v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-11-02 18:50:18    
ডঃইউসূস চীন সফর সম্বন্ধে বিশেষ অনুষ্ঠান (প্রথম অংশ)

cri
ক: প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা , আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানের অর্থনীতির অগ্রযাত্রার এক বিশেষ অনুষ্ঠান শুনছেন । পরিবেশন করছি আমি সালাউদ্দিন,

খ: এবং আমি শুয়েই ফেই ফেই ।

ক: সম্প্রতি চীনের বিভিন্ন তথ্য মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় যে শব্দটি তা হল ঘুদ্র ঋণ । চীনারা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গেও আরো বেশি ঘনিষ্ঠতাকে উপলব্দি করেছে ।

খ: হ্যাঁ , এসব অবস্থার কারণ হল নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জনকারী ডক্টর মুহামুদ ইউনূসের চীন সফর । চীনের বিশেষজ্ঞগণ ডঃ ইউনূসের চীন সফরকে এভাবে মূল্যায়ন করেছেন যে , চীনের ক্ষুদ্র ঋণের উন্নয়নের ঠিক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ডঃ ইউনূস চীন সফর করেছেন । তাঁর সফর চীনের ক্ষুদ্র ঋণের অচলাবস্থা ভেঙে দিয়েছে এবং আমাদেরকে উত্সাহ দিয়েছে একটি কফল ও সমৃদ্ধ চীন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ।

ক: হ্যাঁ , এটি একটি বিশেষ মূল্যায়ন । তাহলে আজকের অনুষ্ঠানে আমি আর আমার সহকর্মী ইয়ু কুয়াং ইয়ুয়ে , ছাও ইয়ান হুয়া ও শুয়েই ফেই ফেই আপনাদের নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জনকারী ডঃ মুহামুদ ইউনূসের চীন সফর সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাবো , এবং চীন যে ডক্তার ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত ক্ষৃদ্র ঋণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে , তা চীনে উন্নয়নের অবস্থার সঙ্গে বলতে গেলে সংগতিপূর্ণ।

খ: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর , পেইচিংয়ের রাষ্ট্রিয় অতিথি ভবন --তিয়াও ইয়ু থাই রাষ্ট্রিয় অতিথি ভবনে অনুষ্ঠিত "চীন-বাংলাদেশ গ্রামীন ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ সম্পর্কিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে" অংশগ্রহণকারীরা উত্কুল্লতার সঙ্গে ডঃ ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছেন ।

ক: হ্যাঁ , সেদিনের পরিস্থিতি এখোনো আমার মনে আছে । সেমিনার হলে আমরা সবাই , পরিবেশ খুব শান্ত কিন্তু ডঃ ইউনূস পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে সবাই চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছেন ।

খ: হ্যাঁ , আমারও মনে আছে , আগে আমরা টি ভি ও পত্রিকায় ডঃ ইউনূসকে দেখেছিলাম , তিনি সবসময় প্যাঞ্জাবী পড়েন । শীতের দিনেও সেদিন তিনি তাঁর প্রিয় নীল রংয়ের বাংলাদেশের বিশেষ জাতীয় পোষাক প্যাঞ্জাবী পড়ে হাসির মুখে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান । যেন আমাদের পুরোনো বন্ধু । আমরা সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে এই সেমিনারে অংশ্রগহণও করেছি । এই সেমিনারের স্বাগতিক পক্ষ সংবাদ কর্মী হিসেবে আমাদের অনেক সুবিধা দিয়েছে । এই সেমিনারে টি ভি, বেতার , পত্রিকা , ইন্টারনেট ইত্যাদি তথ্য মাধ্যমের সংবাদাদাতারাও অংশ নিয়েছে । বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এই সেমিনারের খবর প্রচার করা হয়েছে ।

ক: এবারকার সেমিনার আয়োজনের আগে ডঃ ইউনূস ও তাঁর গ্রামীন ব্যাংক চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন । তা বাংলাদেশের জনগণের জন্য এক সুখবর । আমাদের বাংলা বিভাগের সব কর্মীদের কাছেও এটা খুব বড় এক খবর । এই খবর চীনের ক্ষুদ্র ঋণের সব কর্মীদের জন্যও খুবই উত্সাহব্যঞ্জক ।

খ: হ্যাঁ , চীনের সমাজ বিজ্ঞাণ একাডেমীর গ্রামীন উন্নয়ন গবেষণা বিভাগের উপ প্রধান দু সিয়াও সান চীনে প্রথম ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছেন । সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দু সিয়াও সান আনন্দের সঙ্গে বলেন :

"ডঃ ইউনূস তিনি হলেন ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্যোক্তা । তিনি বিশ্বের আর্থিক উন্নয়ন ও আর্থিক ক্ষেত্রের সংস্কারের জন্য বিরাট অবদান রেখেছেন । তিনি যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন , তা আমাদের জন্য এবং চীনের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য উত্সাহব্যঞ্জক । আমরা বিশ্বাস করি আমরা যে কাজ করছি , তার ইতিবাচক প্রভাব আছে , তা চীনের সুষম সমাজ নির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক হবে , তা বিশ্বের শান্তি বাস্তবায়নের জন্যও সহায়ক হবে ।"

খ: ডঃ ইউনূস যে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন , তা বিশ্বের দারিদ্র্য বিমোচন ও জাতিসংঘের সহস্রাব্দি লক্ষ্যের বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করেছে । চীনে এক প্রবাদ আছে : একজনকে মাছ ধরার পদ্ধতি শেখানো মানে তাকে মাছ দিয়ে সাহায্য করার চেয়ে ভালো । কিভাবে দরিদ্র্য লোককে নিজের ওপর নির্ভর করে উন্নয়নে সাহায্য দেয়া যায় তাহল দারিদ্র্য বিমোচনের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

ক: আমরা বিশ্বাস করি , ডঃ ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গল্পটি শ্রোতা বন্ধুরা নিশ্চয়ই জানেন । ৪২ জন দরিদ্য নারী ২৭ মার্কিন ডলার দিয়ে তিনি এক ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন । তিনি এর মাধ্যমে ভিক্ষাসহ অনেক দরিদ্য লোকদেরকে সাহায্য দিয়েছেন ।

খ: ৯০ দশকে দু সিয়াও সান প্রমুখ বিশেষজ্ঞের অকৃত্তিম প্রয়াসে চীনের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যস্থাও ক্রমেই উন্নত হয়েছে । চীনের ক্ষুদ্র ঋণ উন্নয়নের প্রথম পর্যায় সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রযুক্তি আদান-প্রদান বিভাগের প্রধান পাই ছেং ইয়ু বলেছেন :

"বাংলাদেশ বিশ্বে সর্ব প্রথম ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা চালু করেছে । বাংলাদেশের ডঃ ইউনূস হল বিশ্বে ক্ষুদ্র ঋণের প্রতিষ্ঠাতা । চীন গ্রামীন ব্যাংক থেকে অনেক অভিজ্ঞতা শিখেছে । চীনে প্রথম কিস্তি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা প্রায় বাংলাদেশের গ্রামীন ব্যাংকের ব্যবস্থার মত চালু হয় ।

ক: এদিকে প্রথম চীনের সঙ্গে ক্ষুদ্র ঋণ সহযোগিতা করার পরিস্থিতি ডক্তার ইউনূসের আজত্ত স্পষ্ট মনে আছে । তিনি বলেছেন :

"আমরা ১৩ বছর আগে থেকেই চীনের সঙ্গে ক্ষুদ্র ঋণ সহযোগিতা করতে শুরু করেছি । তখন চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আমাদের গ্রামীন ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে চীনের ইয়ুন নান প্রদেশসহ কিছু কিছু অঞ্চলে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা চালু করবে । তখন প্রধানত স্থানীয় দরিদ্র্য নারীদেরকে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া যায় ।

খ: প্রথম কিস্তি ক্ষুদ্র ঋণের পরীক্ষামূলক অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে , ইয়ুন নান প্রদশের মা লি ভুও রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়ন সমিতির সচিব নুং ওয়েন পোও এবার সেমিনারে অংশ নিয়েছেন । আমি তার অঞ্চল ও বাংলাদেশের সহযোগিতার পরিস্থিতি নিয়ে সাক্ষাত্কার নিয়েছি , তিনি বলেছেন :

"১৯৯৪ সালে আমরা বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের ঋণ পেয়েছি । আমরা এই টাকা স্থানীয় দরিদ্য নারীদেরকে ক্ষুদ্র ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছি । আমাদের রাজে একজন কৃষক , তিনি চীনের সংখ্যালঘু জাতি মিয়াও জাতির জাতীয় পোষাক তৈরীর জন্য প্রথমে ১ হাজারের বেশি ঋণ করেছে , এখন তার পোষাক ভিয়েটনাম ইত্যাদি দেশে রপ্তানি করা হয় । এখন তাঁর কয়েক শো হাজারের পুঁজি আছে ।

ক: এর পরে চীনের হোনান প্রদেশের নান চাও রাজ্য ও কান সুন প্রদেশের তিং সি রাজ পৃথক পৃথকভাবে বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার মত ঋণ ব্যবস্থা চালু করেছে । এতে দারিদ্র্য বিমোচনে এসব অঞ্চল অগ্রগতিও অর্জন করেছে । যা চীনে ক্ষুদ্র ঋণের এক প্রাথমিক কাঠানো নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ।

চীনের গণ ব্যাংকের গবেষণা ব্যুরোর প্রধান চিয়াও চিং ভু চীনের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার কিছু তথ্য জানিয়েছেন :

"বর্তমানে চীনে মোট ৩ শোরও বেশি বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা আছে। এর মধ্যে রয়েছে : আন্তর্জাতিক সংস্থার সাহায্যের বেসরকারী ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা , নারী কমিশন ও দারিদ্র্য বিমোচন কার্যালয়ের ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাসহ সরকারী সংস্থা , সরকারী অর্থ সংস্থার ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা ইত্যাদি ।

খ: কিন্তু দেশের পরিস্থিতি ও ভূমি পরিবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রের পার্থক্য আছে বলে বাংলাদেশের গ্রামীন ব্যাংক ব্যবস্থার ভিত্তিতে চীনের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মীরা চীনের বৈশিষ্টময় ক্ষুদ্র ঋণ উন্নয়নের দিক খুঁজে বের করতে হবে । চীনের দারিদ্র্য বিমোচন তহবিলের ক্ষুদ্র ঋণ বিভাগের প্রধান লিউ তুং ওয়েন মনে করেন :

"বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা খুব সফল । তবে আমাদের উচিত চীনের পরিস্থিতি অনুযায়ী এক বৈশিষ্টময় ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা উন্নয়ন করা , যাতে চীনের উন্নয়ন ও নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয় । আমাদের উচিত নিজেদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং চীনের ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা ।

ক: সবাই জানেন যে , চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্রুতগতি বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে । তবে অঞ্চল ও পরিবেশের কারণে চীনের দারিদ্র্য বিমোচনের কাজে একটু বেশি সময় লাগবে ।

খ: হ্যাঁ , সেমিনারে ডঃ ইউনূস চীনের দারিদ্র্য বিমোচন সম্বন্ধে নিজের মতামত বর্ণনা করেছেন , তিনি মনে করেন , চীনে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল :

চলতি বছর চীন সরকার ক্ষুদ্র ঋণের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে চীনের গণ ব্যাংক বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিদলও পাঠিয়েছে । আমরা বিশ্বাস করি , যদি চীন ভালোভাবে ক্ষুদ্র ঋণদানের কাজ করে , তাহলে চীন বিশ্বে এক প্রভাবশালী দেশে পরিণত হবে , এর ফলে অনেক দরিদ্র মানুষ এর মাধ্যমে সাহায্য পারে । এবং চীন নিশ্চয়ই বিশ্বের দারিদ্র্য বিমোচনে বিরাট অবদান রাখবে ।

ক: ৯০ দশকে ডঃ ইউনূস ২০০৫সালে দশ কোটি পরিবারকে দারিদ্র্যতা দূরে করার লক্ষ্যে সাহায্য দকরার পরিকল্পনা নেন , তখন অনেকেই তা বিশ্বাস করতেন না । তবে তাঁরা ২০০৫সালের আগেই এই লক্ষ্য তিনি বাস্তবায়ন করেছেন ।

খ: হ্যাঁ , তাই এবারের সেমিনারেও তিনি বলেছেন , যদি চীন আরো সক্রিয়ভাবে বিশ্বের ক্ষুদ্র ঋণদানে অংশ নেয় , তাহলে আমরা আরো বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবো । ২০১৫ সালে আমরা ১৫ কোটি মানুষের দারিদ্র্যতা দূর করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবো ।

ক: ডঃ ইউনূস সেমিনারে অংশ নেয়ার সময় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লি চাও শিং ও চীনের গণ ব্যাংকের উপ প্রধান উ সিয়াও লিং পৃথক পৃথকভাবে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । উ সিয়াও লিং ও ইউনূসের বৈঠকে দু'পক্ষ ঐকমত পৌঁছেছে যে , চীনে দু'পক্ষের যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশের গ্রামী ব্যাংকের ব্যবস্থায় এক নতুন ক্ষুদ্র ঋণদানের প্রকল্প করবে ।

খ: হ্যাঁ , এটি দু'পক্ষের সহযোগিতার এক মাইলফলক । আমরা বিশ্বাস করি , ডঃ ইউনূসের চীন সফরের ত্বরান্বিতে চীনের ক্ষুদ্র ঋণ ব্রতের ভবিষ্যত আরো উজ্জ্বল হবে ।