চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের শীর্ষসম্মেলন৪ নভেম্বরপেইচিংয়ে শুরু হয়েছে । গত কয়েক দিন ধরে বিদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম প্রবন্ধ প্রকাশ করে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতাফোরামের পেইচিং শীর্ষসম্মেলনএবং তৃতীয় মন্ত্রীপর্যায়ের সম্মেলনের ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছে ।
২ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের "ডেইলি মিরোর" পত্রিকারএক প্রবন্ধে বলা হয়েছে , আফ্রিকামহা দেশ শীর্ষসম্মেলনের ফলে অনেক লাভবান হবে । শীর্ষসম্মেলনে দুপক্ষ বেসরকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে অনুকূল শর্ত সৃষ্টির বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে । চীন আফ্রিকার পারস্পরিক আস্থা এবং অভিন্ন প্রচেষ্টা দুপক্ষের মধ্যে চিরকালের এক মৈত্রী সেতু স্থাপন করবে ।
আলজেরিয়ার ফরাসী ভাষায় প্রকাশিতএকটিপত্রিকার প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, চীন ও আফ্রিকার অর্থনীতি পরস্পরের পরিপূরক । চীন ও আফ্রিকার বন্ধুত্ব , পারস্পরিক উপকারিতা মূলক সহযোগিতার ভিত্তিখুব মজবুত। এর ভবিষ্যত অত্যন্ত উজ্জ্বল ।
সুদানের "পাবলিক ওপিনিওন" পত্রিকার ৩ নভেম্বরের এক ভাষ্যে বলা হয়েছে , সম্মেলনটি চীন ও আফ্রিকাদেশগুলোর যোগাযোগ ও আদানপ্রদান, পারস্পরিক সমঝোতা এবং রাজনীতি ও অর্থনীতি সহ বিভিন্নক্ষেত্রে দুপক্ষের সহযোগিতা জোরদার করার এক মঞ্চে পরিণত হবে এবং চীন ও আফ্রিকার নতুন কৌশলগত অংশীদারী সম্পর্ক সুদৃঢ় করার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ।
টোগোর সরকারী পত্রপত্রিকায় তিন তারিখে প্রকাশিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে , চীন ও আফ্রিকার মধ্যে অত্যন্ত ভাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে । গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চীন আফ্রিকারদেশগুলোকে দেয়া সাহায্যের পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে । আফ্রিকার সঙ্গে পারস্পরিক উপকারিতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করেছে এবং আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব, সমতা ও পারস্পরিক উপকারিতার ভিত্তিতে চীন ও আফ্রিকার নতুন কৌশলগত অংশীদারী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে ।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পত্রপত্রিকাও প্রবন্ধ প্রকাশ করে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে ।
|