সম্প্রতি চীনের অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে ডাবলিউএডিএ'র চেয়ারম্যান ডিক পোন্ড পেইচিংয়ে এসে চীনের উদ্বেজক দ্রব্য সেবন সমস্যায় কাজ সংক্রন্ত রিপোর্ট শুনেছেন। তাছাড়া, তিনি চীনের উদ্বেজক দ্রব্য সবন বিনোধী পরীক্ষা অফিসে প্রদর্শন করেছেন। তিনি চীনের উদ্বেজক দ্রব্য সবনের সমস্যায় প্রচেষ্টা ও অর্জিত অগ্রগতির ওপর সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমি মনে করি চীন উদ্বেজক দ্রব্য সবন বিরোধী কাজের অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে, কিন্তু আরো বেশি কাজ করা উচিত, কারণ চীন একটি গুরুত্বপূর্ন দেশ। আমি খুবই আনন্দ হই যে এসব কাজ সাফল্যজনকভাবে চালাছে।'
৬৪ বয়সী ডিক পোন্ড একজন ক্যানাডিয়ান। তিনি ১৯৬০ সাল রোম অলিম্পিক গেমসে যোগ দিয়েছিলেন এবং পুরুষদের এক মিটার ফ্রী-স্টাইল সাঁতারের ষষ্ঠ ও মিশ্র রিলাইতে চতুর্থ হন। একজন খেলোয়াড় হওয়া তাঁর উদ্বেজক দ্রব্য সবন বিরোধী কাজে প্রভাব ফেলা হয়। তিনি বলেছেন, অলিম্পিক গেমস আমাদের জন্যে এক সুযোগ দেয় যে, আমরা নিজস্ব প্রতিভা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে কত প্রযায়ে উঠতে পারি এবং বিশ্বে সবচেয়ে উত্কৃষ্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে পারি। এটি হল অলিম্পিক গেমসের সবচেয়ে মহত্ বিষয়। কিন্তু উদ্বেজক দ্রব্য সবন অবির্ভাব হওয়ার পর এ মহত্ অনুভূতি অপবাদ দেয়া হয়। আমি যথাসম্ভব এ প্রজন্ম খেলোয়াড়দের জন্যে এ অনুভূতি পুনরদ্ধার চেষ্টা করবো।'
ডিক পোন্ড আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, নির্বাহী সদস্য ও টেলিভিশন প্রচারসহ গুরুত্বপূর্ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি অলিম্পিক গেমস সাম্প্রতিক বিশ ও ত্রীশ বছরের দ্রুত উন্নয়নের জন্যে অবদান রেখেন। ২০০০ সালে অলিম্পিক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ত্যাগ করার পর তিনি উদ্বেজক দ্রব্য সবন বিরোধী কাজে যোগ দেন এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডাবলিউএডিএ'র চেয়ারম্যানের পদে নিযুক্ত হন। তিনি বলেছেন, তিনি আরো কঠিন দায়িত্ব পালন করেন, কারণ তিনি জানেন উদ্বেজক দ্রব্য সবনের সমস্যা হল বিশ্ব ক্রীড়া মহলের সবচেয়ে কঠিন সমস্যা। তিনি বলেছেন, 'ক্রীড়া মহলে ব্যাপকভাবে উদ্বেজক দ্রব্য সবন ব্যবহার করা হল বর্তমানে আমাদের সম্মূখীন সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা, আমাদের উচিত এ সমস্যা সমাধান করা। '
উদ্বেজক দ্রব্য সবনের সমস্যা হল ক্রীড়া উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা। কোনো কিছু খেলোয়াড় ঠকানের উপায়ে নিজস্ব স্বাস্থ্য ত্যাগের ভিত্তিতে মর্যাদা অর্জন করে। কিন্তু ডাবলিউএডিএ'র দায়িত্ব হল এসব খেলোয়াড়দের ঠকান উদঘাটন করা ও অন্য খেলোয়াড়ের স্বার্থ সুরক্ষা করা। এ সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি মনে করেন, তাঁর কাজের সত্যি লক্ষ্য হল উদ্বেজক দ্রব্য সবন না খাওয়ার খেলোয়াগদেরকে প্রত্যয় দেয়া। তিনি বলেছেন, 'উদ্বেজক দ্রব্য সবনের সমস্যা কখনও থাকে এবং কোনো খেলোয়াড় মনে করে সবগুলো নিয়ম তাকে নিয়মিত হবেনা। তারা নিজের প্রতিশ্রুতি মেনে চলে না। আসলে ৯৯.৯% খেলোয়াড় এবং তাঁর কোচরা উদ্বেজক দ্রব্য সবন খাওয়া বিরোধী করেন।'
যদিও বিশ্ব উদ্বেজক দ্রব্য সবন বিরোধী কাজ দিনে দিনে জোরদার করা হয়, কিন্তু আরো কিছু বিশ্ববিখ্যাত্ খেলোয়াড় ভূল করে, যেমন আথেনস অলিম্পিক গেমসের এক মিটার শোর্ট ডিস্ট্যানসের চ্যাম্পিয়ন মার্কিন খেলোয়াড় জাস্টিন গ্যাটলিন। এ সমস্যা সম্বন্ধে তিনি শুধু দুঃখ প্রকাশ করেন, তিনি বলেছেন,'কিন্তু আমার প্রত্যয় আছে, কারণ উদ্বেজক দ্রব্য সবন বিরোধী কাজে অব্যাহতভাবে অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। অধিক থেকে অধিকের মানুষ এ কাজে অংশ নেন, আমাদের গবেষণার উপায় ও পরীক্ষাও অনেক উন্নত হচ্ছে, যে খেলোয়াগরা নকল করে, তাদের পরিস্থিতি দিনে দিনে গুরুতর।'
উদ্বেজক দ্রব্য সবনের সমস্যার সমাধান খুবই কঠিন এবং কম সময়ে সমাধান করা হবে না। তিনি মনে করেন, যুব মানুষের প্রশিক্ষণ জোরদার করা হল এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়। তিনি বলেছেন,'প্রশিক্ষণ হল এ সমস্যা সমাধানের উপায়। আমাদের উচিত এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যে সবাই উদ্বেজক দ্রব্য সবন খাওয়া হল ভূল এবং খুবই বিডদ। আমি আশা করি নতুন প্রজন্ম খেলোয়াড়রা জানেন নকল করা হল একটি ভূল।'
সাম্প্রতিক কয়েক অলিম্পিক গেমসে যদিও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক গেমস ও ডাবলিউএডিএ বারবার জোরদার করেছে, কিন্তু কিছু উদ্বেজক দ্রব্য সবনের সমস্যা ঘটেছে। অনুষ্ঠিতব্য ২০০৮ সাল পেইচিং অলিম্পিক গেমসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপায়ে ও কোঠর ব্যবস্থা নিয়ে একবার পরিষ্কার অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে। ডিক পোন্ড মনে করেন চীনের উদ্বেজক দ্রব্য সবন দমন কাজে বরাবরি চেষ্টা করা ও বাস্তব ব্যবস্থা নেয়ার কারণে চীন সাফল্যমন্ডিতভাবে ২০০৮ সাল অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠান করবে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের প্রতি সঠিক উপায়ে সক্রিয়ভাবে ২০০৮ সাল অলিম্পিক গেমস সাফল্য অর্জণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
|