকে বোটসোয়ানা ও আফ্রিকার অনেক কিছু জানতে পারেন । এ ধরনের বিনিময় খুব ভালো , এতে আমাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো ঘনিষ্ঠ হবে । তিনি আরো বলেছেন , প্রতি চার বছর পর পর আমরা একে অপরের দেশে প্রদর্শনীসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কর্মসূচী গ্রহন করবো । আমি আরেক বার চীনে আসার সুযোগের প্রতীক্ষায় রয়েছি । আমি দ্বিপক্ষীয় সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রসারে আশাবাদী ।