মর্যাদার প্রান্তিক আয়ের মানুষের জন্যে পর্যটন খরচ একটি খুবই বড় খরচের ব্যাপার। পর্যটনের খরচ ন্যুনতম পর্যায়ে কমানো মানুষের একটি ভাবনার বিষয়।সুতরাং আমরা নিজে পর্যটন প্রেমীদের জন্যে কিছু পরামর্শ দেবো।
প্রথমত,পর্যটন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
পর্যটনের ঠিক সময় এবং স্থান নির্ধারণ করা।পর্যটন উদ্দেশ্য স্থির করার ওপর গুরুত্ব-আরোপ করা দরকার । পর্যটনের উদ্দেশ্য গুরুত্বের ভিত্তিতে চলার পথে অন্য সংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্য বাছাই করা। তার পর পর্যটনের আনুষংগিক খরচ হি2সাব করা। খরচের মধ্যে যাতায়াত খরচ , টিকিট , খাবার আর থাকার খরচ এবং কেনা-কাটার খরচ ইত্যাদি । আয়ব্যয়ের মধ্যে বিবিধ খরচের জন্যে কিছু বাজেট থাকা দরকার।
ভাল পরিবহণ বাছাই করা
আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল হলে বিমান প্রথম বিকল্প হতে পারে।অন্য ক্ষেত্রে রেলগাড়ি বা নৌকো,জাহাজ ,বাসে যাতাযাত করা যেতে পারে।পর্যটনের সময় আর খরচ বাঁচানোর জন্য রাতে যনিবাহনে চড়া এবং দিনের সময় বেড়ানো যায়।
ক্রেডিট কার্ড নেয়া ভাল
দীর্ঘ ভ্রমনে অনেক টাকা ব্যয় হয়। নগদ টাকা নিজের কাছে রখিলে অনেক অসুবিধা আছে এবং সহজেই হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী।ক্রেডিট কার্ড সাথে রাখা সুবিধাজনক।ক্রেডিট কার্ড খাওয়া , থাকা,কেনা-কাটা ইত্যাদি সব কাজেই ব্যবহার করা যায়। ক্রেডিট কার্ডের সাহায্য নগদ টাকা অন্য জায়গায় সহজে পাওয়া যায় । এমনকি ওভাবড্রাফ্ট সুবিধাও আছে।
ভ্রমনের পুরো সময় সদ্ব্যবহার করা উচিত
অধিকাংশ স্থানের ব্যস্ত সময় আর সাধারণ সময় আলাদা আলাদা ।সাধারণ সময়ে ভ্রমনের গাড়ি ব্যবহার করা সহজ এবং মানুষের ভীড়ও কম হয়।এমনকি খুবই ভাল হোটেলে ভাল ছাড় পাওয়া যায়।তাছাড়া সাধারণ সময়ে ভ্রমনের টিকিট তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। ফেরা টিকিটও সহজে পাওয়া যায় ।এসময় বিমান কোমপানি ভোরবেলার বিমান টিকিটের বিরাট মূল্যহ্রাস দিয়ে থাকে।ফলে গ্রাহক বেশী হয়।
দর্শনীয় স্থানের বাইরে খাওয়া-দাওয়া আর থাকা
সাধারণত দর্শনীয় স্থানে খাবার আর হোটেলের খরচ বেশী ।দর্শনীয় স্থানের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে শহরতলীতে থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন।তার পর সেখানকার বিশেষ খাবার খাবেন। পর্যটন শেষ হবার পরও দর্শনীয় স্থান থেকে দুরের এলাকায় থাকবেন। পর্যটনের সময় নাস্তা অবশ্যই ভালভাবে খাবেন, যদি দর্শনীয় স্থানে থাকতেই দুপুরের খাবার সময় হয়ে যায়, তার জন্যে পাউরুটি , বিস্কুট, পানি ইত্যাদি সংগে নিয়ে যাবেন।তাহলে খরচ আর সময় দুই-ই কম হবে ।
স্থানীয় জিনিস কেনার সময় সতর্কতা অবলম্বন
দর্শনীয় স্থানের জিনিস খুব কম কেনা উচিত ।এমনিতেই সেখানকার জিনিসের দাম বেশী, তদুপরি অনেক জিনিস কিনলে আপনার চলাফেরার অসুবিধা হবে।তাছাড়া ভ্রমনের জন্যে দরকারী জিনিস নিশ্চয় সংগে নিয়ে যাবেন।কিছু কিছু জিনিস আগে থেকে কিনে নিয়ে যাবেন, যেমন ফিলম ইত্যাদি। দর্শনীয় স্থানে এসব জিনিসের দাম সাধারণত বেশী আর মানও খারাপ ।
দলীয় পর্যটনে খরচ কম।
শহরের মধ্যে একা একা ভ্রমন ভাল । কিন্তু তিব্বত ,ছিং হাই ,শিন চিয়াং প্রভৃতি বা বিদেশে একা ভ্রমন করলে বেশী টাকা খরচ হবে । যদি অনেক বন্ধু এক সাথে একই স্থানে ভ্রমন করতে যান, তাহলে রেলগাড়ি ,বাস ইত্যাদি ব্যবহার করবেন।তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা নিজেই করবেন।গন্তব্যে যাবার জন্যে বাস না থাকলে,কয়েক জন একসংগে গাড়ি ভাড়া করবেন আর একসংগে খাবার খাবেন ।এটা সবচেয়ে যুক্তিসংগত আর নিরাপদ পরিকল্পনা ।
চার চাকা নয় ,দু'পায়ের ওপর নির্ভর করুন
ভ্রমণকালে সব সময় ট্যাকসি ,বাস ব্যবহার করলে, অনেক টাকা লাগবে এবং পর্যটনের সত্যি কারের অর্থও নেই ।হেঁটে হেঁটে বেড়ালে সবচেয়ে সরাসরি সব দেখা যায় আর অজস্র টাকা বাঁচানো যায়।
|