v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-06 20:27:32    
পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা --- ২০০৬/১১/৬

cri

 কনফুসিয়াস, ২৬০০ বছর আগের চীনে জন্ম নেয়া এই কীর্তিমান পুরুষের নাম, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রমেই অনেক বিদেশি তাঁর চিন্তাধারাকে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। শুধু দু'বছরের মধ্যে বিশ্বের ৩৮টি দেশ ও অঞ্চলে ৮০টি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । অন্য ৩৮টি দেশের ৯৯টি সংস্থা কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার আবেদনও জানিয়েছে। আগামী ৬ নভেম্বর সোমবার বিজ্ঞান বিচিত্রা আসরে শুয়ে ফেই ফেই বিদেশে প্রতিষ্ঠিত কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের কিছু তথ্য জানাবেন।

 আফগানিস্তানের যুদ্ধের অবসানের পর ৪ বছর পার হয়ে গেছে। গত ৪ বছরে আফগান সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টায় আফগানিস্তানের শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠায় বিরাট সাফল্য পাওয়া গেছে। আফগান জনগণ ভুলতে পারেন না যে, এসব সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সাহায্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত চীনা পুলিশেরা আফগান জনগণের মনে গভীর রেখাপাত করেছে। ২০০৫ সালের অক্টোবর মাসে জাতি সংঘ কাবুলে জাতিসংঘ উপদেষ্টার পদে নিযুক্ত চীনা পুলিশ কর্মকর্তা ছিউ ছুং ওয়েনকে জাতি সংঘ শান্তি পদকে ভুষিত করে। তিনি বলেছেন, "আফগানিস্তান হচ্ছে চীনের প্রতিবেশী দেশ। আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে সহায়তার জন্যে এখানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী বাহিনীর মোতায়েন যেমন চীনের স্বার্থের সঙ্গে, তেমনি আফগানিস্তান ও এ অঞ্চলের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। চীনাদের প্রতি আফগানীরা খুবই বন্ধুভাবাপন্ন। অনেক আফগানী আমাকে দেখলে ডাকতে থাকেন, চীন , পুলিশ। তারা খুবই অতিথিপরায়ণ।" ৮ নভেম্বর বুধবার সমাজ দর্পণ আসরে শিং চিং উ আফগানিস্তানে চীনা পুলিশের অভিজ্ঞতা আপনাদের বলবেন।

 ২০০৩ সালে হেইলুংচিয়াং প্রদেশের এক জরীপ থেকে দেখা গেছে, এ প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে সুযোগ্য ব্যক্তিদের দারুণ অভাব রয়েছে। প্রদেশটির ৯৫১৭টি গ্রামে বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত একজন কারিগরও নেই। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক গঠনকাজ ও সামাজিক বিকাশে প্রয়োজনীয় সুযোগ্য ব্যক্তি গড়ে তোলার জন্যে হেইলুংচিয়াং প্রাদেশিক সরকার সারা দেশে সর্বপ্রথমে "গ্রামে গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পরিকল্পনার" সূচনা করে। এ পরিকল্পনার কার্যকর অবস্থা কেমন? তা জানানোর জন্য ১০ নভেম্বর শুক্রবার সেই গ্রাম এই জীবন আসরে শিং চিং উ আপনাদের বলবেন।

 ঔ ওয়েন ক্ জাতি চীনের কম লোকসংখ্যার একটি জাতি। তাদের সংখ্যা মাত্র ৩০ হাজার। তারা প্রধানতঃ অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলুংচিয়াং প্রদেশ সংলগ্ন অঞ্চলের বিভিন্ন অরণ্যে বসবাস করে। আগে ঔ ওয়েন ক্ জাতির লোকেরা প্রধানতঃ পশু শিকার ও হরিণ পালন করে জীবনযাপন করতেন। তাদের জাতির নাম "ঔ ওয়েন ক" এর অর্থ পাহাড়ে বসবাসকারী অধিবাসী। ৫০ বছর আগে ঔ ওয়েন ক্ জাতির মানুষ চিরস্থায়ী আবাসন নির্মাণ করতে শুরু করলেন। ১১ নভেম্বর শনিবার ওরা অনন্য আসরে থাং ইয়াও খান চীনের ঔ ওয়েন ক্ জাতির একটি পরিবারের জীবনযাপনের পরিবর্তনের কাহিনী পড়ে শোনাবেন।

 তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই সকল শ্রোতাবন্ধুদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।