v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-04 17:21:26    
চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের পেইচিং শীর্ষ সম্মেলন শুরু (ছবি)

cri

     চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের পেইচিং শীর্ষ সম্মেলন ৪ নভেম্বর মহাসমারোহে শুরু হয়েছে। চীন ও আফ্রিকার ৪৮টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান , সরকারী প্রধান বা প্রতিনিধিরা এবারের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এটা হচ্ছে চীন ও আফ্রিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তিতে চীন ও আফ্রিকার মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৃহত্তম আকারের বিনিময় কর্মসূচীর অংশ। এবার শীর্ষ সম্মেলনে চীন ও আফ্রিকার নেতৃবৃন্দ মৈত্রী, শান্তি, সহযোগিতা এবং উন্নয়নের ভিত্তিতে মিলিতভাবে চীন ও আফ্রিকার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে চীন ও আফ্রিকার নতুন কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্কের উন্নয়ন সংক্রান্ত আটটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা উত্থাপন করেছেন।

 ২০০০ সালের অক্টোবরে চীন ও আফ্রিকার দেশগুলো যৌথভাবে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরাম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। গত ছয় বছরে ফোরামটি চীন ও আফ্রিকার মধ্যকার সংলাপ এবং বাস্তব সহযোগিতার ফলপ্রসূ কাঠামো এবং গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এ বছর হচ্ছে চীন ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি। গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করে হু চিন থাও বলেছেন, "আজ চীন ও আফ্রিকার মৈত্রী গভীরভাবে দু'পক্ষের জনগণের মনে রেখাপাত করেছে। চীন ও আফ্রিকার মৈত্রী সময় এবং আন্তর্জাতিক আবহাওয়াগত পরিবর্তনের পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফল পেয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে সবসময় আন্তরিকতাপূর্ণ ও বন্ধুভাবাপন্ন মনোভাব বজায় রেখে সমানভাবে সহাবস্থানে থেকে পরস্পরকে সমর্থনের মাধ্যমে অভিন্ন উন্নয়নের মূল নীতিকে অনুসরণ করি।"

 প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও চীন সরকারের পক্ষ থেকে চীন ও আফ্রিকার নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে আরো গভীর করা সংক্রান্ত আটটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, "এক, আফ্রিকাকে দেয়া সাহায্য বাড়াবে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত চীন আফ্রিকার দেশগুলোকে দেয়া সাহায্যের মোট পরিমাণ ২০০৬ সালের দ্বিগুণ হবে। দুই, পরবর্তী তিন বছরে চীন আফ্রিকান দেশগুলোকে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার সুবিধাজনক ঋণ এবং ২০০ কোটি মার্কিন ডলার সুবিধাজনক রপ্তানীর ক্রেতা ক্রেডিট দেবে। তিন, চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আফ্রিকায় গিয়ে পুঁজি বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে উত্সাহ ও সহায়তা দেয়ার জন্য চীন-আফ্রিকা বিকাশ তহবিল প্রতিষ্ঠিত হবে। তহবিলের মোট অর্থ ধাপে ধাপে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে।" ইত্যাদি ।  

 চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের যৌথ সভাপতি রাষ্ট্র, ঈথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেলেস জেনাভি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন বিশ্বের কাছে চীন ও আফ্রিকার নতুন কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দৃঢ়প্রতিজ্ঞার কথা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেছেন, "চীন ও আফ্রিকার নতুন কৌশলগত অংশীদারী সম্পর্কের ক্ষেত্রে আফ্রিকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর মনোযোগ দেয়া উচিত। চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক আকারের দ্রুত বৃদ্ধি এবং সারা দুনিয়ায় চীনের মর্যাদা বাড়ানো থেকে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, অর্থনৈতিক সহযোগিতা চীন ও আফ্রিকার নতুন কৌশলগত অংশীদারী সম্পর্কের কেন্দ্রীয় বিষয়বস্ত হওয়া উচিত। বিশ্বব্যাপীকরণের যুগে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পারস্পরিক উপকারিতা এবং সকলের জন্য লাভজনক হতে হবে।"

 আফ্রিকান ইউনিয়নের পালাক্রিমক চেয়ারম্যান, কঙ্গো ব্রাজাভিলের প্রেসিডেন্ট দেনিস সাসসো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের ঘোষিত আফ্রিকার প্রতি আটটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা চীন-আফ্রিকার সহযোগিতাকে আরো ভালভাবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের আন্তরিকতাই প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আফ্রিকান দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমি বিশ্বাস করি, এবারের শীর্ষ সম্মেলন চীন ও আফ্রিকার কৌশলগত অংশীদারী সম্পর্ককে আরো উন্নত এবং জোরদার করবে। এর মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক আরো বাস্তব, ব্যাপক এবং ফলপ্রসূ হবে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমরা আশাবাদী। "